Logo
Logo
×

নগরের বাইরে

কাঠেরপুলের ত্রাস সোহেল-রবিন বেপরোয়া

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

কাঠেরপুলের ত্রাস সোহেল-রবিন বেপরোয়া

ফতুল্লার শিবু মার্কেট, লামাপাড়া, কাঠেরপুল এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যাবসায়ী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী সোহেল খন্দকার ও চিহ্নিত অস্ত্র ব্যাবসায়ী রবিন ওরফে অস্ত্র রবিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তথ্যমতে, কাঠেরপুল লামাপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই মাদক ব্যাবসা চালিয়ে আসছিলেন এই সোহেল।এই সোহেল স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকটি মাদকের স্পট পরিচালনা করে আসছে।মাদক ব্যাবসায় সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে ডিবি কর্তৃক একাধিকবার গ্রেফতারও হয়েছিলেন।তার মাদক ব্যাবসা পরিচালনা করার জন্য রয়েছে একাধিক কিশোরগ্যাং গ্রুপ।এই কিশোরগ্যাং গ্রুপকে ব্যাহার করে সোহেল বহু অপকর্ম করে দাবড়িয়ে বেরাচ্ছে।



অন্যদিকে খালিদ হোসেন রবিন ওরফে অস্ত্র রবিন স্থানীয়ভাবে অস্ত্র ও মাদক ব্যাবসায়ী হিসেবে পরিচিত।গত বছরেও  ফতুল্লা থেকে বিদেশি পিস্তল,গুলি ও মাদকসহ এই অপরাধীকে গ্রেফতার করেছিলো জেলা পুলিশের বিশেষ গোয়েন্দা শাখা।তবে জামিনে এসে পূনরায় সেই অস্ত্র ব্যাবসা ও মাদক বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।তার নামে ইতিমধ্যো ওয়ারেন্ট রয়েছে বলে জানায় স্থানীয়রা।স্থানীয়রা বলছেন এই দুই শীর্ষ অপরাধী সোহেল ও রবিন এর বিরুদ্ধে প্রশাসন যথাযথ ব্যাবস্থা নিলে কাঠেরপুলের অপরাধ অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে।



সরেজমিনে পরিদর্শন করে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়,সোহেল ও রবিন আওয়ামীলীগের শাসনামলে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সাথে মিলেমিশে তার অপরাধ সা¤্র্জ্যা নিয়ন্ত্রন করে আসছিলো।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সাথে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালায়।যার কারনে এই সোহেলের বিরুদ্ধে সরকার পতনের পর হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়।তবে সে সরকার পতনের পরও অপরাধ সাম্রাজ্যের ইতি না টেনে বরং খোলস পাল্টে এখন বিএনপির এক শীর্ষ নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে তার সাথে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে সমানতালে তার অপরাধ সাম্রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।অস্ত্র ব্যাবসায়ী হিসেবে পরিচিত রবিন ও একই কায়দায় তার অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছেন।তবে এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজিব বলেন,অনেকেই বিএনপির নেতাদের সাথে ছবি তুলেন।অনেককে নেতারা চিনেই না।কিন্তু ছবি তুললে তো না করা যায়না।তবে এলাকাভিত্তিক যারাই অপকর্ম করবে তার দায়ভার তার নিজের।যৌথ বাহিনীকে বলবো অতিদ্রুত সোহেল কিংবা রবিনের  মতো সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করুন।



সর্বশেষ গতকাল কাঠেরপুলে এক ব্যাক্তির গোডাউনে রক্ষিত ওয়েস্টিজ এর মালামাল লুট করার অভিযোগ উঠেছে ।এ ব্যাপারে তিনি ১০ লক্ষ টাকার মালামাল লুটের ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ্য করে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এ ব্যাক্তি আরোও জানান,মালামাল লুটের সময় তারা যে মাদকের নাটক সাজিয়েছে তা সাধারণ মানুষ স্পষ্ট বুঝতে পেরেছে।কারন এ এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী হিসেবে পরিচিত সোহেল।সে নিজে মাদক ব্যাবসায়ী হয়ে মাদক পাওয়ার নাটক সাজিয়ে ওয়েস্টিজ এর মালামাল লুট করেছেন।তথ্য নিয়ে দেখা যায় যে ,যে গোডাউন থেকে মাদক পাওয়ার দাবি করেছেন সোহেল ও এলাকাবাসী সে গোডাউনটি স্বয়ং মাদক ব্যাবসায়ী সোহেলের নামেই ভাড়া নেওয়া।এলাকাবাসী বলছে প্রকৃত অপরাধীরা নিজেদের বাচাতে অন্যজনকে ফাসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।



এলাকাবাসী আরোও জানায়,স্থানীয় সন্ত্রাসী অস্ত্র ব্যাবসায়ী রবিন,আওয়ামী দোসর গোলজার যিনি আওয়ামীলীগের সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সাথে দাবড়ে বেড়াতেন এখন আবার খোলস ছেড়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন।যিনি ইতিমধ্যো বিভিন্ন উপলক্ষ আসলেই ব্যাক্তি ও বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে ঘুরে ঘুরে চাদা দাবি করেন।ঝুটের জন্য দৌরঝাপ করেন।এলাকাবাসী বলছে গোলজার হলো একজন দুষ্ট প্রকৃতির লোক।তার কাজই হলো মানুষের সাথে মিশে তার থেকে সবধরনের সুযোগ সুবিধে নেওয়া।তার নেওয়ার পালা শেষ হলেই যাদের থেকে সুবিধে নিতো তাদের বদনাম অন্য কাউকে করে তার থেকেও সুবিধে নেওয়ার চেষ্টা করা।তারা দাবি জানিয়েছেন কাঠেরপুল থেকে চিহ্নিত অপরাধীদের যেনো নিশ্চিহ্ন করা হয়।



এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ডিবি) তারেক আল মেহেদী বলেন, এলাকাভিত্তিক যারাই অপরাধ করবে তথ্য পেলে তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।অপরাধীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।



এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ বলেছেন,একটি গোডাউনে লুট হওয়ার খবর আমরা পেয়েছি।অভিযান চালিয়ে মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।যারাই অপরাধ করবে অতি দ্রুত তাদের গ্রেফতার করা হবে।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন