মাত্র ছয় মিনিটেই ঘটে গেলো দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা
যুগের চিন্তা রিপোর্ট :
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজ
সকাল ৮ টা ৫৭ মিনিটে পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগার সতর্কতা জানায় কন্ট্রোল টাওয়ার। ৮ টা ৫৮ মিনিটে
‘মেডে’ সংকেত দেন পাইলট। পাখির সঙ্গে
ধাক্কা লেগে ল্যান্ডিং গিয়ার অকেজো হয়ে পড়ায় (গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী) উড়োজাহাজটি চাকা খোলা ছাড়াই অবতরণ করতে চেষ্টা করে পাইলট। ৯ টায় উড়োজাহাজটি রানওয়ের বিপরীত দিকে অবতরণের অনুমতি নেয়। এরপর ৯ টা ৩ মিনিটে অবতরণের সময় একটি দেয়ালের সাথে ধাক্কা লেগে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে যায়। আর ২৯ ডিসেম্বর (রোববার) এভাবেই মাত্র ৬ মিনিটের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার ঘটে গেলো উড্ডয়ন খাতের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
বিধ্বস্ত হওয়া জেজু এয়ারের ফ্লাইট ২২১৬ থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ১৮১ জন আরোহী নিয়ে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যানুযায়ী ফ্লাইট থেকে মাত্র দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং মরদেহ পাওয়া গেছে ১৭৪টি। তবে বাকী সব আরোহীই নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।
বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি ছিল বোয়িং নির্মিত। বিধ্বস্ত হওয়ার সময় উড়োজাহাজটিতে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছয়জন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ছিলেন বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বৈরি আবহাওয়া এবং পাখির সঙ্গে সংঘর্ষকে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার পর অনেক আরোহী বাইরে ছিটকে পড়ে। তাই জীবিত থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। উড়োজাহাজটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। নিহতদের শনাক্ত করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। উড়োজাহাজের ফ্লাইট রেকর্ডার উদ্ধার করা হয়েছে, তবে ভয়েস রেকর্ডারের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে কর্মীরা। এগুলো দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে জানান তারা।