বৃহস্পতিবার   ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ৪ ১৪৩১

শহরে অবৈধ স্ট্যান্ডে যানজটের ভোগান্তি

নুরুন নাহার নিরু

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪  


নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের দুপাশে যত্রতত্র ভাবে গড়ে ওঠেছে ৬টি অটো-রিকশা, মিশুক ও সিএনজি স্ট্যান্ড। আর এই অবৈধ স্ট্যান্ডের কারনে নগরীতে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। সকাল থেকে রাত পযর্ন্ত এই যানজট লেগে থাকার কারনে অভিযোগ করে নগরবাসীরা প্রশাসনের ব্যর্থতাকে মূল বলে দাবি করছেন। প্রতিদিন সৃষ্ট হওয়া এই যানজটের কারনে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষেরা।

 


সিটি করপোরেশন তথ্য অনুসারে, নারায়ণগঞ্জে মোট ১৭টি স্ট্যান্ড রয়েছে। এরমধ্যে ৯ টি স্ট্যান্ডই অবৈধ বলে জানান সিটি করপোরেশন। অবৈধ স্ট্যান্ড গুলোর মধ্যে উল্লেখ মন্ডলপারা হতে নিতাইগঞ্জ ট্রাক স্ট্যান্ড, মন্ডলপারা হতে টানবাজার ট্রাক স্ট্যান্ড, সরকারি মহিলা কলেজের সম্মুখস্থ সিএনজি স্ট্যান্ড, চাষাড়া সান্তনা মার্কেটের সম্মুখস্থ লেগুনা স্ট্যান্ড, রাইফেল ক্লাব পাশ্বস্থ বাস ও সিএনজি স্ট্যান্ড, চাষাড়া শহিদ মিনার পাশ্বস্থ সিএনজি স্ট্যান্ড, চাড়াষা সুগন্ধা বেকারীর সম্মুখস্থ হতে বাগে জান্নাত মসজিদ পযর্ন্ত সিএনজি স্ট্যান্ড, খানপুর হাসপাতাল সম্মুখস্থ অটো ও সিএনজি স্ট্যান্ড, হাজীগঞ্জ গুদারাঘাট সংলগ্ন সিএনজি স্ট্যান্ড।

 

 

এগুলোর মধ্যে ৭টি অবৈধ স্ট্যান্ডগুলো গড়ে ওঠেছে বঙ্গবন্ধু সড়কের দুপাশ জুড়ে। এসব স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন রুটে প্রায় ৫ শতাধিক সিএনজি, ৩ হাজারের ও বেশি মিশুক-অটোরিকশা, ইজিবাইক সকাল থেকে রাত পযর্ন্ত চলাচল করে ও অবস্থান করে। তাছাড়া অধিকাংশ এইসব যানবাহনের চালকরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত থাকে না। যার ফলে তারা যত্রতত্র গাড়ি পাকিং, যাত্রী ওঠা-নামাসহ বিভন্ন কারনে যানজট লেগেড় থাকে।

 


গতকাল সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, শহরে প্রবেশ পথ বঙ্গবন্ধু সড়কের ২নং রেলগেট এলাকাটি ভয়াবহ অবস্থা। এ স্থানে অবৈধভাবে মোট ৩টি বাস, অটো-অটো রিকশা ও সিএনজি স্ট্যান্ড রয়েছে। অথচ সেখানেই ট্রাপিক পুলিশের বক্র থাকা শর্তেও তাদের নাকের ঢগায় যানবাহনগুলো ঠায় দাড়িয়ে থাকলেও তারা যেন নিশ্চুম ভূমিকা পালন করছে।

 


নগরবাসীর অভিযোগ, এই যানজটের কারনে অফিসগামী কর্মজীবীরা, শিক্ষার্থীরা, সাধারণ মানুষরা এমনকি একটি অ্যাম্বুলেন্সের মূমুর্ষ রোগী পযর্ন্ত  বিড়াম্বনার শিকার হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বলেন, স্কুল কলেজে যেতে হলে এখন বাড়ি থেকে প্রায় ১ঘন্টা আগে রওনা দেই। কারন ২নং রেলগেট হতে চাষাড়া পযন্ত প্রতিনিই বিরাট বড় এক যানজট সৃষ্ট হয়। আর এই যানজটের কারনে যেন ক্লাসে দেরি না হয়ে যায় তাই একটু আগেই বের হই।

 

 

কয়েকমান আগেও শহরের এই যানজটের নাকাল অবস্থা হেয় ছিল। এখন আবার সেই আগের পরিস্থিতিতেই ফিরে আসছে নগরী। আমার মতে যানযটের একটি মুল কারন হচ্ছে, রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় দীর্র্র্ঘ সময় অটোরিকশা দার করিয়ে রেখে যাত্রি উঠানামা করানো। এগুলো ট্রাফিক পুলিশ দেখেও না দেখার মতো করে থাকলে তো যানজট লাগবেই। আবারো সেই আগের মতো অবৈধ্যভাবে অটো- সিএনজির স্ট্যান্ডের ব্যবসা শুরু হয়েছে।

 


এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) রুহুল আমিন সাগর বলেন, যানজট নিরসনের জন্য আমরা গতকাল থেকে মাঠ পর্যায়ে পঞ্চাশজনকে আউটসোসিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি কয়েকদিনের আমরা ও শহরবাসী সুফল পাবো।      এন. হুসেইন রনী  /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর