Logo
Logo
×

নগরের বাইরে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

পাঁচ সহযোগীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম

পাঁচ সহযোগীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পাঁচ সহযোগীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

Swapno

  সিদ্ধিরগঞ্জে মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম মূখ্য সংগঠক তাকবির আমান (২৪) এর বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে মিজমিজি কালুহাজী এলাকায় একটি বাসায় তার প্রেমিকার বাসায় গেলে এলাকাবাসী তাদেরকে আটক করে। পরে তার সহযোগীদের খবর দিলে তারা এসে স্থানীয়দের উপর হামলা করে আমানকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী ক্ষুব্দ হয়ে তার সহযোগী পাচজনকে আটক করে গণধোলাই দেয়।



এ ঘটনায় পরদিন মঙ্গলবার আমানের চার সহযোগীর নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ দায়ের ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুর আলম।



অভিযুক্তরা হলেন- তাকবির আমান (২৪), মিনহাজ (২৫), সৈকত (২৪) ও তানবির (২৪)। তাকবির আমান নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম মূখ্য সংগঠক।



অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাদীর কিশোরী মেয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে ৮ম শ্রেণীতে পড়াশুনা করে। তার মেয়ে স্কুলে যাতায়াতের সময় বিবাদী তাকবির আমান প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বিষয়টি ভূক্তভোগী মেয়েটি তার পিতাকে জানালে তারা তাকে সতর্ক করেন এবং তার অভিভাবকদের ঘটনাটি জানায়। এর জেরে সোমবার ৭ এপ্রিল মামলার বাদী ও তার স্ত্রী ছেলে-মেয়েকে বাসায় রেখে কাজে গেলে বিকেলে তাকবির তাদের বাসায় যায়। এসময় বাদী বাসায় ফোন করলে ছেলের কাছ থেকে জানতে পারেন যে তার মেয়েকে তাকবির জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। এসময় তার মেয়ের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে বিবাদীকে ঘরে তালা বন্ধ করে রাখেন। পরবর্তীতে তাকবিরের পবিবারের লোকজনদের খবর দিলে তারা আরো ৫০/৬০ জন অজ্ঞাত লোকজন ডেকে নিয়ে এসে তাকবিরকে নিয়ে চলে যান।



সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহিনুর আলম জানান, ওদের একে অপরের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটি বিয়ের জন্য দাবি করে আসছিল। ছেলেটি বিয়ে না করায় মেয়েটির পিতা এই অভিযোগ দিয়েছেন। তারপরও আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।



এদিকে এলাকাবাসী জানায়, আমান ও ভুক্তভোগীর সাথে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। সেই সুবাদে আমান প্রায়ই তার প্রেমিকার বাসায় আসা-যাওয়া করতো। বিষয়টি টের পেয়ে সোমবার রাতে তাদেরকে মেয়ের বাসায় আটক করে। পরে দেনদরবারের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করা হয়। এক পর্যায়ে আমানের সহযোগী ৩০/৪০ জন এসে  স্থানীয়দের উপর আক্রমনাত্মক হয়ে উঠে এবং কয়েকজনকে আহত করে আমানকে জোড়পূর্বক ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় এলাকাবাসী আমানের পাচ সহযোগীকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মাহফুজ বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। তবে কোনো ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না। যে ব্যক্তি অপরাধ করবে তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে, এটাই আমাদের চাওয়া। আমরা বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।’

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন