Logo
Logo
×

নগরের বাইরে

লাকিবাজারে কিশোরগ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

লাকিবাজারে কিশোরগ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন

সিদ্ধিরগঞ্জের লাকিবাজার এলাকায় কিশোরগ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে ইয়াছিন (১৬) নামের এক কিশোর নিহত

Swapno

 সিদ্ধিরগঞ্জের লাকিবাজার এলাকায় কিশোরগ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে ইয়াছিন (১৬) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। নিহতের পিতার নাম শহীদুল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ। লাকিবাজার এলাকা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার ইয়াছিনকে মৃত ঘোষণা করে। এদিকে মৃত্যুর খবর শুনে ছুটে আসা স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে হাসপাতাল এলাকা।



নিহতের স্বজনদের  সূত্রে জানা গেছে, ছুরিকাঘাত কেন বা কারা করেছে তা তারা বলতে পারছেননা। সিদ্ধিরগঞ্জের লাকিবাজার বাজার এলাকায় এই কিশোরকে তারা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরবর্তীতে অটোরিক্সায় করে ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।



নিহতের বড় ভাই জানান, আমার ভাইকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসি। হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাকে ডাক্তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান। আমাকে একজন খবর দিয়ে জানায় লাকিবাজার এলাকায় আমার ভাই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আমি তাকে সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এলাকার অনেকের সাথে চলাচল করলেও কারা মেরেছে সঠিকভাবে বলতে পারছিনা।



হাসপাতালে আসা কয়েকজন জানান, বন্ধুদের সাথে খেলতে গিয়ে ইয়াছিনের সাথে তার বন্ধুদের তর্কবিতর্ক লাগে। এসময় ছুরিকাঘাত করে ইয়াছিনকে হত্যা করা হয়।



তবে নিহতের বোন জানান, আমার ভাই তো দীর্ঘদিন নারায়ণগঞ্জে থাকতো না। তার সাথে কারো তেমন শত্রুতা থাকার কথা না। আমার ভাই বাসায় ছিল। আজ কাজ খুঁজতে বের হয়েছিল। কাজ খুঁজতে দিয়ে আমার ভাই লাশ হল।



সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনূর আলম যুগের চিন্তাকে জানান, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে যেটি জানতে পেরেছি, ওই এলাকায় একটি ভাঙারি দোকানে ওই কিশোর কাজ করতো। কাজ শেষে তার বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিল। এক পর্যায়ে সেখানে কিছু বখাটে ছেলে এসে সেখান থেকে চলে যেতে বললে তারা যেতে অস্বীকার করলে একপর্যায়ে হাতাহাতি পরবর্তীতে ওরা লাঠি-ছুরি নিয়ে এসে মারামারিতে জড়িয়ে পড়লে ছুরিকাঘাতে ওই কিশোর ইয়াছিন মারা যায়। বিস্তারিত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।’

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন