ডা. আমিনুল ও মাধবীর ছেলে অমিতের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলা
যুগের চিন্তা রিপোর্ট :
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
ডা. আমিনুল ও অমিত
বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্রজনতার আন্দোলনকে রুখে দিতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রশাসন থেকে শুরু করে তাদের দলের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। আর এজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে তাদের দোসরদের অনেকের নামে হত্যা মামলা, হত্যা চেষ্টা মামলা হচ্ছে। যারমধ্যে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পিএস হিসেবে পরিচয়দানকারী ডা. আমিনুল ইসলামের নামেও একাধিক হত্যা চেষ্টা মামলা হয়েছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জের গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার লায়লা পারভীন বানু মাধবীর ছেলে ইশতিয়াক অমিত আলমাজীর নামেও একাধিক হত্যা চেষ্টা মামলা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৮ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত আলতাফ হোসেন আকন বাদী হয়ে বিজ্ঞ ঢাকা সিএমএম এর আদালতে মামলা করেন। যার সিআর মামলা নং ৪৯০। যা ১৮৬০ দন্ডবিধি অনুযায়ী ১৪৩/১৪৭/৩০৭/৩২৬/১০৯/১১৪ ধারায় মামলা হয়। এই মামলার ৮ নং আসামী হলেন ফতুল্লার ভূইগর রূপায়ন টাউন এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে ডাক্তার মো. আমিনুল ইসলাম। একই মামলার ৯ নং আসামী হলেন খানপুর ব্যাংক কলোনী এবং এ/পি৯/২ ঢাকা শাহবাগ মেইনরোড শরীফ আলমাজির ছেলে ইশতিয়াক অমিত আলমাজি।
এই ইশতিয়াক অমিত আলমাজি নারায়ণগঞ্জ চাষাঢ়া ডনচেম্বার এলাকার মেডিস্টার হসপিটাল এন্ড রেনেসা ল্যাব এর চেয়ারম্যান ডা.লায়লা পারভীন বানু মাধবীর ছেলে। তাছাড়া অমিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি তার মার শেল্টারে মেডিস্টার হসিপটাল এন্ড রেনেসা ল্যাবের ওটি রুমে গিয়ে মাদক সেবন করে। আর এতে করে চিকিৎসা নিতে আসা রোগিরা বিব্রত হন।
জানা যায়, ঢাকার বিজ্ঞ সিএমএম আদালতের আরেকটি মামলায় ডা. আমিনুল ইসলাম ১৮ নং আসামী হিসেবে রয়েছেন। তাছাড়া একই মামলায় ২৬ নং আসামী হিসেবে রয়েছেন ডা. লায়লা পারভীন বানু মাধভীর ছেলে ইশতিয়াক অমিত আলমাজি। অনুসন্ধানে জানাযায়, ডা. আমিনুল শেখ হাসিনা বার্ন হসপিটালে থাকাকালিন সময়ে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেনের পিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে বলে প্রচার করে বেড়াতেন। আর সেই সুবাদে নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবারের সাথে সখ্যতা রেখে নানা ক্লিনিকে প্রভাব বিস্তারের পায়তারা করেন।
যার চিত্র ফুটে উঠেছে নগরীর মেডিস্টার হসপিটাল এন্ড রেনেসা ল্যাবের ৩য় তলায় ৩০১ রুমটি ৩ বছর যাবত ডা. আমিনুল অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করে দখল করে আছে বলে জানান। যদিও তা বর্তমানে তালা মারা রয়েছে। আর এজন্য আইনগতভাবে সঠিক ও ন্যায় বিচার চেয়ে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
অপরদিকে মানুষ মানুষের বিশ্বাস ও আস্থার অনেকটা জুড়ে থাকেন ডাক্তার। আর এই ডাক্তারদের একটি অংশ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন এমন অভিযোগ রয়েছে। একই সাথে কিছু ডাক্তার রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে সখ্যতা রেখে অবৈধ ভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় প্রভাব বিস্তার করে। এবার তারই চিত্র ফুটে উঠেছে ডা. আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তাছাড়া তিনি সার্জন বিশেষজ্ঞ না হয়েও নিয়ম বহির্ভুত ভাবে আইনকে তোয়াক্কা না করে তার নামের সাথে সার্জন ব্যবহার করে আসছে। তাছাড়া তিনি ইতোমধ্যে অবসর গ্রহণ করেছেন।
২০২০ সালের ২৮ জুলাই নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সানজিদা আক্তারের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে মেডিস্টার ক্লিনিক থেকে ইয়াবা সেবনসহ মাদক সেবনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে প্রশাসন। তখন কোনরকমভাবে পালিয়ে ডা. মাধবীর ছেলে ইশতিয়াক অমিত আলমাজি বেঁচে যায় বলে তখনকার সময়ের একাধিক কর্মচারী জানান। তাছাড়া তখন এই প্রতিষ্ঠানের মালিক ছিলেন ডা.লায়লা পারভীন মাধবী।