Logo
Logo
×

নগর জুড়ে

আজমেরী ওসমান সাম্রাজ্যের মাফিয়া পিজা শামীম অধরা

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম

আজমেরী ওসমান সাম্রাজ্যের মাফিয়া পিজা শামীম অধরা

আজমেরী ওসমান সাম্রাজ্যের মাফিয়া পিজা শামীম অধরা

Swapno


ওসমান সম্রাজ্যের পতন ঘটেছে সাত মাস অতিবাহিত হয়েছে। এই সময়ের মাঝে ওসমানদের গুন্ডাবাহিনীর কাউকে দেখা যায় নাই। যারাই একটু প্রকাশ্যে এসেছে তারাই আইনের আওতায় এসে জেল কারাগারে রয়েছে। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ শহরে ওসমানদের বিশাল সন্ত্রাস বাহিনীর ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তার মাঝে সর্বত্র ত্রাস চালিয়েছে আজমেরী ওসমানের গুন্ডাবাহিনী। তার বাহিনীকে মাফিয়া ডন  হিসেবে নেতৃত্ব দিতেন আলী হায়দার শামীম ওরফে পিজা শামীম। এই পিজা শামীমের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহত একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। তার সহযোগি পাগলা হামিদকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাকে এখনো প্রশাসন গ্রেপ্তার করতে পারে নাই। অথচ প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে পিজা শামীমের কার্যালয়ে বসে এখনো তার নানা অপরাধ জগত চালিয়ে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা থেকে শুরু করে,চাদাঁবাজি, হত্যা চেষ্টা মামলা রয়েছে। এছাড়া ভুমিদস্যুতা হিসেবে জায়গা দখলের কন্টেক নিতেন পিজা শামীম। এই টাকার একটি অংশ বিগত সময়ের নারায়ণগঞ্জের মাফিয়াদের বস আজমেরী ওসমানকে দেয়া হত। কিন্তু ওসমানরা পালিয়ে গেলেও তাদের দোসরদের রেখে গেছে।  
এদিকে বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে নারায়ণগঞ্জের এমপি মেয়র থেকে শুরু করে সকল জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন  সভায় বলে বেরাতেন এই শহরে চাদাঁবাজ ভূমিদস্যুদের কোন ছাড় নেই। এমনকি প্রশাসনের ব্যক্তিরাও তা বলে থাকেন। কিন্তু যখন জায়গা দখল নিয়ে বড় ধরনের ঘটনা ঘটে  তখন ভুক্তভোগিরা রক্তাক্ত,আহত হলেও তারা তেমন ভাবে বিচার পান নাই তাদের মত লোকদের কারনে। একাধিক জায়গায় জমি দখল করতে গিয়ে পিজা শামীম দৌড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে।



জানা যায়, ২০২৩ সনের ১৬ মার্চ বন্দরের ফরাজিকান্দা এলাকায় কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রাইসুল হকের পুত্র প্রয়াত মাইনুল হক পারভেজ গংদের জায়গা দখল করতে জায় পিজা শামীমের নেতৃত্বে। তখন আজমেরী ওসমানের নির্দেশে পিজা শামীম শহরের হোন্ডাবাহিনী নিয়ে জায়গা দখল নিতে জায়। তখন বন্দর থানায় আলী হায়দার শামীম ওরফে পিজা শামীমকে প্রধান আসামী করে তানভীর আহম্মেদ মামলা করেছেন। যার মামলা নম্বর ৩৬। মামলায় উল্লেখ্য করা হয় শহরের চিহ্নিত ভুমিদস্যু পিজা শামীমের নেতৃত্যে অর্ধশত হোন্ডা করে শতাধিক লোক নিয়ে জায়গা দখলের জন্য অপারেশন চালান বলে অভিযোগ মাইনুল হক পারভেজের। জায়গা দখল কারীদের মাঝে ১১ জনের কাছে অস্ত্র দেখতে পান গুলিবৃদ্ধ হয়ে আহত হন পারভেজের স্ত্রী আদিবা সুলতানা।



অপরদিকে পিজা শামীম ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের বিষয়ে শহরের মানুষজন মুখ খুলতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা জানান, পিজাম শামীমের প্রধান সহযোগি হিসেবে জায়গা দখল, চাদাঁবাজি, টেন্ডারবাজি কন্টাক নিতেন মুকিত ও মনির হোসেন। একই সাথে তাদের সহযোগি হিসেবে তখনকার মাফিয়া কাজী আমীরের নামও রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় অপারেশন চালিয়ে জায়গা দখল করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়া পিজা শামীমের বিরুদ্ধে শহরের কালিরবাজার এলাকায় ঢাকা ব্যাংক ভবনের তয় তলায় জোয়ার বোর্ড চালাতেন বলে জানান নগরবাসি।



সূত্রমতে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১০ মার্চ সকালে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের কালিরবাজার এলাকার আমান ভবনে একটি জুয়ার আসরে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এই জুয়ার আসরের নিয়ন্ত্রনে ছিলেন শহরের ডিস ব্যবসায়ী শামীম হায়দার ওরফে পিজা শামীম। এর আগে ২০১৭ সালের ৮ অক্টোবর রাতে কালিরবাজার সিটি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ২১ জুয়ারীকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। ওই সিটি ক্লাবের পরিচালনায়ও ছিলেন ডিস ব্যবসায়ীদের নেতা শামীম ওরফে পিজা শামীম।



নারায়ণগঞ্জের সন্ত্রাসীদের  গডফাদার শামীম ওসমান পিজা শামীমকে নিয়ে তখন বলেন, ডিস ব্যবাসয়ী নেতা ও হোন্ডাবাহিনীর সেকেন্ড ইনকমান্ড আলী হায়দার শামীম ওরফে পিজা শামীম সন্ত্রাসীদের  তদারকিতে ছিলে।
উল্লেখ্য, মামলা সূত্রে জানাযায়, ১৬ মার্চের বন্দরের জায়গা দখলে গুলাগুলির ঘটনায় তার পরের ১৭ মার্চ বন্দর থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ্য করে এবং ৩১ জন অজ্ঞাত করে তানভীর আহম্মেদ বাদী হয়ে মামলা করেন। যারা মামলা নম্বর ৩৬।  শহরের চিহ্নিত ভুমিদস্যু সেকেন্ড ইন কমান্ড নামে পরিচিত আলী হায়দার শামীম ওরফে পিজে শামীমকে প্রধান আসামী করে বন্দর থানায় মামলা করা হয়। 

১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩০৭/৩২৫/৩২৬/৪৩৬/৪২৭/৫০৬ পেনাল কোডে বন্দর থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় অন্য আসামীরা হলেন, সন্ত্রাসী রায়হান জাদা রবি, মামুন, মনির হোসেন মনা, কাজী আমির , মুকিত, মুহিদ, পাঠান রনিসহ অজ্ঞাত ৩০ জনের মত।



বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শামীম ওসমানের মিছিলের সাথে আজমেরী ওসমানের গুন্ডাবাহিনী নিয়ে ছাত্রজনতার উপর হামলা চালিয়ে এখনো নারায়ণগঞ্জে চলাচল করছেন। সেই সাথে তার অপরাধ জগত চালিয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ছাত্র জনতার হত্যা মামলায় আসামী রয়েছে। এজন্য তাকে যেন দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন