রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

রক্তদান কক্ষে একমাত্র বেডে ভোগান্তি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২৩  

 

# প্যাথলজি ও ব্লাড ট্রান্সফিউশনের জন্য দীর্ঘ সিরিয়াল
# সমস্যা সমধানে সদিচ্ছার অভাব

 

 

শহরের বহুল প্রচলিত ১০০ শয্যা বিশিষ্ট ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল। এই হাসপাতালটিতে শহরের দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন উন্নত চিকিৎসা নিতে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অর্থাৎ ২৪ ঘন্টাই রোগীদের সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয় হাসপাতালটিতে। তাছাড়াও সকল রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয় এমনকি পরীক্ষাও করা হয়। তবে প্যাথলজি ও ব্লাড ট্রান্সফিউশন রুম একটি হওয়াতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে রোগী ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের।

 

প্যাথলজি ও ব্লাড ট্রান্সফিউশন কক্ষে একটি বেড হওয়ায় একজন ব্যাক্তির রক্ত দেওয়ার সাথে সাথে আরেক জনকে প্রস্তুত করে বেডে শুইয়ে দিতে হয়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী রক্তদান করার পর সেই বেডে ১০ থেকে ৩০ মিনিট শুয়ে থাকার কিন্তু বেড একটি থাকার কারনে তারা ডোনারদের সে জায়গায় শুয়ে দিতে পারছে না এমনকি এ নিয়ে ডাক্তারদের ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

 

এ বিষয়ে প্যাথলজি ও ব্লাড ট্রান্সফিউশন ওয়ার্ডের ডা. ঝুমা সাহা বলেন, প্যাথলজি ও ব্লাড ট্রান্সফিউশন রুম একটি থাকার কারনে প্রায় সময়ই সেখানে ভিড় জমে থাকে। এমনকি একজন ব্যক্তি যদি রক্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে তার সেই বিছানায় ১০ মিনিট শুয়ে থাকার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু আমাদেরও রুম সংকট থাকার কারণে এবং বেড একটি থাকার কারনে আমরা রক্ত দেওয়ার সাথে সাথে তাদেরেকে উঠিয়ে আরেক জনের রক্ত নেওয়ার ব্যবস্থা কওে দেই।

 

যদি একজনের পর একজনের রক্ত দেওয়ার জন্য ২টি বেড থাকতো তাহলে এমন সমস্যায় পড়তে হতো না। হাসপাতালে একটি রুম খালি আছে সেটি আমরা আরএমও স্যার থেকে চেয়েছিলাম তিনি বলেছেন পরে জানাবো কিন্তু পরবর্তীতে সেই রুমটি আমাদের আর দেওয়া হয়নি। তারপরও আমরা এ বিষয়ে আর এম ও স্যারকে জানিয়েছিলাম তিনি আমাদেরকে আর কিছুই বলেননি।

 

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, রক্ত দেওয়া বা পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য যখন আসি দেখি সবসময়ই ভিড় হয়ে থাকে। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর তারপর সিরিয়াল আসে এখানে যদি আরেকটি রুম তৈরি করে দেওয়া হতো তাহলে আমাদের এমন সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো না।

 

এ বিষয়ে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের আরএমও ডা. শেখ ফরহাদ এর সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কলটি রিসিভ করেননি। এস.এ/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর