মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

শুষ্ক মৌসমে ধুলা আর বর্ষায় পানি !  

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২১  

সদর উপজেলার পাগলা বাজার থেকে পূর্বদিকে জালকুড়ীর লিংক রোড পর্যন্ত চলে যাওয়া, দীর্ঘ ৩ কিলোমিটার সড়কের এখন বেহাল দশা। দেখা যায়, ছোটবড় গর্ত সেইসঙ্গে অধিকাংশ জায়গাতেই কার্পেটিং ওঠে গিয়ে পুরো সড়কটিই রীতিমতো যান-চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী পাগলা বাজার, রেললাইন, দেলপাড়া, নয়ামাটিসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কয়েক লাখ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

 

এছাড়া এখন বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এই সড়কের বড়বড় গর্ত ও নিচু-স্থানগুলো পানিতে ভরে গেছে। ফলে যানবাহনের চালকদের সামান্য ভুলেই, প্রতিনিয়ত এ পথে ঘটছে নানান দূর্ঘটনা। এদিকে স্থানীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ, পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়সহ মূল শহরে যাতায়ত করার জন্য এই সড়কটি সবার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ । তাছাড়া প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা এবং বিশেষ করে ফতুল্লার বিভিন্ন শিল্পকারখানার অসংখ্য ভারী মালবাহী ট্রাক এই রাাস্তা দিয়েই চলাচল করে। কিন্তু বেহাল দশার কারণে সড়কটি দিয়ে চলাচলরত কেউই ভোগান্তী থেকে রেহাই পাচ্ছেনা।

 

পাগলা রেললাইন এলাকার বাসীন্দা শামীম মিয়া বলেন, আমি ঢাকায় একটি বেসরকারী চাকুরি করি। তাই সাধারণত ট্রেনেই বেশি যাতায়ত করি। কিন্তু এখন ট্রেন বন্ধ থাকায় লিংক রোড থেকে বাস দিয়ে ঢাকার যাই। তবে রেললাইন থেকে যেই রাস্তাটি জালকুড়ীর লিংকরোড পর্যন্ত চলে গেছে, এর অবস্থা খুবই খারাপ। এতে ২০ মিনিটের রাস্তা অতিক্রম করতে আমাদের ১ ঘন্টা লেগে যায়। তাছাড়া বিভিন্ন স্থানে সড়কের পিচ-ঢালাই ওঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরী হয়েছে। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই এখানে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তাই কি আর বলবো! অনেক সময় রিক্সা ও অটোরিক্সা উল্টে যায়। আর যানজটসহ অন্যান্য ভোগান্তিতো আছেই।

 

ভোগান্তির কথা শিকার করে দেলপাড়ার মুদি দোকানদার বাদল মিয়া বলেন, আসলে এই রাস্তাটি কয়েক বছর পরপরই নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণসামগ্রী ভালো না হওয়ায়, দুদিন যেতে না যেতেই ভাড়ী যানবাহনের চাপে রাস্তার অবস্থা নাজেহাল হয়ে যায়। তাই রাস্তার আশেপাশে যারা আছেন, তাঁরা শুষ্ক মৌসুমে বসবাস করেন ধুলার সঙ্গে আর অন্যদিকে বর্ষাকালে পানির সঙ্গে। সবমিলীয়ে খুবই ভোগান্তি হয়। কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু বলেন, আমাদের এই রাস্তাটি মূলত ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক থেকে পাগলা ও দেলপাড়া হয়ে লিংকরোডের সাথে সংযুক্ত হয়েছে।

 

তবে, অতিমাত্রায় বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালবাহী ট্রাক চলাচল করায়, রাস্তাটি বারবার মেরামত করার পরেও ঠিক থাকেনা। মূলত অপরিকল্পিত ভাবে মেরামত করার কারণেই আজকে সড়কটির এই অবস্থা। তবে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আরিফা জহুরা এ বিষয়ে বলেন, আমি দ্রæতই এই সড়কটির বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখবো এবং এলডিইডিকেও বিষয়টি জানাবো। 
 

এই বিভাগের আরো খবর