Logo
Logo
×

নগর জুড়ে

না.গঞ্জ এলএ শাখার সার্ভেয়ার মামুন যেন টাকার কুমির!

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম

না.গঞ্জ এলএ শাখার সার্ভেয়ার মামুন যেন টাকার কুমির!

সার্ভেয়ার মামুন

Swapno


# পূর্বাচল উপশহরে, ঝিলমিল প্রকল্পে রয়েছে ১৩ কাঠা জমিসহ কোটি টাকার সম্পত্তি


সার্ভেয়ার মামুন নারায়ণগঞ্জ জেলার ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় ২০১৯ সার্ভেয়ার পদে পোষ্টিং পায় তৎকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের ক্ষমতাধর এমপির তদবিরে নারায়ণগঞ্জ ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় বদলি হয়ে আসেন। ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর এর পরে বাংলাদেশের ভূমি প্রশাসনের সকল স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী বদলি হয়। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় সার্ভেয়ার মামুন, কানুনগো হাবিবুর রহমান তাদের কোনো ধরনের বদলি হয়নি। বিভিন্ন অনুসন্ধানে জানা যায় তৎকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নিয়োগ প্রাপ্ত সার্ভেয়ার মামুন, কানুনগো হাবিবুর রহমান বিভিন্ন উপায়ে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের জমি অধিগ্রহণ ক্ষেত্রে জমির মূল্য বেশী করে দেখানোর কথা বলে সাধারণ মানুষ এর কাছ থেকে নাল শ্রেণির জমিকে ভিটি এবং বাণিজ্যিক শ্রেণির জমি দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা উত্তোলন করছেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর মাধ্যমে জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনারকে মাসিক চাঁদা দিয়ে নারায়ণগঞ্জ এলএ শাখায় বহাল তবিয়তে এখনো বহাল আছে।



বিভিন্ন অনুসন্ধানে দেখা যায় সার্ভেয়ার মামুন এর পূর্বাচল উপশহরে তার নামে পাঁচ কাঠা এবং তার স্ত্রীর নামে পাঁচ কাঠা, ঝিলমিল প্রকল্পে তিন কাঠা তার স্ত্রীর নামে, উত্তরা নিগার প্লাজায় রূপসী কালেকশান নামে তার একটি কসমেটিক দোকান আছে। যার বর্তমান মূল্য ৩-৪ কোটি টাকা। ঢাকার মীরহাজারি বাগের রূপসী কালেকশান নামে শীটের দোকান আছে। ঢাকার উত্তরাতে ৬ নম্বর সেক্টরের রোড নং ১১ বিথি অহির নামে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন, বর্তমানে ইনটোরিয়রের কাজ চলছে। ঢাকা উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর, রোড নম্বর ৩/এ একটি বায়িং হাউজ খুলছেন তার বন্ধু সুলতানকে এমডি করছেন। আর তার নাম হচ্ছে ইকরা লাইট হাউজ। তাঁর নিজ বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানা শহরের মদনপুরা ইউনিয়নে। তার কৃষক বাবার নামে ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার জমি কিনে দিয়েছেন। বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট এর একজন নেতাকে সার্ভেয়ার মামুন কোটি টাকা খরচ করে চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। বর্তমানে সে পলাতক অনেক মামলার আসামি মামুন তাকে বিভিন্নভাবে টাকা দিয়ে সহযোগিতা ও আশ্রয়-প্রদান করছে।



প্রশ্ন উঠেছে, একজন ১২ গ্রেডের সরকারী কর্মকর্তার ২৪ হাজার টাকা বেসিকে সর্বসাকুল্যে যার বেতন ৪০ হাজার টাকা অথচ তিনি অফিস করেন ব্যক্তিগত টয়োটা প্রিমিও মডেলের খয়েরি কালারের গাড়িতে চড়ে।
তার ড্রাইভার সোহেল জানান, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের পূর্বপাশে মামুনের রয়েছে ব্যক্তিগত অফিস । ১৫ হাজার টাকা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে ব্যক্তিগত অফিস সাজিয়েছেন তিনি। এখানে বসেই সকল লেনদেন করা হয়।

এদিকে এতো অভিযোগের পরও তিনি বড়াই করে বলে বেড়ান, এসব কর্মকাণ্ড তিনি বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, এডিসিকে ম্যানেজ করে এগুলো করে থাকেন।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন