Logo
Logo
×

নগরের বাইরে

রেহেনা-জয়-পুতুল-কাদেরসহ ২৬৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

রেহেনা-জয়-পুতুল-কাদেরসহ ২৬৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা

আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ

নারায়ণগঞ্জে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের সময় মো. আলহাজ্ব (১৮) নামের এক শ্রমিককে হত্যার চেষ্টায় শেখ রেহেনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরসহ ২৬৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয় বলে নিশ্চিত করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহিনূর আলম। মামলার বাদী মো. আলহাজ্ব (১৮) সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার বাসিন্দা এবং বর্তমানে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় বসবাস করেন।  মামলায় সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহেনা, ছেলে সজিব ওয়াদে জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল, ইডেন কলেজ মহিলা ছাত্রলীগের সভাপতি রিভা, ঢাকা দক্ষিণ মহানরগর ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পিকে হুকুমের আসামি করে মোট ২৬৮ জনকে আসামি করা হয়।




মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২০ জুলাই বিকেল ৫টায় বাড়ি ফেরার পথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মিছিল দেখতে পেয়ে মিছিলে যুক্ত হন বাদী। এর পরপরই ওবায়দুল কাদেরসহ উল্লেখিতদের নির্দেশে এবং আরও বেশ কয়েকজন আসামির আর্থিক ও অস্ত্র সহায়তায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র অবস্থায় মিছিলে হামলা চালায়। হামলায় তারা আগ্নেয়াস্ত্র, শর্টগান, পিস্তল, ককটেল, লাঠি, ইট-পাটকেল, এবং ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে।



হামলাকারীদের গুলিতে বাদীর পেটের ডান পাশে গুলি লাগে এবং তিনি গুরুতর আহত হন। হামলার সময় আরও ১০-২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়য়। স্থানীয়রা বাদীকে সাইনবোর্ডের প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল নিয়ে যায়।




বাদীর দাবি করেন, আসামিরা হাসপাতালগুলোতে আহতদের হত্যা করার উদ্দেশ্যে খোঁজাখুঁজি করে এবং বাদীসহ অন্যদের হুমকি দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়। পরে তিনি নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দীর্ঘ চিকিৎসা গ্রহণ করেন। চিকিৎসা শেষে বাদী মামলা দায়ের করতে গেলে থানায় মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি আদালতে মামলা করার করেন।



সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, আমরা কোর্টের নির্দেশে মামলা গ্রহণ করেছি।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন