Logo
Logo
×

নগরের বাইরে

হাসিনার হাতের রক্তের চিহ্ন কিন্তু এখনো শুকায়নি : এড.সাখাওয়াত

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

হাসিনার হাতের রক্তের চিহ্ন কিন্তু এখনো শুকায়নি : এড.সাখাওয়াত

মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর ২৩নং ওয়ার্ড ও ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে পৃথক পৃথক রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনসম্পৃক্ততা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন আহবায়ক এড.সাখাওয়াত হোসেন

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, এদেশকে গত ১৫ বছরে ফ্যাসিস শেখ হাসিনা ও তার দোসররা স্বৈরাতন্ত্র করে রেখেছিল। দুর্নীতি ও দলীয়করণ এবং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে এদেশের শাসনব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। যার কারনে বাংলাদেশের অবস্থা বিশ্বের কাছে তলানীত হয়ে পৌঁছেছিল।  পাশাপাশি গত ১৫ বছর কিন্তু এদেশের মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে নাই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামোর মাধ্যমে বলেছেন জনগণ যাতে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা বাংলাদেশে প্রণয়ন করবে।  গতকাল সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর ২৩নং ওয়ার্ড ও ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে পৃথক পৃথক রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনসম্পৃক্ততা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।



তিনি বলেন, বর্তমান অন্তবর্তী কালীন সরকারের যে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে তাকে বিএনপির সহ সব দলে কিন্তু সাধুবাদ জানিয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করে একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন যাতে করে জনগণ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে। তার জন্য আমরা এই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করব।  তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার হাতের রক্তের চিহ্ন কিন্তু এখনো শুকায় নাই। গত ৫ আগস্টের আগে ছাত্রজনতা ও বিএনপি নেতাসহ দুই হাজার লোককে হত্যা করেছে। তার হাত কিন্তু রক্তে রঞ্জিত। শেখ হাসিনা মানুষকে হত্যার মাধ্যমে জিম্মি করে সে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।



এই ছাত্র জনতার আন্দোলনের মূলেই একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। সেই শাসনব্যবস্থায় জনগণে হবে দেশের সকল ক্ষমতার উৎস। আমাদের বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কিন্তু সেই সময় বলেছিল জনগণে হল দেশের ক্ষমতার উৎস। সেই স্লোগানকে সামনে রেখেই আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর ও সমৃদ্ধিলীল রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলার জন্য এই ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। ইনশাল্লাহ বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এই ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানো হবে।



একই অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, আওয়ামী লীগে ক্ষমতায় এসে দেশে দুর্ভিক্ষ উপহার দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশে খুন, গুম, ধর্ষণসহ মৌলিক অধিকার ও মানবিক অধিকার হরণ করে। দুর্নীতির মাধ্যমে এদেশ থেকে হাজার হাজার টাকার লুট করে বিদেশে পাচার করে নিয়েছে। ব্যাংক সেক্টরকে শূন্যের কোঠায় নিয়ে এসেছে। মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যে দাম সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাড়িয়ে দিয়েছিল।  তিনি বলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কিন্তু এই খুনি শেখ হাসিনার হাত থেকে রক্ষা পাননি। বৃদ্ধ বয়সেও কিন্তু তাকে মিথ্যা মামলায় জেল খাটতে হয়েছিল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তাকে দেশে আসতে দেয়নি। গত ১৫ বছর কিন্তু বাংলাদেশে কোন গণতন্ত্র ছিল না বাক স্বাধীনতা ছিল না।  মানুষের বাক স্বাধীনতা ছিল না ঠিক একইভাবে সংবাদপত্রে স্বাধীনতা ছিল না। আমরা কিন্তু আমাদের নিজেদের ভোটও দিতে পারি নাই। পুলিশ, বিডিআর, র‌্যাব, সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রশাসনের লোকজনকে তাদের দলীয়করণ করে দলীয় নেতাকর্মীদের মতন ব্যবহার করেছিলেন।



তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিগত ১৬ টি বছর রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। রাজপথ আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে এমন কোন বিএনপির নেতা কর্মী নাই যে হামলা মামলা জেল নির্যাতনের শিকার হয় নাই। কথা বলতে গেলে আমাদের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছে । আয়নাঘরের মতন অন্ধকার অরণ্য তৈরি করে বছরের পর বছর নেতাকর্মীদেরকে গুম করে রাখা হয়েছিল। তাই গত ১৬টি বছর যেভাবে তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা আন্দোলন সংগ্রাম কওে টিকেছি একইভাবে তারেক রহমানের আহবানে ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের মাধ্যমে আমরা এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটাবো।



এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশাহ আহম্মেদ, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহিন আহমেদ, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন, মাহবুবুর রহমান, আলী আহমদ, বন্দর ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ, ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক কাজল আহম্মেদ কালুন,মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মির্জা কামাল উদ্দিন জনিসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।




Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন