সোমবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩১

শিবুমার্কেট-হাজীগঞ্জ সড়কের বেহাল দশা

প্রকাশিত: ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮  

জহিরুল হক (যুগের চিন্তা ২৪) : ফতুল্লার শিবু মার্কেট থেকে হাজীগঞ্জ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল দশায়। বারবার এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও টনক নড়ে নি তাদের। রাস্তাটি সংস্কার বা মেরামতে নেয়া হয় নি কোন ব্যবস্থা। ফলে দুর্বিসহ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন এবং হাজারো মানুষের।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পুরো তিন কিলোমিটার রাস্তাটিই কাঁদা পানিতে নিমজ্জিত। এ রাস্তার কুতুবআইল, ওয়াবদাপুল, পিঠালিপুল, কুতুবপুর হয়ে হাজীগঞ্জ পর্যন্ত পুরো মাঝেই তৈরী রয়েছে বড় বড় গর্ত। কাদাপানির মধ্যে আবৃত এ গর্ত বোঝার কোন উপায় নেই। ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।

যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, এ রাস্তার আশেপাশে যাদের বসত বাড়ি, প্রয়োজনের তাগিদে তাদের চলাচল করতে হচ্ছে ঝুঁিক নিয়ে। পুরো রাস্তায় পায়ে হেঁটে পথ পাড়ি দেয়াও মুশকিল। বৃষ্টি আসলে এ দুর্ভোগ কয়েকগুন বৃদ্ধি পায় বলে জানায় এলাকাবাসী।

স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ, রোগী, বৃদ্ধ কিংবা গর্ভবর্তী মহিলা প্রত্যেককেই অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করতে হয়। অন্ধের মতো সড়কে চলতে গিয়ে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে যানবাহন। আহত হচ্ছেন যাত্রী এবং পথচারীরা।

 কখনো রাস্তার গর্তে রিক্সা উল্টে যায়, নয়তো রাস্তার বড় গর্তে জমে থাকা পানিতে যানবাহনের ইঞ্জিন বিকল হওয়া এখানকার নৈমত্তিক ব্যাপার।

রাস্তাটি সংস্কার করার দাবিতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও আদতে কোন কাজ হয় নি বলে জানায় এলাকাবাসী। তারা বলেন, আমরা অনেক বার এ রাস্তা সংস্কার কিংবা নতুন করে তৈরীর ব্যাপারে দাবি জানিয়েছি এমনকি এলজিইডি বরাবর স্মারকলিপিও জমা দিয়েছি কিন্তু তাদের টনক নড়েনি।

মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী পপী আক্তার জানান, আমার বাসা থেকে কলেজ যাবার রাস্তা এই একটিই। কিন্তু রাস্তায় বের হওয়াটাই অনেক বড় বিপত্তি। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় এটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কলেজ যাওয়ার সময় প্রায়ই রাস্তার কাঁদাতে জামাকাপড় নষ্ট হয়ে যায়। দু’তিনবার রিক্সা উল্টে আমরা কয়েকজন কাদায় পড়ে গিয়েছি।  

পিঠালিপুল এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা কামরান মিয়া জানান, রাস্তার খারাপ অবস্থা তো অনেক দিন আগে থেকেই। সবাই যেন এ বেহাল অবস্থা দেখেও চোখ বন্ধ করে আছে। আমার স্ত্রীকে নিয়ে সপ্তাহে দুই তিনবার হাসপাতালে যেতে হয়। এ রাস্তায় চলতে গিয়ে অটোরিক্সা উল্টেই তার পা ভেঙেছে। এখন অবদি রাস্তা মেরামতের কোন উদ্যেগ নেয়া হয়নি।

গামের্ন্টস কর্মী লিটন মিয়া বলেন, প্রতিদিন  এ রাস্তা দিয়ে কাদা মাড়িয়ে অফিসে যেতে ভিষণ কষ্ট হয়। বৃষ্টি হলে তো চলাই দায়। আমার স্ত্রী গর্ভবর্তী । তাকে নিয়ে চেকআপের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াতেও রাস্তার কারণে বিপত্তি বাধে।     

তবে এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সেলিম সরকার জানান, ইতিমধ্যেই এ সড়ক মেরামতের জন্য টেন্ডার হয়ে গেছে। খুব শীঘ্রই রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু হবে। 

এই বিভাগের আরো খবর