সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

সিরাজদ্দৌলা রোডের যানজটের মূল কারণ দখল-হকার

লিমন দেওয়ান

প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২২  

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকার কালিরবাজার সিরাজদ্দৌলা সড়ক পুরো অংশসহ ১ নং রেলগেট মোড় পর্যন্ত গাড়ি যেন থমকেই দাঁড়িয়ে থাকে। ঘন্টার পর ঘন্টা থেমে থাকে গাড়ি। সড়কের একপাশ হকারদের দখলে রয়েছে। আর ফুটপাত দখল করে রেখেছে নানা দোকান বসিয়ে । তবে এখানে উচ্ছেদ কিংবা সড়ক ফাঁকা করতে কোন উদ্যোগ নেই। 

 

সিরাজদ্দৌলা সড়ক যানজটে নাকাল এ পথে জরুরি কাজে চলাচল করে সাধারণ মানুষ, কর্মজীবী মানুষ ও স্কুল শিক্ষার্থীরা। এ সড়কে নারায়ণগঞ্জ  কলেজ ও নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল রয়েছে। এই যানজটের কারণে ছাত্র ছাত্রীরা এই রোড দিয়ে স্কুল কলেজে আসতে অস্বস্তি বোধ করে থাকে। সাধারণ মানুষ এই রোডে প্রায় ঘন্টার মতো জ্যামে আটকা থাকে। অনেকে এই যানজটে বিলম্বে বিড়ম্বনায় পড়েন।  

 

সকাল থেকেই যানজট শুরু হয়ে থাকে এই রোডে। মাত্র দুই মিনিটের এই সড়ক পার হতে ১ ঘন্টা ও সময় লাগে অনেকের। যাত্রীরা বাধ্য হয়ে যানবাহন থেকে নেমে পায়ে হেঁটে গন্তব্যেস্থানে পৌঁছাতে। 

 

এই সিরাজদ্দৌলা রোডের সাথে জরিত অনেকটি রোড যেমন বঙ্গবন্ধু সড়ক, মীর জুমলা সড়ক,শায়েস্তা খান সড়ক এই সড়ক গুলো থেকে যখন গাড়ি যাতায়াত করে। তখন ওই রোডের গাড়ি থেমে যায় জ্যাম লাগতে থাকে। আর এই অবৈধ হকারদের কারণে এই সড়ক সকীর্ণ হয়ে আছে। এত গাড়ি পাস হতে পারে না যানজটের সৃষ্টি হয়।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিউ মেট্রো সিনেমা হল থেকে ১ নম্বর রেল গেট ফলপট্টি পর্যন্ত সড়কের এক পাশের পুরো অংশ হকারদের দখলে। মীর জুমলা সড়কটি দখল করে বাজার বসিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

 

এ বিষয়ে এক পথচারী হাসান জানান, আমি রিভারবিউ একটি ফ্যাক্টরীতে কাজ করি। আমার বাসা নবীগঞ্জ এই কারণে আমি এই রোড দিয়ে নিয়মিত আসা যাওয়া করি। এই রোড পুরোটা যেন নরক্ষেত্র হয়ে থাকে। প্রতিদিন সকালে জ্যাম থাকে রাতে ও এই রোড জ্যাম থাকে জ্যাম ছাড়া যেন এই রোডে চলাচলই করা যায় না।

 

 এই রোডের কারণে আমরা কর্মচারীদের যাতায়াতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই রোড ও ফুটপাত প্রায় পুরোটাই হকারদের দখলে করে রাখে। এই সড়কটি অবৈধ হকার দখলমুক্ত করতে পারলে শহরের যানজট অনেকটাই কমে আসবে।

 

 এবিষয়ে আরেক পথচারী হাবিব জানান, এই অবৈধ হকারদের কারণে আমরা এই রোড দিয়ে চলাচল করতে পারি না। আবার এই রোডে অটো স্ট্যান্ড বানিয়ে রেখেছে কালির বাজারের মোড়ে। আমার চাই এই রোড হকার দখলমুক্ত হোক। তাহলে এই রোড দিয়ে আমরা চলাচল করে স্বস্তি পাবো। আমাদের কর্মঘন্টা নষ্ট হবে না। আমরা কাজ শেস করে শান্তিতে বাসায় যেতে পারবো।

 

এ বিষয়ে সদর থানার ওসি আনিচুর রহমান জানান, আমদের অভিযান অবাহত রয়েছে। পর্যায়ক্রমে আমরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। সেখানেও অভিযান চালানো হবে।এসএম/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর