জেলার ২৪২ ইটভাটার মধ্যে ২২০টিই অবৈধ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

দেশের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় নারায়ণগঞ্জ সবসময় উপরের সারিতেই থাকে।
দেশের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় নারায়ণগঞ্জ সবসময় উপরের সারিতেই থাকে। যানজট, হকার ইস্যু ছাড়াও নারায়ণগঞ্জের দূষণ সমস্যা বর্তমানে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা মাটি, পানি ও বায়ু কোনটাই রেহাই পায়না ইটভাটার দূষণ থেকে। ৪২৫ বর্গমাইলের নারায়ণগঞ্জে এত সংখ্যক অবৈধ ইটভাটা যেনো গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাসিন্দাদের জন্য। আতঙ্কেও বিষয় হচ্ছে হচ্ছে জেলার ২৪২টি ইটভাটার মধ্যে ২২০টি ইটভাটা অবৈধভাবে চলছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের সূত্র।
সূত্র জানিয়েছে, অনুমোদনহীন এসব ইটভাটার কারণে পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। ধোঁয়ার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছেই। ইটভাটার মালিকরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই যত্রতত্র ইটভাটা পরিচালনা করে আসছে। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায় কৃষি জমি, জনবসতিপূর্ণ এলাকা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সমজাতীয় স্থানে ইট ভাটার অনুমোদন না থাকলেও নিয়ম না মেনেই ইটভাটাগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। শুধু তাই নয়। উর্বর কৃষি জমির মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে ইট ভাটার কাজে। এতে করে একদিকে যেমন পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে অন্যদিকে কৃষিজমি হ্রাসে জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়ছে।
অন্যদিকে ইটভাটার মালিকদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, সকল আইন মেনে ইট ভাটা চালানো আসলে সম্ভবপর হয়ে উঠে না। সারাদেশের ইটভাটাগুলো একই প্রক্রিয়ায় চলছে। কেউই শতভাগ নিয়ম মেনে ইটভাটা চালাতে পারেনা।
স্থানীয়রা জানান, ইট ভাটাগুলোর কারণে ফসল উৎপাদন ক্রমাগত নিম্নমুখী । গাছপালা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যগত নানা জটিলতা বাড়ছেই। বিশেষ করে শিশুরা স্বাস্থ্য জটিলতায় বেশি ভূগছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এইচ এম রাশেদ বলেন, অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করছি।এছাড়াও এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা ক্ষতিপূরণ আদায় করছি। তাদের নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। তবে এ সমস্যাটা নারায়ণগঞ্জের দীর্ঘদিনের সমস্যা। এটা হঠাৎ করে হয়নি আবার হুট করেই নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। উপদেষ্টা মহোদয় যেভাবে নির্দেশনা দিচ্ছেন আমরা সেভাবে কাজ করছি।
তবে স্থানীয়রা বলেন, ইটভাটা কোনোভাবেই জনবসতির আশেপাশে রাখা যাবেনা।এগুলো এমন যায়গায় হবে যেনো মানুষের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে।পরিবেশের লোকেরা এসে সামান্য জরিমানা করে চলে যায়।ফলে তারা জরিমানা দিয়ে তাদের কার্যক্রম চালু রাখে।এভাবে তো আসলে পরিবেশ রক্ষা সম্ভব নয়।সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এ ব্যাপাওে আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে যেনো ক্ষতির পরিমান স্থায়ীভাবে কমিয়ে আনা যায়।