Logo
Logo
×

আদালতপাড়া

জাকির খানের মুক্তির প্রহর গুনছে অনুসারীরা

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট :

প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৫ পিএম

জাকির খানের মুক্তির প্রহর গুনছে অনুসারীরা

নারায়ণগঞ্জের বিএনপির রাজনীতিতে এক আলোচিত না জাকির খান। দীর্ঘ ২১ বছর সিনেমার কাহিনীর মতোই তাকে নিয়ে নানা মুখেরোচক চর্চা হতে দেখা গেছে নারায়ণগঞ্জে। এই জাকির খানকে বিগত দিনে নারায়ণগঞ্জের গডফাদার খ্যাত নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানও ভয় পেতেন। বর্তমানে ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় কারাগারে রয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপি নেতা জাকির খান। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলায় রয়েছে যার মধ্যে ৩০টি খালাস হয়েছে আর বাকি ৩টির মধ্যে ১টি এই সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলা। যে মামলা বর্তমানে শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। 

 

গত দুইদিন যাবৎ জাকির খানের পক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে। যে কোন সময় ছাড়া পেতে জাকির খান। এদিকে গত ২৬ নভেম্বর জাকির খানের মুক্তি লাভের আশায় হাজার হাজার কর্মী সমর্থকরা ব্যানার ফেস্টুনে সুজ্জিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আদালতপাড়ায় উপস্থিত হন। আবার অনেকে ফুল দিয়ে প্রিয় নেতাকে বরণ করে নিতে নিয়ে এসেছিলেন ফুলের মালা। একই সাথে গতকাল ২৭ নভেম্বর ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। এই দিনে ও জাকির খানের কর্মী সমর্থদের দিয়ে ছেয়ে গিয়েছিলেন আদালতপাড়া। 

 

এদিকে যতদিন যাবৎ গ্রেফতার হয়েছেন জাকির খান ও তাকে বিভিন্ন মামলায় আদালতপাড়ায় উঠনো হচ্ছে প্রতিটিদিন জাকির খানের মুক্তির স্লোগানে কেঁপে উঠতে দেখা গেছে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়া। কিন্তু দীর্ঘদিন মুক্তির দাবি করলে ও বর্তমানে উল্লাসে দিন-রাত মুক্তির প্রহর গুনছেন নেতাকর্মীরা। এদিকে অনেক নেতাকর্মী প্রিয় নেতার মুক্তির খুশিতে হালিতে হালিতে কিনে রেখেছেন খাসি আবার অনেকে পালন করছেন গরু। কারণ সকলের দাবি, প্রিয় নেতার মুক্তিতে উল্লাসে গরীব-দু:খীদের খাওয়ানো হবে জাকির খানের দীর্ঘ আয়ু কামনায়।

 


এদিকে গতকাল বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. রবিউল হোসেন এ কথা জানিয়েছেন। এর আগে, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মমিনুল ইসলামের আদালতে দ্বিতীয় দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। তবে নিরাপত্তা জনিত কারণে আসামি জাকির খানকে আদালতে আনা হয়নি। এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. রবিউল হোসেন বলেন, সাব্বির আলম হত্যা মামলায় আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয়েছে। মামলায় ২২ জন সাক্ষ্য দিয়েছে। সেসব সাক্ষীদের কোথায় কোথায় ত্রুটি রয়েছে তা উপস্থাপন করা হয়েছে। 

 

 

তবে এই মামলায় সন্ত্রাসী বা আততায়ী যারা হত্যকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আসামি হিসেবে তাদের নাম আসেনি। সেকারণে এই ঘটনার পেছনে কে বা কারা ইন্ধন দিয়েছে ও ষড়যন্ত্র করেছে তা এখন দেখার বিষয়। সেক্ষেত্রেও বাদী পক্ষ কেউ কিছু বলতে পারেনি ও উপস্থান করতে পারেনি। তাছাড়া ঘটনার সময় ও ঘটনার পরে জাকির খান বিদেশে ছিল। শত্রুতাবশত ও রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার জন্য তৈমুর আলম খন্দকার, তাকে মামলার আসামি করেছেন। খোরশেদ আলম এই মামলায় তাকে আসামি করার পেছনে ইন্ধন জুগিয়েছেন। তবে খোরশেদ আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন, কে বা কারা তার ভাইকে হত্যা করেছে তা তিনি জানেন না। কারা তাকে হত্যা করেছে সেটা জনগণ জানে। 

 

 

কিন্তু জনগণ তো আর সাক্ষী দিতে আসবে না। বাকি সাক্ষী ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা কেউ বলতে পারেনা কোথায় কি জব্দ করেছেন। সুতরাং আমাদের আসামিকে নির্দোষ দাবি করছি। আশা করি, জাকির খান খালাস পাবে। তিনি বলেন, আজকে আমাদের যক্তিতর্ক সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক করবেন। যদি রাষ্ট্রপক্ষ আমাদের কিছু বলে সেক্ষেত্রে আমরা রিপ্লাই দিবো। এদিকে প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল ও সকাল থেকে জাকির খানের মুক্তির দাবিতে আদালতপাড়ায় শত নেতাকর্মী ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে জড় হয়। এদিকে নেতৃবৃন্দের দাবী আশা করি আদালত ন্যায়বিচার করবেন এবং জাকির খানকে খালাস প্রদান করবেন।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন