কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের ডকুমেন্ট নষ্ট করার জন্য আগুন দিয়েছে ওসমানরা : এড.সাখাওয়াত
অর্থ আত্মসাৎকারী টিটু-রানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে না.গঞ্জ ক্লাব কর্তৃপক্ষ
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের অর্থ আত্মসাৎকারী ও দুর্নীতিবাজ তানভীর আহমেদ টিটু ও এস.এম রানা
নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের অর্থ আত্মসাৎকারী ও দুর্নীতিবাজ তানভীর আহমেদ টিটু ও এস.এম রানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সভাপতি পদে থেকে ব্যাপক দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তানভীর আহমেদ টিটু ও সহ-সভাপতি এস.এম রানা। ওসমানদের ঘনিষ্টজন হওয়ায় সেই সময় তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেনি অনেকে। কিন্তু এখন তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া কথা বলছেন অনেকে। এদিকে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের অনেক সদস্যই বলছেন নিজেদের দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ এর হিসাব শেষ করার জন্যেই ক্লাবের অফিস কক্ষে আগুন দিয়েছে ওসমানদের দোসররা। সেদিন ১৮ জুলাই ও ১৯ জুলাই নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা ভাংচুর ও আগুন দেননি। ওসমানদের দোসররাই তাদের দুর্নীতির হিসাব মুছে দেওয়ার জন্য অফিস কক্ষে আগুন ও ভাংচুর করেছেন। কিন্তু গত ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পরেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে তানভীর আহমেদ টিটু। কিন্তু এখনও দেশে মধ্যে আনন্দ উল্লাসে দিন কাটাচ্ছে সহ-সভাপতি পদে থাকা এস.এম রানা। নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন থানায় তানভীর আহমেদ টিটু ও এস.এম রানার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা।
গত ১৯ জুলাই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালিন সময় দুপুর ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব থেকে শামীম ওসমান ও তার শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটু সহ প্রায় দুই শতাধীক সন্ত্রাসী বাহিনী ছাত্র-জনতাকে লক্ষ করে গুলি চালান। এসময় ওসমানদের সাথে থেকে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ করে গুলি চালান নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি এস.এম রানা। সেদিন সকাল ১১টা থেকেই এস.এম রানা প্রায় শতাধীক সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে জড়ো হতে থাকেন। পরে দুপুরে ওসমানদের সাথে ছাত্র-জনতার উপর হামলা করেন। কিন্তু গত ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর পরই নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে যান এস.এম.রানা। বর্তমানে সে ঢাকায় বিসিবি’র একজন পরিচালকের আর্শীরবাদে রয়েছেন বলে জানা যায়। এবিষয়ে অনেকে মনে করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারী অনেকে গ্রেপ্তার হলেও ওসমানদের দোসর এস.এম রানা দেশে থেকে কেনো গ্রেপ্তার হচ্ছে না।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিরআহবায়ক ও নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সদস্য এড.সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, এই নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা মনে করেন এই ভাংচুর ও ক্লাবের অফিস কক্ষে আগুন লাগানো পেছনে ওসমান পরিবারের হাত রয়েছে। এর কারন হচ্ছে এই ক্লাব থেকে তারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে এবং অফিস কক্ষে আগুন দেওয়ার মূল কারন হচ্ছে সেখানে থাকার সমস্ত ডকুমেন্ট নষ্ট করে দেওয়ার জন্য। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় ক্লাবে যে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে সেটার সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা জড়িত না। সেই সময় সেটা ওসমান পরিবার করেছে তাদের দুর্নীতি ডাকার জন্য। এবিষয়ে আমরা প্রথমে চেয়েছিলাম যারা বিগত আমলে দুর্নীতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে একটা মামলা হউক আর যারা ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে এটার বিরুদ্ধে একটা মামলা হউক। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে যারা ক্লাবে নব-নির্বাচিত হয়েছেন তাদের কাছে সকলের প্রত্যাশা থাকবে ক্লাবের স্বার্থ রক্ষা করা এবং ক্লাবের স্বার্র্থ রক্ষা করতে হলে যারা দুর্বৃত্ত ও যারা ক্লাবের অর্থ আত্মসাৎ করেছে এবং সেই আত্মসাৎএর চিত্র লোকানোর জন্য ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। গত সময়ে যারা ক্লাবের লুটপাটের সময় জড়িত ছিলো তানভীর আহমেদ টিটু সহ যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের নব-নির্বাচিত সিনিয়র সহ-সভাপতি মারুফ আহম্মেদ বাবু জানান, একটা সময় ছিলো আমরা কথা বলতে পারতাম না কিন্তু এখন সবাই কথা বলতে পারে। আমাদের আগামীতে এজিএম আছে সেখানে আমরা এ কথাগুলো বলবো। এছাড়াও এটার জন্যে একটা আইনশৃঙ্খলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতি দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।