বাংলাদেশ হোসিয়ারি এসোসিয়েশনের (২০২৫-২০২৭) সালের নির্বাচন
বাংলাদেশ হোসিয়ারি এসোসিয়েশনের (২০২৫-২০২৭) সালের নির্বাচনের ভেন্যু নিয়ে স্বতন্ত্র প্যানেলের প্রার্থীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যাকে ঘিরে নির্বাচন নিয়ে স্বৈরাচরী সরকারের আমলের মতো এবার ও নীল নকশার আভাস পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন স্বতন্ত্র ঐক্য ফোরামের প্রার্থীরা। যাকে ঘিরে বর্তমানে হট্টগোল অবস্থায় হোসিয়ারি সমিতি নির্বাচন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে উৎফুল্ল হওয়া ভোটররা আবারো যোগ্য প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার জৌলুস হারিয়ে ফেলছেন। এদিকে বদু প্যানেলের প্রার্থীরা নারায়ণগঞ্জ ক্লাবকে নির্বাচনের সঠিক ভেন্যু হিসেবে দাবী করেছেন।
অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সব সময়ের মতো হোসিয়ারী এসোসিয়েশন কমিউনিটি সেন্টারকে নির্বাচনের ভেন্যু হিসেবে দেখতে চাইছেন। এদিকে বর্তমানে নির্বাচন কমিশনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ক্লাবেই নির্বাচন ও তার ভেন্যু হবে। আর অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্যানেলের প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনারের এই সিদ্ধান্ত এখনো মেনে না নেওয়ায় যে কোন সময় ভেন্যু পরিবর্তন হতে পারে বলে জানা গেছে। এদিকে দুই প্যানেলই বিএনপির নেতাকর্মীদের দিয়েই সাঁজানো একই সাথে দুই প্যানেলই দ্বন্দ্বে জর্জরিত অবস্থায় রয়েছে। যাকে ঘিরে ভোটের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে সদস্য ভোটাররা।
এদিকে জানা গেছে, বিগত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের দোসর শামীম ওসমান ও সেলিম সেলিম ওসমানের নির্দেশনায় তাদের চ্যালা নাজমুল হাসান সজল ও কবির হোসেনের মাধ্যমে জিম্মি ছিলো হোসিয়ারী ব্যবসায়ীদের সবচাইতে বড় সংগঠন হোসিয়ারী সমিতি। এটার একগুচ্ছ নির্বাচন, নির্বাচনের মনোনয়ন সংগ্রহ করলেই টর্চালসেলে নির্যাতন, তালিকা ছাড়াই বহিরাগত ভোটারদের মাধ্যমেই ২/১ বার ভোট পরিচালনাসহ বিভিন্ন আতঙ্কিত ঘটনা ও আতঙ্ক এর মধ্যেই পরিচালিত হতো সংগঠনটি। কিন্তু পট পরিবর্তনের পর রাহুমুক্ত হোসিয়ারী সমিতিতে নির্বাচনের হাওয়া পড়লে উৎফুল্ল হয়ে উঠেন ব্যবসায়ীরা। সকলেই ভোটের প্রতি আগ্রহ হলে ও নির্বাচনের দুই প্যানেলের দ্বন্দ্ব ও দফায় দফায় হট্টগোল সব মিলিয়ে আবারো ওসমানদের মতোই কোন এক পক্ষের কাছে জিম্মি হতে পারে ব্যবসায়ারী।
এদিকে গত রবিবার (১৯ জানুয়ারী) বিকেলে হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের কার্যালয়ের সভা কক্ষে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন, নির্বাচন কমিশনের প্রধান মোঃ আনিসুল ইসলাম সানী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশনের সদস্য জাকারিয়া ওয়াহিদ, কৃষ্ণ কুমার সাহা।
এ সময় নির্বাচন কমিশনারকে উদ্দেশ্য করে স্বতন্ত্র ঐক্য মালিক ফোরামের প্রার্থীরা বলেন, সবসময় ভোটের ভেন্যু হোসিয়ারী এসোসিয়েশন কমিউনিটি সেন্টারে হয়ে থাকে। তাহলে এবার কেন এতো বাড়তি টাকা খরচ করে অন্যত্র ভেন্যু করা হলো ? এমন প্রশ্ন তোলেন নির্বাচনে অংশ গ্রহনকারী প্রার্থীরা। এ ব্যাপারে কোন প্রকারের সদুত্তর দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা ব্যাক্তিরা । এছাড়াও প্রধান নির্বাচন কমিশন হোসিয়ারী এসোসিয়েশন এর সংবিধান সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না বলে জানায়। তাহলে কি কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে সুবিদা এবং খুশি করার জন্য ভেন্যু পরিবর্তন করা হলো ? এমন প্রশ্ন এখন প্রার্থীদের মাঝে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এছাড়াও নির্বাচন কমিশন প্রধানের বক্তব্যের পর প্রার্থীরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। এ সময় প্রার্থীদের মাঝে তুমুল হট্টগোলের সৃষ্টি হতে লক্ষ্য করা যায়।
তা ছাড়া বর্তমানে বদিউজ্জামান বদুর মনোনীত প্যানেল ও স্বতন্ত্র হোসিয়ারী মালিক ঐক্য ফোরাম মনোনীত প্যানেল সাধারন গ্রুপের পরিচালক পদপ্রার্থী এবং এসোসিয়েট গ্রুপের পরিচালক পদপ্রার্থীরা। নয়ামটি, দেওভোগ মার্কেট, উকিলপাড়ার সকল ভোটারদেও দ্বারে দ্বারে ভোট চাইলে ও ভোটাররা এখনো প্রার্থীদের উপরে আস্থা যোগাতে পারছেন না সদস্য ভোটররা। যা নিয়ে চলছে সমালোচনা।
এদিকে হোসিয়ারি সমিতির সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান বদু মনোনীত প্যানেলে রয়েছেন, আব্দুস সবুর খান সেন্টু, মনির হোসেন খান, মোঃ দুলাল মল্লিক, আতাউর রহমান, মো.মিজানুর রহমান, আলহাজ্ব মো.মনির হোসেন, হাজী মো.শাহীন, মো.আব্দুল হাই, বৈদ্যনাথ পোদ্দার, মো.মাসুদুর রহমান, মোঃ পারভেজ মল্লিক ও এসোসিয়েট গ্রুপ থেকে সাঈদ আহমেদ স্বপন, মো.নাসির শেখ, মো.বিল্লাল হোসেন, অনিল বাবু, হিরু শেখ, নাসিম আহমেদ।
অন্যদিকে স্বতন্ত্র ঐক্য হোসিয়ারি মালিক ঐক্য ফোরামের ফতেহ আলী রেজা রিপনের মনোনীত প্যানেলে সাধারণ গ্রুপের রয়েছেন, নাজমুল হক, লুৎফর রহমান ফকির, বাবুল চন্দ্র দাস, সুশান্ত পাল চৌধুরী, মোঃ আওলাদ হোসেন, মোঃ আবুল বাশার বাসেত, মোঃ দিদার খন্দকার, এসোসিয়েট গ্রুপের মাসুদ রানা, নারায়ণ চন্দ্র মজুমদার, মোক্তার হোসেন, মাসুম মোল্লা, ফারুক আহম্মেদ, ইবনে মোঃ আল কাওছার, আনোয়ার হোসেন, আল আমিন প্রধান।