স্নান উৎসবে পাপ মোচনের আশায় লাঙ্গলবন্দে দলে দলে পূণ্যার্থীরা
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৩, ০২:২৯ পিএম
হিন্দু সম্প্রদায়ের তীর্থ ভূমি নারায়ণগঞ্জের বন্দরের লাঙ্গলবন্দে স্নান উৎসবের শেষ দিন আজ। দিনটিকে ঘিরে ইতোমধ্যে ৮ লাখ পূণ্যার্থী অংশ নিয়েছে। মঙ্গলবার এই স্নান উৎসব শুরু হয়, শুক্লা তিথি অনুযায়ী উৎসব শেষ হবে বুধবার রাত ১০টা ৪৯ মিনিটে।
লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপন পরিষদের সভাপতি সরোজ সাহা জানান, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ কয়েকটি দেশের অনেক তীর্থযাত্রী এই স্নান উৎসবে যোগ দিয়েছে। বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়নের লাঙ্গলবন্দের ১৮টি ঘাটে একযোগে এই স্নান উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বছর প্রায় ১২ থেকে ১৩ লাখ পূণ্যার্থী হতে পারে। হিন্দু শাস্ত্রমতে, ‘হে মহাভাগ ব্রহ্মপুত্র, হে লৌহিত্য, আমার পাপ হরণ করো’
এ মন্ত্র পাঠ করে ফুল, বেলপাতা, ধান দুর্বা, হরিতকি, ডাব, আমপাতা পিতৃকুলের উদ্দেশ্যে তর্পণ করেন পুণ্যার্থীরা। দিচ্ছে উলু ধনী। ভক্ত শ্যামল পাল জানান, নদে স্নান করলে পাপ মোচন হবে। শরীর মন সুস্থ থাকবে, দেশ বাসী শান্তিতে থাকবে বলে মনে করছেন। কিশোরগঞ্জ থেকে আসা শিলা রাণী বলেন, গোসল করে মানত করেছি, মেয়ের বিয়ে হলে আসছে বছর আবার আসবো।
রাজঘাটের পুরোহিত বঙ্গ চক্রবর্তী জানান, ১২ বছর পর বুধ অষ্টমী পড়েছে, সে জন্য ভক্তদের উৎসাহ বাড়তি, আজকে রাজ ঘাটি তিলপরিমান ঠাই দেওয়া যাচ্ছে না। গত দুবছর করোনার কারণে অনেকটা সীমিত পরিসরেই লাঙ্গলবন্দে স্নান উৎসব উদযাপিত হয়েছে। করোনার পরই এবারই প্রথম বিধি নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই স্নান উৎসব পালিত হচ্ছে।
ফলে আগত পুণ্যার্থীর সংখ্যাও কয়েক গুণ বেশি। নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার বলেন, আমরা মাস খানেক আগে থেকে স্নান উৎসবটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সফলের লক্ষ্যে কাজ করেছি। সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করছেন।
এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বি আইডব্লিউটিএ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরসহ সরকারি সব দপ্তরের কর্মকর্তার বর্তমানে লাঙ্গলবন্দ এলাকায় নিজ নিজ দায়িত্বগুলো পালন করছেন। ফলে আমরা যেসব সমস্যা চিহ্নিত করেছিলাম প্রায় সবগুলোই এরই মধ্যে সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি। এ বিষয়ে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বি এম কুদরত-এ-খুদা বলেন, স্নান উৎসব উপলক্ষে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সব প্রস্তুতি আছে। আশা করছি শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবটি সম্পন্ন করতে পারবো। এন.হুসেইন/জেসি