Logo
Logo
×

নগরের বাইরে

গোগনগরের বিচ্ছু বাহিনী লিডাররা ফের তৎপর

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

গোগনগরের বিচ্ছু বাহিনী লিডাররা ফের তৎপর

গোগনগরের বিচ্ছু বাহিনী লিডাররা ফের তৎপর

 নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা শেখ হাসিনা পদত্যাগের পরপরই পালিয়ে গেলে ও আবারো বিএনপির কিছু নেতাকর্মীদের শেল্টারে ফের তৎপর হতে শুরু করেছে।  বিগত দিনে এ সকল সন্ত্রাসীরা তাদের (ফাদার)  শামীম, সেলিম, অয়ন, আজমেরী ওসমানের নামে গোগনগরে গ্রুপে গ্রুপে তৈরি করেছিলেন বিচ্ছু বাহিনী গ্রুপ। যাকে ঘিরে গোগনগরের প্রতিটি এলাকাকে অপরাধের জগত হিসেবে আখ্যা দিতেন অনেকেই আর এই সকল অপকর্মের পিছনে ছিলেন ওসমানদের অন্যতম দোসর গোগনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফজর আলী। নারায়ণগঞ্জে বিগত ১৬ বছর যাবৎ মানুষের প্রতি অন্যায় অত্যাচার সহ নানান রকম কার্যক্রম চালিয়েছে শুধু তাই নয় দখলবাজি, টেন্ডারবাজি সহ বিভিন্ন অপকর্ম করেই একে একে করেছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদ। বিশেষ করে আর মূল ব্যবসা ছিলো এলাকায় বিচ্ছু বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে অপকর্ম পরিচালনার মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে সরকারি-বেসরকারি অর্থ হাতিয়ে নেওয়া।


এদিকে আওয়ামী লীগের শাসনআমলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ব্যাপক আধিপত্য ফজল আলী একক নিয়ন্ত্রণ করলে ও এক পর্যায়ে ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ২০২২ সালের ২৮ জুন ফজর আলীর ‘বিচ্ছু বাহিনীর’ হামলা নিহত হন জেলা কৃষকলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও গোগনগর ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার অন্যতম সন্ত্রাসী দৌলত। এর পরপরই দৌলত মেম্বারের দুই ছেলে কাশেম সম্রাট ও ফয়সাল দৌলত মেম্বারের সকল অপকর্ম নিয়ন্ত্রণে নেন। যাকে ঘিরে গোগনগরে অপরাধ জগৎ দুই গ্রুপের আধিপত্য বেড়ে উঠে। যাদের মাধ্যমে সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত সেই গোগনগরে চলতো একের পর এক অপরাধ। নারায়ণগঞ্জ শহরের দক্ষিণ প্রান্তে ইউনিয়নটি থাকায় একের পর এক অপরাধ করেও পার পেয়ে যেতেন অপরাধীরা। কথায় কথায় সংঘর্ষ, খুন, ধর্ষণ ছিলো গোগনগরের নিত্যদিনের ঘটনা। আর এই অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণে ছিলেন সেই ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা। যাদের শেল্টারে দিন-রাত চলতো নানা রকমের অপরাধ। পটপরিবর্তনের পূর্বে গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজল আলী, গোগনগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার রুবেল, ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার জাহাঙ্গীর, ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাপ্পী প্রধান, নূর হোসেন মেম্বার ছিলেন একটি সিন্ডিকেটে। অন্যদিকে ছিলেন, ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার রফিক, সাবেক মেম্বার দৌলত হোসেন এর ছেলে সদর থানা কৃষকলীগের সভাপতি কাসেম সম্রাট ও সাধারণ সম্পাদক রানা আহম্মেদ ও দৌলত মেম্বারের আরেক ছেলে ফয়সাল, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আসলাম সরদার, সাধারণ সম্পাদক কালাই চাঁন মাদবর, জালাল মাদবর, গোগনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন সরদার, চাঁন বাদশা মাদবর, আমজাদ হোসেন মাদবর, মিজানুর রহমান মিজান, এরশাদ আলী এরা গঠন করেছিলেন আরেক সিন্ডিকেট।  কিন্তু উভয় শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান অয়ন ওসমান ও আজমেরী ওসমানের অনুসারী ছিলেন। তাদের আতঙ্কে বিগত দিনে আতঙ্কিত ছিলো গোগনগর ইউনিয়নের প্রত্যোকটি ওয়ার্ডের সাধারণজনগন।



জানা গেছে, শামীম ও সেলিম ওসমানের অতন্ত সহযোগী হিসেবে পরিচিত গোগনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজর আলী। যিনি বিগত দিনে শামীম ও সেলিম ওসমানের ছত্রছায়ায় পুরো গোগনগরবাসীকে নানা কায়দায় জিম্মি করে ভূমিদস্যু ও দূর্নীতিবাজ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বনে গেছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি, অসহায়দের নামে দেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার থেকে ও ৩৪ জনের ঘর আত্মসাৎ, হাট-ঘাট, ভূমিদস্যুতা, কয়লা ঘাটের পাথর বিক্রি, চোরাই তেল ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, বিচ্ছু বাহিনী দ্বারা নদী পথে মাদক ব্যবসা, এলাকায় বিদেশি মদ বিক্রি, অস্ত্র ব্যবসাসবই ছিলো এই ফজল আলীর নিয়ন্ত্রণে। আর  এই সকল কর্মকাণ্ড পালনে ফজল আলীর শেল্টারে সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন বিচ্ছু বাহিনীর লিডার ৮ নং ওয়ার্ডের সেই সন্ত্রাসী রুবেল মেম্বার। কয়লা ঘাটের পাথর চুরি করে বিক্রিসহ গোগনগর জুড়ে শামীম ওসমান, অয়ন ওসমানের নামে বড় বড় ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়ে প্রভাব খাটাতেন তিনি। এদিকে ২০২২ সালে গোগনগর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার দুর্ধর্ষ আরেক সন্ত্রাসী দৌলত মেম্বারকে হত্যা শাহ সিমেন্ট ও ক্রাউন সিমেন্ট ফেক্টরিতে ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করার বিরোধে শীতলক্ষ্যা সেতুর নিচে পিটিয়ে হত্যা করেন রুবেল মেম্বারসহ তার বাহিনী। পরবর্তীতে দৌলত মেম্বারের ছেলে কাশেম সম্রাট মামলা করলে সেই হত্যা মামলায় গ্রেফতার হন রুবেল। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের (২৩ নভেম্বর) জামিন পেয়ে গাড়ি ও মোটর সাইকেল বহর নিয়ে গোগনগরে আতঁশবাজি ফুটিয়ে শত শত লোক নিয়ে খিচুরী রান্না  করে আনন্দ উল্লাস করে রবেল বাহিনী। এর পর থেকেই বিগত দিন থেকে এলাকায় আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন তিনি। এ ছাড়া শামীম ও অয়ন ওসমানের শেল্টারে কখনো অস্ত্র হাতে প্রকাশ্যে দাবড়ে বেড়িয়েছেন, কখনো হামলা-মামলা করে লুটপাট করেছেন। এতে কেউ বাধা দিলে নেমে আসতো নির্যাতনের খড়গ। অয়ন ওসমানের সাথে রুবেল মেম্বারের ছিল দহরম মহরম সম্পর্ক। এমপি পুত্রকে নানা উপঢৌকন উপহার দিয়ে গড়ে তুলেছিলেন নিজের বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিগত দিনে রুবেলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ ১৩টি মামলা ছিল। রুবেল মেম্বারকে ইতোপূর্বে সকলে বিচ্ছু বাহিনীর প্রধান হিসেবে চিনতো। অনেকের জমি জোর পূর্বক দখল করে নেয়ার অভিযোগ ছিল রুবেল মেম্বার বাহিনীর বিরুদ্ধে।


তাছাড়া ও গত ৮ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন ভুক্তভোগী ভূমিহীনদের কয়েকজন। লিখিত অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, বিগত দিনে ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. রুবেল ও প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ভোল পাল্টে বিএনপির লোক বনে গিয়ে গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের পুরান সৈয়দপুর আশ্রয় কেন্দ্রে ১৬ জন ভূমিহীনের ঘরে তালা দিয়েছে। এদিকে রুবেল মেম্বারের বিচ্ছু বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে ছিলেন, মাসুদ, রিয়ান, সেলিম, আনসার, শাওন, হিমু, ইমরান, হাবিব।  বিগত দিনে এই রুবেল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে লাইসেন্স খুলে শামীম ও অয়ন ওসমানের মধ্যস্ততায় বিভিন্ন টেন্ডার পেতেন পরবর্তীতে বিভিন্ন টেন্ডার নিয়ে রড সিমেন্ট এনে আবার তার লোক দিয়ে চুরি করিয়ে দিতেন যেটা ফের সেই মালিকানাধীনদের উপরে জোর পূর্বক চাপিয়ে দিয়ে এমন দূর্নীতির মাধ্যমে বনে গেছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। এ ছাড়া ২০২২ সালের ৪ মার্চ গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সন্ত্রাসী ফজর আলী বিদেশ সফরে যাওয়ায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন রুবেল আহম্মেদ। সে সময় দীর্ঘদিন তিনি এই দায়িত্বে থাকার কারণে গোগনগরের আওতাধীন মসিনাবন্দ, বাড়ীরটেক, সৈয়দপুর পূর্ব, সৈয়দপুর পশ্চিম, সৈয়দপুর কদমতলী, নতুন সৈয়দপুর,  পুরাতন সৈয়দপুর, চর সৈয়দপুর সবই তার লোকবলদের মাধ্যমে দখলে নিতে ব্যাপক হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তা ছাড়া সেই ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যানের দায়িত্ব পেয়েই রুবেল বড় আকারে ভূমিদস্যু হিসেবে গোগনগরে চিহ্নিত হয়ে উঠেছিলেন। বর্তমানে ভোল পাল্টিয়ে নিজেকে বিএনপি নেতা হিসেবে দাবি করে ওসমানদের সেই দোসর রুবেল মেম্বার ফজর আলীর প্রেশক্রিপশনে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিএনপির কয়েকটি বলয়ের নেতাকর্মীদের মোটা অংকের টাকার মাধ্যমে ম্যানেজ করে ফের পুরো গোগনগর জুড়ে লুটপাট-জুলুম চালাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে রুবেলের ছত্রছায়ায় জাহাঙ্গীর মেম্বার চাঁদাবাজি ও ভূমি দুস্যতায় ছিলো পটু। আরও জানা যায় ৭নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন মানুষকে নলকূপ দেওযার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই জাহাঙ্গীর মেম্বার। ১নং ওয়ার্ডে মেম্বার বাপ্পী প্রধান, যিনি এবার প্রথম ইউপি সদস্য হয়েছেন। তিনিও ফজল আলীর চেয়ারম্যানের ছত্রছায়াই এলাকার লোকদের কল দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছে। আরও জানা যায়, গোপচর এলাকায় মাদক ব্যবসা ও ভূমিদস্যুদের সাথে এই বাপ্পী প্রধান জড়িত। একই সাথে গোগনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব নূর হোসেন ছিলেন এদের মধ্যেই আরেক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী সকল অপকর্মের পিছনে ছিলো এদের নাম। বর্তমানে এরা আবারো বিভিন্ন ছত্রছায়ায় ফের বেপরোয়া হয়ে উঠতে যাচ্ছে। চলমান বিশেষ যৌথ অভিযান অপারেশন ডেভিল হান্ট চললেও নিরাপদে আছেন এই সন্ত্রাসীরা। এদের মধ্যে বেশির ভাগই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে অস্ত্র চালিয়ে বর্তমানে বিভিন্ন হত্যা-মামলার আসামী হয়ে আছেন। এদের থেকে এলাকাবাসী দ্রুত পরিত্রান চায়।



কাশেম সম্রাট বাহিনী



বিগত দিনেও হত্যাসহ অসংখ্য মামলার আসামী ছিল নারায়ণগঞ্জের গোগনগর ইউনিয়নের সৈয়দপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টিকারী কাশেম সম্রাট, ফয়সাল ও রানা আহাম্মদ এবং তাদের বাহিনীর লোকজন। এরপর নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে সন্ত্রাসীদের গডফাদার শামীম ওসমান ও তার পুত্র অয়ন ওসমানের ছত্রছায়ায় বাগিয়ে নেয় নারায়ণগঞ্জ সদর থানা কৃষকলীগের কমিটি। সেই কমিটির সভাপতি পদে কাশেম সম্রাট ও সাধারণ সম্পাদক পদে রানা আহাম্মেদ নেতৃত্বে আসার পরে আরো দুর্র্ধষ হয়ে উঠে তারা। গত জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালেও গডফাদার শামীম ওসমানের সঙ্গে উপস্থিত থেকে ছাত্র জনতার উপর গুলিবর্ষণের ভিডিও ফুটেজেও স্পষ্ট দেখা গেছে কাশেম সম্রাট, ফয়সাল ও রানাকে। তাদের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে একাধিক হত্যা মামলা হলেও অদ্যাবধি অধরাই রয়ে গেছে কাশেম সম্রাট, ফয়সাল ও রানা এবং তাদের বাহিনীর লোকজন। বরং প্রশাসনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে নির্বিঘ্নে সৈয়দপুর এলাকায় অবস্থান করে নিরবে চাঁদাবাজি করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।


এ ছাড়া কাশেম সম্রাটের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ১৯টি মামলা রয়েছে। ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জসিম হত্যা মামলায় (নং ২৯) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন কাশেম সম্রাট। একই সাথে ২০১৯ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আনসার আলী নিকট আত্মীয় জসিম উদ্দিনকে কাশেম সম্রাটরা হত্যা করে নিজস্ব অফিসে লাশ গুম করে রাখে। সাত দিন পরে পুলিশ জসীমউদ্দীনের গলিত লাশ উদ্ধার করে। দৌলত মেম্বারের দুই পুত্র কাশেম সম্রাট ও ফয়সাল হচ্ছে চর সৈয়দপুরের মানুষের কাছে এক আতঙ্কের নাম। সৈয়দপুর এলাকার আব্দুল জলিলের পুত্র রানাও দীর্ঘদিন ধরে তাদের সঙ্গে যুগপৎভাবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে নিয়োজিত। তারে বাহিনীর আরো সদস্যদের মধ্যে রয়েছে সৈয়দপুর এলাকার বাবু, সোহেল, মুহসিন। এদিকে ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার রফিক সম্রাট ও রানার মধ্যস্ততায় রফিক মেম্বার নাসিম ওসমান সেতু চত্ত্বরের সামনে রানা মার্কেটে দিয়েছে তেলের ব্যবসা। সেখানে সে রাতের আধারে বিভিন্ন ট্রাক ও নদীতে ট্রলার ও সিপ থেকে চোরা তেল কিনে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ ছাড়া গোগনগরের ৯ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত বিভিন্ন সিমেন্ট ফ্যাক্টরি, পরিবহন সেক্টর, নদী পথের মাদক সিন্ডিকেটসহ সকল অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন এই বাহিনী। এ ছাড়া গত এক ট্রাম্পে ফজল আলীর সাথে যুদ্ধ করে শামীম, সেলিম ও অয়ন ওসমানকে মোটা অংকের হাদিয়া দিয়ে কয়লাট ঘাটের হাটের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিলেন। কিন্তু গতবার তারা বহু চেষ্টায় টেন্ডার নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি তা হাতিয়ে নিয়েছিলেন রুবেল মেম্বার। বর্তমানে এই বাহিনীর সদস্যরা কেউ জাকির খান কেউ আবার গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কিছু কথিত নেতকার্মীদের সাথে মিলে এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন