বিডিআর হত্যার ঘটনায় ভারতে গিয়ে শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তদন্ত কমিশন
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার পিলখানায় নিহত হওয়া বিডিআরদের লাশের সারি। ইনসেটে কষ্ট বুকে চাপা দিয়ে সহযোদ্ধাদের নিথর দেহ বহন করছেন বিডিআর সদস্যরা। (ফাইল ছবি)
# দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে : কমিশনপ্রধান
২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার পিলখানায় বিডিআরদের (বর্তমান বিজিবি) কোন বিদ্রোহের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান। ঐ সময় বিডিআর কর্মকর্তাদের খুন করার জন্য পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে একটি হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল বলে জানান তিনি। দেশি–বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা মিলে পিলখানায় এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। সেই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভারত যদি শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে না পাঠায়, তাহলে তাদের অনুমতি পেলে তদন্ত কমিশন ভারতে গিয়ে শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় বলেও জানান তদন্ত কমিশনের প্রধান।
৬ জানুয়ারি (সোমবার) রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান আরও বলেন, দেশি-বিদেশিরা মিলে বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, এ কথা শুধু বললেই হবে না।
ভারত জড়িত, বললেই হবে না। এর স্বপক্ষে প্রমাণ হাজির করতে হবে। ছোট-বড়
সব প্রমাণ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন নিরপেক্ষ থাকবে, নিরপেক্ষ
থেকেই সবার সহযোগিতা নিয়ে তদন্তকাজ চালানো হবে। বিগত ১৬ বছরে বিডিআর
হত্যাকাণ্ডের বহু প্রমাণ নষ্ট হয়ে গেছে। এখন যা হওয়ার তা খোলামেলাভাবে হবে। তিন মাসের মধ্যে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্তকাজ শেষ করার চেষ্টা করা হবে। সময় বাড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই, তবে প্রয়োজন হলে
সময় বাড়ানোর আবেদন করা হবে। কমিশন চায়, সবাই যেন ন্যায়বিচার পায়।
তিনি বলেন, ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে না পাঠালে, তাদের অনুমতি পেলে তদন্ত কমিশন ভারতে গিয়ে শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। কোনো সিকিউরিটি আর যানবাহন না দিলেও কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে।