রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

সস্তাপুরকে অভিশপ্ত করার জন্য দায়ী কাদির ডায়িং-প্রধান ডায়িং

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২৩  

 

# দুই ডায়িং এর কারণে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
# আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিবো- উপপরিচালক

 

 

সদর উপজেলার ফতুল্লা ইউনিয়ন এর অন্তর্গত সস্তাপুর এলাকাটি জলাবদ্ধতার কারনে প্রায়ই আলোচনায় থাকে। ডিএনডি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকার কারনে এমনিতেই জলাবদ্ধতা একেবারে নির্মূল করা যাচ্ছেনা। এতে করে প্রায় প্রতি বছরই জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এ জনপদের বাসিন্দাদের। তবে এ দুর্ভোগের সাথে এ জনপদের বাসিন্দাদের ভোগান্তি আরো কয়েকধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে এ এলাকায় অবস্থিত প্রধান ডাইং ও কাদির ডাইং নামের দুটি ডায়িং।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই দুই ডাইং এর মালিকানায় রয়েছেন কাদির ও আলি আকবর নামের দুই ভাই। এই দুই ভাই কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে পরিবেশ অধিদপ্তরের নীতিমালা মান্য না করেই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। যা সম্পূর্ন নিয়ম বহির্ভূত।

 

সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, ডাইং দুটির কালো ধোঁয়ায় অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে আছে গোটা এলাকা। শুধু তাই নয় ডাইং এর ফলে সৃষ্টি হয় তীব্র জলাবদ্ধতা আর সেই জলাবদ্ধতার পানি মূলত বিষাক্ত ক্যামিকেল মিশ্রিত পানি যা কারো সংস্পর্শে আসলে সৃষ্টি হয় নানাবিধ জটিল চর্মরোগ। আর বিষাক্ত ধোয়ার কারনে সৃষ্টি হয় শ্বাসনালীর জটিলতা। সূত্র মতে, এই ডাইংগুলোর নেই কোনো পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। তারা নিয়ম বহির্ভূতভাবে কাঠ পুড়িয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান, এ দুইটা ডায়িং দুই ভাই এর। এদের ডায়িং এর কারনে আমরা দীর্ঘদিন ধরে অনেক সমস্যায় আছি। এদের কালো ধোঁয়ার কারনে আমাদের বুকে সমস্যা দেখা দিয়েছে। নিঃশ্বাস নিতে এখন কষ্ট হয়। বৃষ্টির দিনে এই ডায়িং এর কারনে পানি পায়ে লাগলে পা পঁচে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়।

 

তবে কারো অসুবিধার কথা চিন্তা না করে তারা তাদের স্বার্থের জন্য ঝুঁকিতে ফেলছে গোটা এলাকার বাসিন্দাদের। যা মোটেও কাম্য নয়। তিনি এ ডাইং বন্ধ করে দিয়ে এ এলাকার মানুষদের এ অসহনীয় অবস্থা থেকে মুক্তির দাবি জানান।

 

আরেকজন জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরকে ম্যানেজ করেই দীর্ঘদিন ধরে চলছে তাদের অরাজকতা। তবে পরিবেশ অধিদপ্তরকে ম্যানেজ করার সুযোগ রয়েছে কিনা কিংবা কিভাবে দীর্ঘদিন ধরে চলছে তাদের অবৈধ ডায়িংয়ের এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, ম্যানেজ করে অবৈধ ডায়িং চালু রাখার কোনো সুযোগ নেই। যে ফ্যাক্টরি কিংবা প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে আপনারা তাদের তথ্য দেন। আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিবো।

 

কাল ও আমরা ১০ টি ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালনা করবো ফতুল্লায়। পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক এসব প্রতিষ্ঠান এর বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে এবং ভবিষ্যতে ও থাকবে। এগুলো কঠোর হস্তে দমন করতে আমরা বদ্ধ পরিকর। তবে এসব ডায়িং নিয়ে মালিকপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে এলাকাবাসী চায় এসব অবৈধ ডায়িং এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে এলাকাকে অভিশাপ মুক্ত করা হোক। এস.এ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর