শনিবার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ১৩ ১৪৩১

সোনারগাঁয়ে কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৩টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গোৎসব

সোনারগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২৩  


নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এবছর ৩৩টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শারদীয় দূর্গোৎসব। পূজা উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাজানো হচ্ছে পূজা মন্ডপগুলোকে। পূজাকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁয়ের সর্বত্র এখন বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। বহুল সাজসজ্জার পাশাপাশি ও প্রসাদ বিতরণসহ ব্যয়বহুল এই দূর্গোৎসব উদযাপন করতে এবছর খরচ হবে প্রায় কোটি টাকা।

 


জানা গেছে, এবছর সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া, বৈদ্যেরবাজার, বারদী, জামপুর, সাদীপুর, নোয়াগাঁও, কাঁচপুর বিভিন্ন ইউনিয়ন ও সোনারগাঁ পৌরসভাসহ মোট ৩৩ টি মন্ডপে অনুষ্ঠীত হচ্ছে শারদীয় দূর্গোৎসব। এবার প্রতিটি মন্ডপেই পৃথকভাবে দেবী দূর্গার প্রতিমা বানানো, রং, কাপড়, অলংকার, আলোকসজ্জাসহ প্রসাদ বিতরণের জন্য খরচ পরবে প্রায় আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা।

 

 

যা গড় হিসেবে সব মিলিয়ে ৩৩ টি মন্ডপের জন্য ব্যয় হবে প্রায় এক কোটি টাকা বা তার চেয়ে কিছু বেশি। এরমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে অনুদানের আশ্বাস দেয়া হয়েছে। এছাড়াও সরকারিভাবে প্রতিটি মন্ডপের জন্য অনুদান আসবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেজওয়ান উল ইসলাম।

 


সোনারগাঁ উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি লোকনাথ দত্ত জানান, শান্তি, সংহতি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার প্রতিক দেবী দূর্গা। এবার মা দূর্গা আসছেন ঘোটকে চড়ে ও গমন করবেন ঘোটকেই। এরই মধ্যে প্রতিমা সাজানোর কাজ প্রায় শেষ। এদিকে প্রতিদিনই পূজা মন্ডপগুলো দেখতে আসছেন বিভিন্ন বয়সী সব ধর্মের মানুষ।

 

 

গত ১৪ অক্টোবর মহালয়ার দিন ঘট স্থাপনের মধ্য দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয় দেবী দূর্গাকে। আগামী ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর দিন ষষ্ঠ্যাদিকল্পারম্ভ ও ষষ্ঠীবিহিত পূজা প্রসস্তা, সায়ংকালে দেবীর বোধন এবং আমন্ত্রণের মাধ্যমে দূর্গোৎসবের মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী ও সর্বশেষ বিজয়া দশমীর দিন শারদীয় দূর্গাদেবীর দশমী বিহিত পূজা সমাপনান্তে বিসর্জ্জন প্রসস্তার মধ্য দিয়ে এক বছরের জন্য বিদায় জানানো হবে মা দূর্গাকে।

 

 

প্রতিদিনই থাকবে আগতদের জন্য প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা। সোনারগাঁ থানার ওসি মাহাবুবুল আলম জানান, দূর্গোৎসব কেন্দ্র করে যেকোন ধরনের নাশকতা ঠেকাতে পূজা মন্ডপগুলোতে নিছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে র‌্যাব, গোয়েন্দা পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশ ও পূজা উদযাপন কমিটির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দল।   এন.হুসেইন রনী /জেসি