শেষ মুহুর্তেও প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
হোসিয়ারী সমিতি নির্বাচনের শেষ মুহুর্তেও প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা
আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ হোসিয়ার এসোসিয়েশনের নির্বাচনে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ দিন পরে ব্যবসায়ীদের মাঝে ভোটের আমেজ ফিরে আসছে বলে জানান ভোটাররা। এই নির্বাচনকে ঘিরে দুটি প্যানেলের প্রার্থীরা শেষ মুহুর্তে ভোটারদের মন আকৃষ্ট করতে ভোটারদের ধারে ধারে গিয়ে ভোট চাইছেন। সেই ভোটারদের আশ্বাস দিতেও কোন কার্পণ্য করেন নাই।
তবে শেষ বেলায় এসে জয়ে মালা কে পড়ে তা নিয়ে চলছে চুলচেনা বিশ্লেষণ। তাছাড়া ভোটের মাঠে জরিপে কারা এগিয়ে রয়েছে তা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশ হোসিয়ারি এসোসিয়েশনের নির্বাচনের ভোট গ্রহণের আর মাত্র তিন দিন আছে। নির্বাচনী প্রচারণার আজই শেষ সময়। তাই শেষ মুহুর্তে এসে প্রার্থীরাও ব্যস্ততাময় সময় পার করছেন।
জানাযায়, গতকাল স্বতন্ত্র হোশিয়ারী মালিক ঐক্য ফোরাম মনোনীত প্যানেলের সাধারণ গ্রুপের পরিচালক পদপ্রার্থী এবং এসোসিয়েট গ্রুপের পরিচালক পদপ্রার্থীরা প্রচারণা চালান। অন্যদিকে বদিউজ্জামান বদু এর নেতৃত্বাধীন হোসিয়ারী মালিক ঐক্য জোট এর এ পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুই গ্রপই প্রচারণা চালিয়ে ভোটারদের আস্থা অর্জনে ব্যবসায়ীদের মাঝে নিজেদের কর্মকান্ড তুলে দরেন।যা ভোটের মাধ্যমে বিচার বিশ্লেষণ করা হবে।
জানা যায়, বাংলাদেশ হোসিয়ারী মালিক ঐক্য জোট এর পরিচিতি সভায় বদিউজ্জামান বদুর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ গ্রুপের পরিচালক পদ প্রার্থী আব্দুস সবুর খান সেন্টু, মনির হোসেন খান, মো.দুলাল মল্লিক, আতাউর রহমান, মো.মিজানুর রহমান, আলহাজ্ব মো.মনির হোসেন, হাজী মো.শাহীন, মো.আব্দুল হাই, বৈদ্যনাথ পোদ্দার, মো.মাসুদুর রহমান, মো.পারভেজ মল্লিক ও এসোসিয়েট গ্রুপ থেকে সাঈদ আহমেদ স্বপন, মো.নাসির শেখ, মো.বিল্লাল হোসেন, অনিল বাবু, হিরু শেখ ও নাসিম আহমেদ।
বিপরীতে স্বতন্ত্র ঐক্য হোসিয়ারি মালিক ঐক্য ফোরামের প্রার্থীরা হলেন, সাধারণ গ্রুপের ফতেহ আলী রেজা রিপন, নাজমুল হক, লুৎফর রহমান ফকির, বাবুল চন্দ্র দাস, সুশান্ত পাল চৌধুরী, মোঃ আওলাদ হোসেন, মোঃ আবুল বাশার বাসেত, মোঃ দিদার খন্দকার, এসোসিয়েট গ্রুপের মাসুদ রানা, নারায়ণ চন্দ্র মজুমদার, মোক্তার হোসেন, মাসুম মোল্লা, ফারুক আহম্মেদ, ইবনে মো. আল কাওছার, আনোয়ার হোসেন, আল আমিন প্রধান।
দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর হোসিয়ারী ব্যবসায়ীদের আস্থার সংগঠন বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশন ছিলো সন্ত্রাসী ওসমানদের নিয়ন্ত্রণে। যাকে ঘিরে বছরের পর বছর ওসমানদের পদলেহনকারীরা ছিলেন তারাই প্যানেল সাজিয়ে জিম্মি করে রেখেছিলেন হোসিয়ারী এসোসিয়েশন। কোন যোগ্য প্রার্থী বা ব্যবসায়ীদের পছন্দের কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে তাকে ডেকে নিয়ে রাইফেল ক্লাব কিংবা স্টিম রোলার চালানো হত। সেই সাথে ওসমানদের অত্যাচার, নির্যাতনের ভয়ে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে চাইতেন না। ওসমানরা পালিয়ে যাওয়ায় দীর্ঘ দিন পরে হোসিয়ারি এসোসিয়েশনে নির্বাচনের বাতাস বইছে।
তাছাড়া স্বতন্ত্র প্যানেলের প্রার্থী রেজা রিপন নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে ব্যবসায়ীদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, বন্দরের শান্তিরচরে আমাদের অনেক জায়গা আছে। নির্বাচিত হলে এই জায়গাগুলো কিভাবে আবার হোসিয়ারীতে অর্ন্তভুক্ত করতে পারি সে ব্যাপারে কাজ করবো। আমাদের কাঞ্চনে যেই জায়গা আছে সেইটা ৫ টা বিসিকের সমান। আগের প্যানেল থাকলে কাঞ্চনের জায়গাটাও ভূমিদস্যূূদের কাছে বিক্রি করে দিতো। আমরা নির্বাচিত হতে পারলে এই জমিটা আমরা হোসিয়ারী মালিকদের কাছে অল্প দামে হস্তান্তর করবো।
বদিউজ্জামান বদু বলেন, ১৫ বছর পূর্বে আমি একটি এফডিআর করেছিলাম যেটা আর কয়েকমাস পর শেষ হবে। তখন ঐ টাকা দিয়ে আমাদের উন্নয়ন কাজ করতে পারবো এবং আপনাদের জন্য ক্লাবের ব্যবস্থাও করা হবে। অনেকে জানেই না সমিতি আছে নাকি নাই। হোসিয়ারী মালিকদের কল্যাণে যা যা করণীয় সব কিছু করবো। সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে অনেক দিন পর উৎসবমূখর পরিবেশে নির্বাচন হচ্ছে। আমার বিশ্বাস আমার পুরো প্যানেলের ১৮ জনকেই আপনারা ভোটের মাধ্যমে জয়যুক্ত করবেন।