এনআর গ্রুপের ভাগের টাকা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
ফতুল্লার বিসিক শিল্প নগরীসহ এর আশপাশের এলাকার এন আর গার্মেন্টসে কিছুদিন যাবৎ দফায় দফায় সংঘর্ষসহ শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বিসিক শিল্প নগরীসহ এর আশপাশের এলাকার এন আর গার্মেন্টসে কিছুদিন যাবৎ দফায় দফায় সংঘর্ষসহ শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা লক্ষ্য করা যায়। যাকে ঘিরে বিভিন্ন পোশাক কারখানায় হামলা ও ভাংচুরের মতো তুচ্ছ ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে কোন প্রকারের মাথা ব্যাথা নেই বিকেএইম‘এ এর সভাপতি ও বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের। এদিকে গতকাল রোববার কাশীপুর ভোলাইলে অবস্থিত এন আর গার্মেন্টস এর শ্রমিক অসন্তোষ হওয়ায় আন্দোলন ঠেকাতে এন আর গ্রুপের দায়িত্বরত ব্যবসায়ী নেতার থেকে তার ম্যানেজার হাসান ও বিএনপির কিছু নেতাকর্মীদের হাত দিয়ে দেওয়া মোটা অংকের টাকার ভাগ নিয়ে কাশীপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সোহেল রানা ও যুগ্ম আহ্বায়ক পাগলা সোহল দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় গ্রুপের বাড়ি ঘর-অফিস ভাংচুরসহ প্রায় ৫ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত দফায় দফায় চলে এই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের দুই গ্রুপের মধ্যে ছিলেন, কাশীপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সোহেল রানা, গনি, মিঠুন, আরিফ, ইসলাম, মুসলিম, হিমেল, ওমর, শাহীন, সুজন, মুন্না, অপর গ্রুপে ছিলেন, পাগলা সোহেল, আমিনুল, সুজনসহ আরো বেশ কয়েকজন। এরা দুই গ্রুপই জাকির খানসহ কয়েকজন যুবদল নেতার বিক্রি করে নামে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে থাকেন। এদিকে সেখানকার অনেকেই দাবী করছেন যে, ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সোহেল রানা বিগত দিনে থেকেই আওয়ামী লীগের অনেকের সাথেই থাকতেন যাকে ঘিরে উনি যত লোকই নিয়ে টাকা খেয়ে এন আর গ্রুপ পাহাড়া দেন সবই আওয়ামী লীগ আবার অনেকেই আওয়ামী লীগের দোসর।
এদিকে গত দুই সপ্তাহ যাবৎ হাতেমের মাধ্যমে পরিচালিত এন আর গার্মেন্টস এর শ্রমিক অসন্তোষের মতো ঘটনা দেখা যায়। যাকে ঘিরে শ্রমিক আন্দোলনসহ শাসনগাঁও বিসিকের ২ নম্বর গেইটের আশপাশের গার্মেন্টস ভাংচুর হয়। যা নিয়ে ইতিমধ্যে মোহাম্মদ হাতেম বিভিন্নভাবে শ্রমিকদের আন্দোলন আটকাতে ও গার্মেন্টস যাতে কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সেই লক্ষে এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির কয়েকজন নেতার্মীদের সাথে দফায় দফায় গোপন মিটিং করে। পরবর্তীতে এদের সমন্বয়ে এনায়েতনগর ইউনিয়ন যুবদলের একাংশ, কাশীপুর ইউনিয়ন যুবদলের একাংশ দুইভাগে গার্মেন্টস পাহাড়া দিতে ও শ্রমিকরা কোন আন্দোলণ করলে তাদের ভয়ভীতি দেখাতে এনায়েতনগর ও কাশীপুর এই গ্রুপকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে দেওয়া হয়। যার ভাগ নিয়েই কাশীপুরের বঞ্চিত এক গ্রুপের অনেকেই সংঘর্ষে ঝাঁপিয়ে পরেন। জানা গেছে, এন আর গ্রুপের ঝুট, ওয়েস্টিজ কাউকেই দেয় না দায়িত্বরত থাকা মোহাম্মদ হাতেম। তিনি ফাস্ট পার্টি, সেকেন্ড পার্টি হয়ে এই গার্মেন্টস এর ঝুট ও ওয়েস্টিজ নামান। আবার কিছু ক্ষেত্রে তার বড় ছেলে অয়নের নামে ঝুট ও ওয়েস্টিজের মাল নামানো হয়ে থাকে। যাবে ঘিরে বিগত দিনে কাশীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহম্মেদ ও কাশীপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মুন্নাসহ কাশীপুরের আরো বেশ কয়েকজনকে মোটা অংকের টাকা দিতেন। এ ছাড়া এনায়েতনগর ইউনিয়ন যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে ও মাসে মোটা অংকের টাকা পৌঁছে দিতেন মোহাম্মদ হাতেম। যাকে ঘিরে তাদের মাধ্যমে এন আর গার্মেন্টস পাহাড়াসহ শ্রমিক অসন্তোষের বিষয়টি দেখতেন সেই নেতারা। একইভাবে গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা পালিয়ে গেলে মোহাম্মদ হাতেম বিভিন্নভাবে ব্যবসায়ীসহ বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করে এখনো বহাল তবিয়তে থেকে বিসিক এলাকায় করছেন ঝুট বণ্টন। একই সাথে এই এন আর গার্মেন্টস এর মালামাল বিগত দিনের নিজের আওতায় রেখে মাসিক মাসোয়ারা দিয়ে কাশীপুর ও এনায়েতনগর ইউনিয়ন এলাকায় টাকা দিয়ে নেতা পালা শুরু করেছেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎই শ্রমিক অসন্তোষ কারণে এনআর গ্রুপের সকল কার্যক্রম অনেকটাই বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে আজকে শ্রমিকরা হঠাৎ বিক্ষুব্ধ হয়ে বিসিক এলাকায় আসলেই লারিভ নীট ওয়্যারের উপর থেকে হাতেমের পালিত কিছু বাহিনী শ্রমিকদের উপরে ইটপাটকেল ছুঁড়লে সেখানে বহু শ্রমিক আহত হয়। হঠাৎ শ্রমিকরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে ভাংচুর ও হামলা চালায়। এতে ফকির ও লারিভ গ্রুপ, আর এস গার্মেন্টস, প্যানটেক্স লিমিটেড, জীবন নীট ওয়ার, ইউনাইটেড গার্মেন্টসে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় আশেপাশে থাকা হাতেমের চ্যালাচামুন্ডা ও হাতেমের কাছ থেকে সুবিধা পাওয়া এনায়েতনগরের কিছুূ ছাত্রদল, যুবদলের লোকজন একত্রিত হয়ে হয়ে অসন্তোষ শ্রমিকদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। সে সময় দুই পক্ষের মধ্যে এক দফা ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে এতে অনেক শ্রমিক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের পরিচয় বা সংখ্যা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। আর এই শ্রমিকরা আবারো যাতে উত্তেজিত হয়ে না পরে যাকে ঘিরে দুই ইউনিয়নের বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীদের পালতে থাকেন তিনি। যাদের মধ্যে এক গ্রুপ কোন ভাগ না পেয়ে ক্ষেপে উঠেলে অন্য গ্রুপ ও ক্ষেপে উঠে এক পর্যায়ে ভাগ নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ঘ দেখা যায়।
এর আগের ঘটনা উল্লেখ কর হলো- নাম প্রকাশে অন্চ্ছিুক একজন শ্রমিক জানান, গত (১০ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার এন আর গার্মেন্টস এর ইমপ্রভমেন্টু ও অপারেটরের সাথে কথা কাটাকাটি হয় এক পর্যায়ে ইমপ্রভমেন্ট সেই অপারেটরকে ধাক্কা দেয়। এক পর্যায়ের সেই অপারেটর উত্তেজিত হয়ে গেলে সেখানে থাকা ফ্লোরের ইনচার্জ ও পিএম সেই ইমপ্রভমেন্টের সাথে একত্রিত হয়ে সেই অপারেটর শ্রমিককে মারধর করে আর বলে যে, তোরা কি জানোস না এটার দায়িত্ব আছে কে বিকেএমই‘এ এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম সাহেব, এটার তার ভাইয়ের গার্মেন্টস। তাকে একটা ফোন দিলে তার পালিত বাহিনী নিয়ে এসে এখানকার ফ্লোরের সকল অপারেটরদের পিঠের চামড়া তুলে নেওয়া যাবে। যাকে ঘিরে পরবর্তীতে তা শুনে সেই উত্তেজিত ফ্লোরের অপারেটর সব এক সাথে হয়ে সেই ইমপ্রুভমেন্ট, ফ্লোরের ইনচার্জ ও পিএমকে মারতে মারতে ফ্লোর থেকে বেড় করে দেয়। পরে তারা বেড় হয়ে এন আর গ্রুপের বাকি ৪টি ফ্যাক্টরীতে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে সকল অপারেটরদের বেড় করা হয়। পরে দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ রেখে গেইটে ইটপাটকেল ছুঁড়ে এনআর গার্মেন্টস এর সকল কার্যক্রম বন্ধ করে তারা বাসায় চলে যায়।
পরবর্তীতে গত (১১ ডিসেম্বর) বুধবার শ্রমিক পক্ষ থেকে মালিক পক্ষকে ১৭টি দাবী দেওয়া হয়। (১২ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন, বিকেএমই‘এ এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, সেখানকার যুবদল, ছাত্রদল নেতাকর্মীরাসহ নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকার আরো বেশ কয়েকজন এন আর গার্মেন্টসে বসে শালিশের মাধ্যমে শ্রমিকদের সকল দাবী মেনে নেয়। এর মধ্যে প্রোডাকশন কমিয়ে দিতে হবে যেমন প্লো শার্ট এর টার্গেট রয়েছে ১৩০ পিএস তা কমিয়ে টার্গেট করতে হবে ৮০ পিস আর টি-শার্ট এর টার্গেট রয়েছে ৩০০ পিএস সেটা দিতে হবে সিঙ্গেল লাউয়ারে ২০০ পিএস , তা ছাড়া আই ডির্পারমেন্ট থাকতে পারবে না, আরেকটি রয়েছে যে কিছু চিহ্নিত ইমপ্রভমেন্ট, ইনচার্জ, পিএমকে চাকুরিচুত্য করতে হবে এই ৩টি দাবী না মানায় অপারেটর কেউ কাজে বসেনি। তারা বিকাল ৫ টায় এন আর থেকে বেড়িয়ে বিসিক যায় এক পর্যায়ের শ্রমিক অসন্তোষ লক্ষ্য করে সেখানে থাকা একটি গ্রুপ ২ নাম্বার গেইটের লারিব গার্মেন্টস এর উপরে উঠে পরে আর সেখান থেকে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের উপরে হামলা চালানো শুরু করেন। যাকে ঘিরে অনেকেই আহত হন পরবর্তীতে সকল শ্রমিক রাগে-ক্ষোভে বিভিন্ন গার্মেন্টসে হামলা চালায়। তখন সেখানে থাকা কয়েকটি গ্রুপের গুন্ডা বাহিনী লাঠিসোঠা নিয়ে শ্রমিকদের উপরে হামলা করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এর একটু পরেই সেখানে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি ঠান্ডা করেন।
এ ছাড়া সূত্র জানিয়েছে, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নটি হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন। বিগত আওয়ামীলীগ সরকার আমলে এই ইউনিয়নে খুন, দখলবাজি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, লুটপাট, ভূমিদস্যুতা সহ বিভিন্ন অপকর্ম করা হতো। আর এই ইউনিয়নের সকল অপকর্মের মূলহোতা ছিলেন কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম.সাইফুল্লাহ বাদল। বিগত আওয়ামীলীগ সরকার আমলে সাইফুল্লাহ বাদল তার বাহিনীদের দিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও মহল্লাগুলোতে দখলবাজি, চাঁদাবাজি, লুটপাটসহ বিভিন্ন অপকর্ম করাতেন। বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিভিন্ন কর্মীদের দায়িত্ব দিয়ে এসকল কাজ করাতেন এম.সাইফুল্লাহ বাদল। ঠিক তেমনই কাশিপুর ভোলাইল এলাকার শহরআলী মাদবরের ছেলে দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী হাসান’কে দিয়ে জমি দখল, চাঁদাবাজি, লুটপাট সহ বিভিন্ন অপকর্ম করাতেন সাইফুল্লাহ বাদল ও ঝুটব্যবসায়ী হাতেম। সন্ত্রাসী হাসান বিগত সরকার আমলে সাইফুল্লাহ বাদল ও আজমেরী ওসমানের ক্যাডার হিসেবে ভোলাইল এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতো। কিন্তু গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পদত্যাগের পর থেকে সেই সন্ত্রাসী হাসান এখন নব্য-বিএনপির সেজে আবারও ভোলাইল এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করছে। যেটির মূল পরিকল্পনাকারীও এই ওসমানদের দোসর হাতেম। জানা যায়, সন্ত্রাসী হাসান জমির দালাল ও মুদি দোকানদার ছিলেন। বিগত সরকারের আমলে কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ বাদল, বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, কাশিপুর ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার শামীম আহমেদ, কাশিপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেক লীগের সভাপতি আল-আমিন ও সাইফুল্লাহ বাদলের বোন জামাতা সানাউল্লাহসহ আরও কয়েকজন মিলে হাসানের সহযোগিতায় ভোলাইল ‘মরা খাল’ ( ভোলাইল মিষ্টির দোকানের পেছনে) ১৭০নং কাশিপুর মৌজার ১নং সিট এর সরকারি জায়গাটি দখল করে এন-আর গ্রুপের কাছে বিক্রি করে দেয়। জানা যায়, এন-আর গ্রপের কাছে সরকারি খালে জায়গাটি হাসানের মাধ্যমে তিন কোটি টাকা বিক্রি করা হয়। সেই সময় এন-আর গ্রুপ সরকারি খালের জন্য দেড় কোটি টাকা হাসানের মাধ্যমে লেনদেন করেন এবং পরে জায়গার কাগজ পত্র হলে আরও দেড় কোটি টাকা দিবে বলেন জানান। এদিয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তর নরসিংপুর মরা খালপাড় এখন সরু ড্রেনে পরিণত হয়েছে। খালের চারপাশে দেয়াল দিয়ে দখলে নিয়েছে এন-আর গ্রুপ। মূলত এই গোটা দখলে নেতৃত্ব দিয়েছে ওসমানদের দোসর ঝুট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাতেম।
এলাকাবাসী জানান, এটা একটা পুরাতন খাল, এখান দিয়ে এক সময় নৌকা-ট্রলার চলাচল করতো। কিন্তু দুই বছর আগে বাদল চেয়ারম্যান ও মোহাম্মদ হাতেম ও তার পালিত সন্ত্রাসী হাসানের মাধ্যমে এই খালটি এন-আর গ্রুপ দখল করে। আমরা এলাকাবাসী চেয়েছিলাম এখানে একটি কবরস্থান হবে। কিন্তু কবরস্থানে জন্য অল্প কিছু জায়গা দিয়ে খালের পুরো জমি দখল দিয়েছে এন-আর গ্রুপ। এখানে প্রায় ৩৫ শতাংশ দখলে আছে। আরও দখল করার চেষ্টা চলছে। আমাদের অনেকের বাড়ি-ঘরও এই হাতেমের ক্যাডার দালাল হাসান জোর করে এন-আর গ্রপের কাছে বিক্রি করে দেয়। এই হাসান বিসিকের মোহাম্মদ হাতেম এর লোক, এই খালটি বিক্রির সময় এন-আর গ্রপের সাথে হাতেমও সরাসারি ওসমানদের পক্ষ হয়ে উপস্থিত ছিলো। হাতেম ও সাইফুল্লাহ বাদল হাসানের মাধ্যমে এই জায়গা বিক্রির লেনদেন করেন। প্রথম ১৬ শতাংশ খাল দখলে নেয় পরে ৩৫ শতাংশ দখল করে। বর্তমানে সাইফুল্লাহ বাদল সহ আওয়ামীলীগের যারা এই জায়গার সাথে জড়িত ছিলো তারা পালিয়ে গিয়েছে এবং শুধু হাতেম ও হাসান আছে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনলে পাওয়া যাবে এই সরকারি খাল তারা কিভাবে বিক্রি করলো। সব লেনদেন হাতেমের ভূমিদস্যুতার ম্যানেজার খ্যাত হাসানের মাধ্যমে করলেও মূলত এরমূলে ছিলেন হাতেম। এদিকে বর্তমানে হাতেমের এই কর্মকাণ্ডে মরা খাল পার এলাকার সাধারন মানুষ ড্রেনের ময়লা পানিতে জনজীবন পাড় করছেন।