Logo
Logo
×

নগরের বাইরে

বিসিকের ঝুট সেক্টর দখলে ব্যাপক সংঘর্ষের আশঙ্কা

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

বিসিকের ঝুট সেক্টর দখলে ব্যাপক সংঘর্ষের আশঙ্কা

বিসিকের ঝুট সেক্টর দখলে ব্যাপক সংঘর্ষের আশঙ্কা

আওয়ামী লীগের শাসন আমলে ফতুল্লার শাসনগাঁও বিসিকের সকল শিল্প-কারখানাগুলোর ঝুট সেক্টর থেকে শুরু করে সব কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ ছিলো ওসমান পরিবারের। যাকে ঘিরে গত ১৭ বছর বিভিন্ন কায়দায় বহু নির্যাতনের মাধ্যমে বিসিক শিল্প অঞ্চলকে ধ্বংস করে ফেলেছিলেন সেই পরিবারটি। এদিকে সরকার পরির্বতনের পর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা বিসিকের শিল্প-কারখানাগুলোর ঝুট সেক্টরসহ সুতার কোন, কার্টুনসহ বিভিন্ন ওয়েস্টেজ, ডিজেল-নাস্তা বানিজ্যে যেগুলো আওয়ামী লীগের ওসমানদের লোকজনের দখলে ছিলো সে সব শিল্প-কারখানাগুলোর সেগুলো নিয়ন্ত্রণে হাত বদল হয়ে বিএনপির একাধিক সিন্ডিকেটের হাতে চলে গেছে। যেখানে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, কৃষকদলের জেলা ও মহানগরের বহু পদধারী নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া বিগত দিনে একক আধিপত্য থাকলে বর্তমানে দলীয় সরকার গঠন না হওয়ায় বিসিকের শিল্প অঞ্চলে আধিপত্য নিয়ে শিল্পনগরী আবারো অশান্ত হয়ে উঠেছে। ঝুট এর নিয়ন্ত্রণ নেওয়াকে কেন্দ্র করে কিছুদিন পরপরই এখানে বড় ধরণের সংঘর্ষের ঘটনা বিরাজমান রয়েছে। এতে করে অজানা আশঙ্কায় আতঙ্কে সবসময় বিসিক থমথমে অবস্থায় থাকে। এ ছাড়া কিছুদিন যাবৎ এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এড. আলমগীর বাহিনী ও ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদ গ্রুপের মধ্যে ঝুট সেক্টর দখলে নিতে পাল্টাপাল্টি মহড়ার পর এবার ব্যাপক সংঘর্ষের আশঙ্কা পাওয়া যাচ্ছে।



এদিকে অভিযোগ রয়েছে, বর্তমানে ওসমানদের দোসর বিকেএমই‘এ এর সভাপতি  মোহাম্মদ হাতেম গত ৫ আগষ্টের পর ২৪ আগষ্ট  সেলিম ওসমানের প্রেসক্রিপশনে বিকেএমই‘এ এর সভাপতির দায়িত্ব পেয়েই বিসিকের ঝুট সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যে বিএনপি নেতা তার চেয়ার বাচাঁতে পারবে এমন নেতাকর্মীদের বিসিকে ও চাষাড়া বিকেএমই ‘এ এর ভবনে ডেকে ঝুট সেক্টর ভাগাভাগি করে দেয়। এদিকে বর্তমানে একক নেতৃত্ব না থাকায় বিশৃঙ্খলা লাগতে পারে ঝুট নিয়ে তা ভেবে চিন্তে হাতেম বিসিকে বিএনপি-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ লাগাতেই তিনি কাউকে দিয়েছেন ১৩ টা আবার কাউকে দিয়েছেন ৫ টা যা নিয়েই বর্তমানে হাতেমে ক্ষোভ বাড়ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালেই বিসিকের ফকির গার্মেন্টস এর ঝুট নিয়ন্ত্রণ নেওয়াকে কেন্দ্র করে মুখোমুখি অবস্থান নেয় বিএনপির দুই পক্ষ। এ অবস্থান নেওয়ার কৌশল হিসেবে দুই পক্ষই সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে মানববন্ধনকে বেছে নেয়। দুই পক্ষই ভিন্ন ভিন্ন সময়ে একই এলাকায় মানববন্ধন করে নিজেদের শক্তির জানান দেওয়ার চেষ্টা করেন।দুই পক্ষের মধ্যে  একপক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এড.আলমগীর ও জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি এবং অন্য পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদ ও ফতুল্লা থানা কৃষকদলের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আমীর ব্যাপারী। এ সময় সংঘর্ষের আশঙ্কায় অতিরিক্ত  পুলিশ মোতায়েন থাকতে দেখা গিয়েছে। শ্রমিক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যো দেখা দিয়েছিলো আতঙ্ক।তবে শেষতক কোনো সংঘর্ষ ছাড়াই মহড়া, পাল্টা মহড়া ও মানববন্ধনের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ থাকে পরিস্থিতি। তবে যে কোনো সময় বড় ধরণের সংঘর্ষের ঘটনার আশঙ্কা রয়ে গিয়েছিলো।


এনায়েতগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এড.আলমগীরের অভিযোগ ছিলো রাসেল মাহমুদকে ২৩ টি গার্মেন্টস এর ঝুঁট দেওয়া হচ্ছে। সে গ্রেফতার হওয়ার পরও সে ভাগ পেয়ে আসছে। কিন্তু ফকির এর ঝুট ৫০০ এর উপর ভাগ হয়। এর ভাগ বিএনপির সবাই পায়। কিন্তু জামিন পাওয়ার রাসেল ফকির এর নিয়ন্ত্রনও নিতে চাচ্ছে। অন্যদিকে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদের অভিযোগ রয়েছে, ফকির গ্রুপ আমাদের গ্রামে (এনায়েতনগর ২ নং ও ৭ নং ওয়ার্ড)তাই আমরা চাই আমাদের গ্রামের মানুষই এর সুফল পাক।কিন্তু বহিরাগতরা এখানে এসে ঝুট সন্ত্রাসী করে। বিকেএমইর সভাপতি হাতেমের মধ্যস্থতায় ২১ লাখ টাকা ডিপোজিট করেছিলাম। কিন্তু ঝুট আমরা পাই না।অন্য কেউ নিয়ে নিচ্ছে। পরে টাকা তুলে নিয়েছি। ফকির এর ঝুটের টাকা ২ নং ওয়ার্ডের সভাপতির হাতে ১ লাখ টাকা তুলে দেওয়া হয়। বাকি সব টাকা এড. আলমগীর ও মশিউর রহমান রনিরাই নিয়ে যায়। উভয়পক্ষের এমন অভিযোগের পর ও কোন সুরাহা না হওয়ায় সংঘর্ষের আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাকে ঘিরে বর্তমানে আলোচনা উঠছে বিসিকে শীগ্রই ব্যাপক সংঘর্ষ হতে পারে সেই প্রস্তুতি নিতে চলেছে উভয় পক্ষসহ আরো বাহিরের বেশ কয়েকটি গ্রুপ।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন