Logo
Logo
×

নগরের বাইরে

দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজিসহ অনিয়মের পাহাড় গড়েছেন

গাবতলী-ইসদাইরবাসীর আতঙ্কের নাম রফিকুল ইসলাম জীবন

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম

গাবতলী-ইসদাইরবাসীর আতঙ্কের নাম রফিকুল ইসলাম জীবন

ক্যাপশন : গাবতলী সোসাইটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম জীবন ফুটপাত দখল করে এসব দোকান বসিয়ে নিয়মিত চাঁদা উঠিয়ে থাকেন। ইনসেটে কামরুল মেম্বার ও শামীম ওসমানের শিষ্য রফিকুল ইসলাম জীবন।

 গাবতলী-ইসদাইরবাসীদের মধ্যে এক মূর্তিমান আতংকের নাম রফিকুল ইসলাম জীবন। জনপ্রিয়তা না থাকলেও শুধুমাত্র ভীতির কারণে এই অখাদ্যকে দশ বছর ধরে ধারণ করে গাবতলী সোসাইটির মানুষ। টানা দশ বছর ধরে আঁকড়ে আছেন গাবতলী সোসাইটির সভাপতির পদটি। এই পদটি পেতে তাকে কোন বেগ পেতে হয়নি। এলাকার মানুষের ভোটও তাকে নিতে হয়নি। জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য তাকে কোনদিন নির্বাচনেও অংশ নিতে হয়নি। প্রতিবাদহীন রাজত্বে গত দশ বছর ধরে একচেটিয়া রাজত্ব করে যাচ্ছেন রফিকুল ইসলাম জীবন। এনায়েতনগর ইউনিয়নের কামরুল মেম্বারের হাত ধরেই মূলত: গাবতলী এলাকায় জীবনের উত্থান। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জের বিগত সময়ের আলোচিত গডফাদার শামীম ওসমানের কর্মী হিসাবে পরিচিত কামরুল মেম্বার তার সকল অপকর্মকে ধামাচাপা দিতে মূলত: জীবনের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন। এই কামরুল মেম্বারই মরহুম মির্জা সামসুল ইলসামের সহযোগীতায় এলাকার মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে রফিকুল ইসলাম জীবনকে গাবতলী সোসাইটির সভাপতির পদে বসান।যা আজও তার ছত্রছায়ায় টিকে আছে। কামরুল মেম্বার মূলত: গডফাদার শামীম ওসমানের বিশ^স্ত সহচর। গাবতলী-ইসদাইর এলাকায় যারা বাড়ি ঘর, দোকানপাট নির্মাণ কিংবা বিভিন্ন কল-কারখানা করে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন, তারা সকলেই দেশের নানা স্থান থেকে এসে জমি কিনে ওই থাকছেন এবং ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। এই মানুষগুলো পুরোটাই জিম্মি হয়ে পড়েছেন জীবন গংদের হাতে।


শামীম ওসমান পালিয়ে গেলেও তার দোসর হিসাবে কামরুল মেম্বার গাবতলী-ইসদাইর এলাকায় বহাল তবিয়তে রাজত্ব করে চলেছেন। কামরুল ইসলাম মেম্বারের সাথে রফিকুল ইসলাম জীবনের সখ্যতার খবর নিয়ে এলাকায় চমকপ্রদ কাহিনী প্রচলিত আছে। দশ বছর আগে কামরুল ইসলাম মেম্বার মানুষের খালি জায়গা, রাস্তা দখল করে গাছ লাগাচ্ছিলেন। এলাকাবাসী কামরুল ইসলাম মেম্বারের অপকর্ম প্রতিহত করতে স্মরণাপন্ন হন রফিকুল ইসলাম জীবনের কাছে। এলাকার লোকজন জীবনকে তখন শামীম ওসমানের ঘনিষ্ট লোক হিসাবে প্রভাবশালী মনে করতেন। এলাকার লোকজনের কথামতো রফিকুল ইসলাম জীবন দেখা করলেন কামরুল মেম্বারের সাথে। তাকে বেশকিছু হুমকি-ধামকি দিলেন। কিছুদিন পর এলাকাবাসী দেখতে পেলেন কামরুল মেম্বারের সাথে জীবনের গলায় গলায় পিড়িতি গড়ে উঠেছে। এই কামরুল মেম্বার গাবতলী সোসাইটি গড়ে তুলে জীবনকে সভাপতির পদে বসিয়ে দেন। সেই থেকে জীবন আজীবনের জন্য গাবতলী সোসাইটিতে সভাপতির পদ অলংকৃত করে আসছেন। গাবতলী সোসাইটিতে বসবাসরত কিছু দূর্নীতিবাজ,  মেরুদন্ডহীন বাড়ির মালিক সারাদিন জীবনের পদলেহনেই ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। অভিযোগ রয়েছে, খ্রীষ্টানদের কবরস্থান ( মেনন কবরস্থান ) সামনের রাস্তায় যতগুলো অবৈধ দোকান রয়েছে, তার সবকটি কামরুল মেম্বারের। সেখান থেকে প্রতিমাসে ভাড়া তোলেন কামরুল মেম্বার। এই কবরস্থানের ঠিক উল্টোপাসে বসানো অবৈধ দোকানগুলো থেকে ভাড়া উত্তোলন করেন রফিকুল ইসলাম জীবন। দোকানদাররা জানিয়েছেন, মাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে রফিকুল ইসলাম জীবনের লোক এসে ভাড়া তুলে নিয়ে যান।



এলাকাবাসী জানিয়েছেন, গাবতলী সোসাইটি ওই এলাকার জন্য একটি আতংকের নাম। সোসাইটির পক্ষ থেকে প্রতিটি বাড়ি এবং  দোকানে কার্ড দেয়া হয়েছে। এই কার্ডের বিপরীতে এলাকার উন্নয়নের কথা বলে গাবতলী সোসাইটি চাঁদা উঠিয়ে থাকে। চাঁদার টাকা কোন খাতে কত খরচ হচ্ছে তা এলাকার কেউই জানেননা। এমনকি সোসাইটির আউয়াল মার্কা কয়েকজন নেতা ছাড়া টাকা লোপাটের তথ্য আর কারও জানা নেই।

রফিকুল ইসলাম জীবনের আধিপত্যবাদ, অনিয়ম এবং সর্বোপরি যেদল ক্ষমতায় আসে, সেই দলের লোক হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে এলাকাবাসীকে শোষণ করার বিষয়ে ক্ষোভে ফুসছে গাবতলী-ইসদাইরবাসী। তারা এখন মুখ খুলতে শুরু করেছেন রফিকুল ইসলাম জীবনের নানা অনিয়ম,অত্যাচার ও চাঁদাবাজির বিষয়ে। যেকোন দিন এনিয়ে গণবিষ্ফোরণ ঘটবে বলে এলাকাবাসী মনে করছেন। 

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন