সরকারের ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
দেশের চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের
ঘটনায় শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে
অনুষ্ঠিত একটি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। শনিবার থেকেই গাজীপুরসহ সারা দেশে এই অভিযান শুরু হবে বলে জানানো হয়। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে গাজীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে পতিত স্বৈরাচারের সন্ত্রাসীদের হামলায় ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পক্ষ হতে জানানো হয়, শুক্রবার রাতে গাজীপুর মহানগরীর ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের পৈতৃক বাড়িতে হামলার খবর আসে। এরপর তারা সেখানে গেলে পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ১৫ জন আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ হামলার প্রতিবাদে রাতেই গাজীপুর মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
সকালে আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সর্বোচ্চ বিচারের আওতায় আনাসহ সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
এই হামলার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে গাজীপুর জেলা শহরের রাজবাড়ী মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই সমাবেশে যোগ দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম হামলায় জড়িত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে না পাঠানো পর্যন্ত রাজপথে অবস্থানের ঘোষণা দেন।