Logo
Logo
×

নগরের বাইরে

বন্দরে চলছে নিয়ন্ত্রণের রাজনীতি

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম

বন্দরে চলছে নিয়ন্ত্রণের রাজনীতি

বন্দরে চলছে নিয়ন্ত্রণের রাজনীতি

Swapno

নারায়ণগঞ্জ মহানগরের আওতাধীন বন্দর থানা ও বন্দর উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন বলয়ধারী নেতারা মুখ থুবড়ে পরছে। নানা বলয়ের নানা ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রমসহ নানা মত ইচ্ছার কারণে বর্তমানে বন্দরে বিএনপির ৩/৪  গ্রুপে পরিণত হয়েছে। যাদের মধ্যে নেই একত্মতা যে যার যার মতোই নিজ নিজ বলয় নিয়ে বেপরোয়ার রাজনীতি করে বেড়াচ্ছেন। যাকে ঘিরে মাঠ পর্যায়ের কর্মী ও পরীক্ষিত নেতারা দিন দিন এই নেতাদের থেকে নিস্কিয় হয়ে পরছে। এদিকে দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় থাকা দল বিএনপিতে পটপরিবর্তনের পর ভিন্ন দশা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিএনপিতে এখন নেতার ভিড়ে কর্মী চেনা যায় না। 


এদিকে বন্দরে, ওয়ার্ডে- ইউনিয়নে যেখানেই যাই না কেন কেবল নেতা আর নেতা! পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল এমনকি গাছগাছালি পর্যন্ত রক্ষা নেই, সবখানে কেবল নেতাদের ছবি। প্রশ্ন জাগে, নেতাদের এই যে ক্রমবর্ধমান বিস্তারে শেল্টার দিচ্ছেন কারা। তা ছাড়া নারায়ণগঞ্জবাসী সবর্দা এক কথায় বিশ^াসী যে বন্দর কখনো আওয়ামী লীগ-বিএনপি দিয়ে চলে না। এই থানা ও উপজেলার সকল নেতারাই ক্ষনে আওয়ামী ক্ষনে বিএনপি। তা ছাড়া বর্তমানে বন্দরে বিএনপির দৈন্যদশা বিরাজমান রয়েছে। সকল নামধারী বিএনপি নেতারাই এখন নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। কেউ কেউ পটপরিবর্তনের পর হাট-ঘাট দখলসহ কয়েকটি জাহান কর্তন করে কোটি কোটি টাকা গাড়ি দিয়ে শো-অফ করছেন। 


আবার অনেকজন এমন গাড়ি কেনার টাকা যোগাতে ব্যবসায়ীসহ অনেকের উপরে চালাচ্ছেন ব্যাপক নির্যাতন, কেউ আবার ঝুটসহ বহু অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন অন্যদিকে আরেক গ্রুপ আকিজসহ নানা গ্রুপসহ বিভিন্ন জায়গার টেন্ডারবাজি বিগত দিনে আওয়ামী লীগের হাতে থাকা সকল কন্ট্রাকগুলো নানা কায়দায় নিজ দখল নিচ্ছেন। একই সাথে বাদ দিচ্ছেন না হাট-ঘাট, স্ট্যান্ড, বাজার সবই এখন বিগত দিনে আওয়ামী লীগ ও বর্তমানে বিএনপি করা নেতাদের নিয়ন্ত্রণে। যে যার যার মতো বলয়ের রাজনীতিতে মিলে সবই দখলে নিচ্ছেন। এদিকে দখল নিয়ে পট পরিবর্তনের পর পর দফায় দফায় সংঘর্ষ লক্ষ্য করা গেছে বন্দরে। তা ছাড়া বর্তমানে সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জের কয়েকটি স্থানে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল দেখা গেছে। যে মিছিলগুলো সফল করতে সেখানে বন্দরের অনেকেই ছিলো বলে গুঞ্জন রয়েছে। বিশেষ করে গতকাল কাচঁপুরে মুখ বেধে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলে বন্দরের কয়েকজন ছিলো বলে অভিযোগ রয়েছে।



এদিকে জানা গেছে, দীর্ঘদিন পরপরই নানা হাঁক ডাক দিয়ে বন্দরের এই নেতারা নিজেদের ক্লিন ইমেজ হিসেবে দাবী করলে ও এটু-জেড সবই বিগত দিনে আওয়ামী লীগের সাথে আতাঁতের রাজনীতি ও বর্তমানে পটপরিবর্তনের পর দখলের রাজনীতির সাথেই যুক্ত রয়েছে। বন্দর থানা ও উপজেলায় বিএনপি-যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি করে বন্দরে থাকা সবই যে যার যার মতো নিয়ন্ত্রণে রাখছেন। কিন্তু বর্তমানে বিএনপি যে নির্বাচনমুখী অবস্থায় আগামীতে জটিলতার দিকে যেতে যাচ্ছেন সেদিকে কোন প্রকারের আলোকপাত নেই কোন নেতাদের। তা ছাড়া বন্দরের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, বন্দরের প্রতিটি গ্রুপের নেতারাই যার যার যার সুবধিা মতো গত ৫ আগষ্টের পর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ জাতীয় পার্টির নেতাদের শেল্টার দিয়ে এলাকায় থাকার সুযোগ করে দিয়েছিলেন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে। এ ছাড়া এদের বাড়ি-ঘর নির্মাণ থেকে সবই পার্সেন্টিজে নিয়ন্ত্রণের রাজনীতি করেছে। এদিকে বন্দরের জাতীয় পার্টি- আওয়ামী লীগ নেতা ও চেয়ারম্যানরা গ্রেফতার হলে ও ১/২ মাসের মধ্যে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছেন। সবদিকের লবিংয়ের পিছনে রয়েছে বিএনপির হাত। যাকে ঘিরে বন্দরে আওয়ামী লীগ মনা বিএনপি নেতারাই এখন বড় নেতা হয়ে সব নিয়ন্ত্রণে রাখছেন।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন