গাবতলী সোসাইটি ও মসজিদ কমিটিগুলো পুনর্গঠনের দাবি এলাকাবাসীর

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম

এলাকার মানুষ চাইলে গাবতলী সোসাইটিতে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেয়া হবে : অধ্যাপক মনির
এনায়েতনগর ৯নং ওয়ার্ড ইউনিয়নের বাসিন্দা ও ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস.এম আব্দুল্লাহ খান গাবতলী সোসাইটির নামে সভাপতি রফিকুল ইসলাম জীবনের স্বেচ্ছাচারিতা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ৭ আগস্ট তারা কাউকে কোন কিছু না বলে হঠাৎ করে গাবতলীতে সোসাইটির একটি মিটিং ডাকলো। এই মিটিংয়ে প্রতিষ্ঠিত করলো বহিরাগত লোকদের। অথচ গাবতলী এলাকার যারা স্থানীয় যারা সোসাইটির সদস্য আছে তাদের সাথে কোনপ্রকার আলোচনা না করে সে মিটিং দিল, এ মিটিং দিয়ে গার্মেন্টস এর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে নিলো। গাবতলীর ৯ নং ওয়ার্ডের আন্ডারে তিনটা গার্মেন্টস আছে। আরটি ফ্যাশন, আমেনা গার্মেন্টস, ফাইন টেক্স এই ৩টি গার্মেন্টস থেকে তাকে ২০ শতাংশ টাকা দেওয়া লাগে। এটা আমি নিজে সাক্ষী। ফতুল্লা ইউনিয়নের ছয় নং ওয়ার্ড টাগারপার। সেখান থেকে কিছু গার্মেন্টস এ কমিশন নেয়।তাগারপাড়ে যে সব লোক আছে কিছু বহিরাগত আছে।তাদের মাধ্যমে সে টাগারপাড়ের গার্মেন্টসগুলো কন্ট্রোল করতেছে। এ খাত থেকে পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা আসে। বিসিক এর ভিতরও হাতেম তাকে পাঁচ থেকে সাত টি গার্মেন্টস তার নামে দিয়েছে। যে কোন প্রকারে কোন নিউজ না করে।
তিনি বলেন, মতিন সাহেব, আউয়াল সাহেব তাদের সম্পর্কে ব্যক্তিগতভাবে আমরা জানি তারা ভদ্রলোক। নিজের আধিপত্য ধরে রাখার জন্য তারা এই মতিন সাহেবের মতো, আউয়াল সাহেবের মত ভদ্রলোকদের ব্যবহার করছে।আমরা বর্তমান সোসাইটিতে যারা আছে তাদের চাই না । পুনরায় এ কমিটি পুনর্গঠন হোক। এটা ভেঙে নতুন করে পুনরায় চালু করা হোক আমরা চাই।কমিটিতে আমরা এখানে সবাই মিলে মিশে থাকি।আমাদের ওয়ার্ডের ভিতরে আমরা কোনো ঝগড়া চাইনা। আমাদের পক্ষ থেকে কোন প্রকারে বিশৃঙ্খলা হইতে দেই না, ভবিষ্যতেও আমরা দিব না। মসজিদ কমিটি নিয়ে বলতে চাই এই কমিটিও পুনঃগর্ঠন করা হোক। আমিও একজন মসজিদ কমিটির সদস্য। কমিটির সভাপতি সেক্রেটারিকে বলতে চাই এখানে আওয়ামী লীগের দোসররা রয়েছে। তারা থাকতে পারে কিন্তু কোন প্রকারে সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। পুনরায় মুরুব্বি যারা আছে মুরুব্বিদের মূল্যায়ন করা হবে।তিনি আরো বলেন, একটি পত্রিকায় দেখলাম অল্প কিছু মানুষ তার (জীবন) নামে বিবৃতি দিয়েছে। এইটা মিথ্যা কথা। এখানে সহীদ অসুস্থ।সে একটা বিবৃতি দিবে কিভাবে। হযরত আলী সাহেব একটি টেক্সটাইলের মালিক।সে এগুলো কেন বলবে? মাসদাইর ও কাশীপুর সে সময় থাকতো। কাশীপুরে মানুষ তাকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করেছে। মাসদাইর থেকেও বিতাড়িত হয়েছিল ।এখন এখানেও এমন অবস্থা করেছেন এখানকার মানুষ আপনার উপর ক্ষিপ্ত। এলাকায় কিছু হলেই আপনি বাইরের থেকে আপনার বাহিনীর সদস্যদের হায়ার করে নিয়ে আসেন। আপনি এখানে একটা জোন বানাইছেন।
এ বিষয়ে সোসাইটির সদস্য অধ্যাপক মনির বলেন, এর আগে অন্যজন সভাপতি ছিল। কিন্তু সে ঠিকমতো হিসাব দিতো না।তাই আমরা জীবন কে বলেছি দায়িত্বটা আপনি নেন। তার আমলে উন্নয়নও হয়েছে।ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।প্রথম প্রথম হিসেব দেখেছি কিন্তু পরে হিসেব এর ব্যাপারে আমরা বলিনি আর উনি দিয়েছে কিনা সেটাও জানা নেই।এলাকার মানুষ যদি চায় উনি দায়িত্বে থাকবে না তাহলে থাকবে না, এলাকার মানুষ যদি মনে করে জীবনকে রাখবে না তাহলে রাখবে না। যেকোনো একজনকে দায়িত্ব দেয়া হবে। তবে যেই ক্ষমতা নিক তাকে স্বচ্ছতার সাথে হিসেব দিতে হবে।হিসেবে কোনো অনিয়ম হতে দেওয়া হবে না।