শামীম ওসমান নিজে গাঁজা খেত, তাঁর পকেটে সবসময় গাঁজার স্টিক থাকতো : রনি
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় কাশীপুর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড যুব দলের উদ্যোগে দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি বলেন, "শামীম ওসমান নিজে গাঁজা খেত, তাঁর পকেটে সবসময় গাঁজার স্টিক থাকতো। আপনারা কেউ জানেন কিনা জানিনা কিন্তু আমি মশিউর রহমান রনি জানি আর জানি বিধায় শুরু থেকেই আমার জ্ঞান হওয়ার পর থেকে আমি তার বিরুদ্ধে ছিলাম। কারণ একজন গাঁজাখোর, মস্তিষ্কবিহীন ব্যক্তি, একজন নেশাখোর কখনো জনগণের ভালো চাইতে পারে না। "
তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় কাশীপুর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড যুব দলের উদ্যোগে দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি।
মশিউর রহমান রনি আরো বলেন, শামীম ওসমান যখন ওয়াজ করত বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে বক্তব্য দিত কি ধরনের কথাবার্তা বলতো তার কোন আগা মাথা নেই। তার কথার কেউ কোন প্রতিবাদ করতে পারত না কারণ নারায়ণগঞ্জের মানুষ তাকে ভয় পেত। তার কোন কথার কেউ প্রতিবাদ করতো না কারণ কেউ যদি প্রতিবাদ করতে যেত তাকে তো মরতে হতো ত্বকীর মতো, আশিকের মত। শামীম ওসমানের পাশে থাকা বেশিরভাগ মানুষ বাঁচার জন্য তার সাথে আতাত করে চলত। এজন্য কেউ প্রতিবাদ করত না কিন্তু আমি মশিউর রহমান রনি সারা জীবন প্রতিবাদ করে গেছি। যতদিন শামীম ওসমান এই নারায়ণগঞ্জে নেতৃত্ব দিয়েছে, এম্পিত গিরি করেছে ততদিন আমি তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি। আমি আমার নীতি আদর্শে অবিচল ছিলাম। আমি নিজে কখনো মাদক খাই নাই, জীবনে কখনো সিগারেট মুখে নেই নাই আর যে ব্যক্তি গাঁজা খায় যে ব্যক্তি মদ খায় সেতো নাপাক। সে যা বলবে যা করবে সবই অবৈধ। "
বক্তব্যে রনি আরো বলেন, শামীম ওসমান যখন মক্কায় যেত যাওয়ার আগে সবার কাছে মাফ টাপ চেয়ে যেত আবার আসার পরই আবার সেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করতো। আমি যতদূর জানতাম নারীর প্রতি ও তার আসক্তি ছিল। এই সরকারি তোলারায়ন কলেজের অনেক ছাত্রীর দিকে সে আর চোখে তাকাতো। তার কারণে অনেক ছাত্রী নারায়ণগঞ্জ থেকে চলে গিয়ে অন্যত্র ভর্তি হয়েছে। আর তার সন্তান অয়ন ওসমান তোলারাম কলেজকে এমন এক পরিবেশ তৈরি করেছিল কোন এক সুন্দরী মেয়ে আসলে আগে অয়ন ওসমানের সাথে দেখা করতে হতো। কলেজে অয়ন ওসমানের এক দালাল ছিল টোকাই রিয়াদ, সে নিয়ে যেত সুন্দরী মেয়েদের অয়ন ওসমানের কাছে।
শামীম ওসমান ছিল মদখোর গাঁজাখোর আর তার ছেলে অয়ন ওসমান ছিল ফেন্সিডিলখোর ইয়াবা খোর, তাদের নেতৃত্ব আর কি হতে পারে। "
কাশিপুর ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি হিমেল মাদবরের সভাপতিত্বে ও কাশিপুর ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি জিতু হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল নেতা এনআরবি মামুন, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাইনুল হোসেন রতন, সাধারণ সম্পাদক আরিফ মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক ডালিম শিকদার, ফতুলা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আব্দুল খালেক টিপু, এনায়েত নগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম জসিম, কাশিপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সোহেল রানা, সদস্য সচিব রিজওয়ান সিকদার, বক্তাবলী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের, ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব রিয়াদ দেওয়ান, কাশিপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সদস্য কায়েস আহমেদ পল্লব সহ আরো অনেক নেতাকর্মীবৃন্দ।