Logo
Logo
×

রাজনীতি

উন্নয়নের নামে শামীম ওসমান হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে খেয়েছে  

Icon

আরিফ হোসেন

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০২ পিএম

উন্নয়নের নামে শামীম ওসমান হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে খেয়েছে  


সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যেগে আয়োজিত জনসমাবেশে  প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন  বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে উন্নয়নের নামে শামীম ওসমান হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাত করেছে, কাঙ্খিত উন্নয়ন থেকে ফতুল্লা বাসী বঞ্চিত হয়েছে।

 

 

ফতুল্লাবাসী যেন উন্নয়ন  থেকে বঞ্চিত না হয়, সেই লক্ষ্যে আমি ফতুল্লাকে সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছি, সেটা যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে ফতুল্লাবাসী তাদের কাঙ্খিত সেবা ও উন্নয়ন পাবে।

 


ষড়যন্ত্র হচ্ছে তাই সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়ে গিয়াসউদ্দিন আরো বলেন, ভারতে বসে শেখ হাসিনা নতুন করে ষড়যন্ত্র  করছে। ওই দেশটিও লাভবান হতে নতুনভাবে ষড়যন্ত্র করছে। শৈশবে আমার পাশের বাড়িতে হিন্দুদের বসবাস ছিল। সেখানে হিন্দু-মুসলিম আমরা এক সাথে বড় হয়েছি। ১৯৭১ সালে এক সাথে হিন্দু-মুসলিম সহ সকলে মিলে একসাথে লড়াই কওে দেশ স্বাধীন করেছি।

 

 

এ দেশের মত সম্প্রীতির উদাহরণ কোথাও নেই। আজকে সেই সম্প্রীতি নষ্ট করে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা লাগানোর অপচেষ্টা করছে। ইসকন দিয়ে তারা ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্য হচ্ছে, এই সরকারকে বিব্রত করা। এই সরকারকে কিভাবে অযোগ্য প্রমাণিত করে সেখানে ফ্যাসিস্ট সরকার আনতে পারে, সেজন্য ষড়যন্ত্র করছে। সবাইকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।

 

 

যাতে করে ষড়যন্ত্র করে দাঙ্গা ও বিবেধ সৃষ্টি করতে না পারে। ভারতের প্ররোচনায় হিন্দুরা যারা আছে তাদের অনুরোধ জানাবো, সুখে থাকতে ভূতে কিলায় একটা কথা আছে, আপনারা সুখে আছেন ভূতে যেন কিলাতে না পারে।  সেই ফাঁদে আপনারা পা দিবেন না। আপনাদের ধ্বংস করার জন্য এগুলো করা হচ্ছে।

 


গিয়াসউদ্দিন বলেন, আপনাদের প্রত্যেককে যদি জিজ্ঞেস করি আপনাদের সবচাইতে মূল্যবান সম্পদ কি ? আপনারা অনেকে বলবেন আমার বাড়ি আমার, আমার গাড়ি, আমার জমি, আমার ব্যাংক ব্যালেন্স, আমার ব্যবসা বাণিজ্য, আমি বলবো সবগুলা ভুল, সব উত্তর ভুল। আমাদের সবচাইকে মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে আমাদের সন্তান।

 

 

স্বৈরাচার সরকার থাকা অবস্থায় এই এলাকায় মাদকের ছড়াছড়ি, এই এলাকায় অস্রবাজদের ছড়াছড়ি, এই এলাকার মধ্যে কিশোর গ্যাং তৈরী করে, আমাদের সন্তানদের নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আমরা যদি ইনশাআল্লাহ সুযোগ পাই রাস্তাঘাট নির্মাণ ওগুলা না, কলকারখানা নির্মাণ সেগুলাও না, আমাদের সন্তানদেরকে কিভাবে গড়ে তোলাা যায়, মানুষ করা যায়, সেইটার ওপর সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দেবো।

 

 

সৎ মানুষের, ভালো মানুষের অভাব খুব দেশে। যতদিন পর্যন্ত আমরা সৎ মানুষ ভালো মানুষ তৈরী করতে না পারবো, ততদিন পর্যন্ত দেশকে ভালো করা যাবেনা। আমাদের রাস্তাঘাট ভালো হলো, আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হলো কিন্ত আমাদের সন্তান খাবাপ হয়ে গেল ওই রাস্তাঘাট আমাদের কি কাজে দিবে। আপনার আমার জন্য রোজ কিয়ামত যেই সন্তানের জন্য মান ইজ্জত সম্মান যাবে, চুনকালি মুখে পড়বে আর যেই প্রত্যাশা করেন সেই প্রত্যাশা পূরণ হবেনা।

 

 

কার কাছে আমি বাড়িঘর অর্থ সম্পদ দিয়ে যাবো তাসের ঘরের মতো উড়িয়ে দেবে, ওই সন্তান যদি ভালো না হয়। সেই জন্য আমাদের সন্তানদের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। তাদেরকে ভালো করে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

 


এসময় গিয়াসউদ্দিন আরও বলেন, মাদক থাকতে পারবেনা। এই কুতুবপুরে ২০০১ সালে যখন আমি এমপি হয়ে আসি, সবার একটি অভিযোগ ছিলো মাদক আর মাদক। এই মাদক নির্মূল করার জন্য আমি আমার নেতাকর্মীদেরও ছাড় দেই নাই। এবার ৫ তারিখের পরে অনেক অভিযোগ এসেছে এই কুতুবপুর থেকে অনেকে লুটপাট করেছে বিভিন্ন কলকারখানায়, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, বিভিন্ন দোকানে এমনকি রিকশার গ্যারেজেও তারা হানা দিয়েছে।

 

 

আপনারা তাদেরকে চিনেন, এদেরকে ঘৃণা করতে এদেরকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। তারা যে দলেরই হোক না কেন তারা চোর , বাটপার তাদেরকে সমাজ থেকে বিতারিত করতে হবে। তাদের প্রতি ঘৃণা ছড়াতে হবে, তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যতদিন পর্যন্ত আমি বেচে আছি, বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বে আছি আমার কার্যক্রমের জন্য যেন নারায়ণগঞ্জের কোন মানুষ যেন কোনভাবে লজ্জিত না হয়, সেই চিন্তা রেখে আমি আমার দায়িত্ব যথাযথ পালন করবো।

 


জেলা বিএনপির সভাপতি বলেন, নারায়ণগঞ্জে গডফাদার ছিলো, সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ ছিলো, অস্ত্রবাজ ছিলো। তার কারণে নারায়ণগঞ্জের অনেক বদনাম হয়েছে। আমাদের সন্তানরা আমরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে মুখ দেখাতে পারিনা, মাথা উঁচু করে কথা বলতে পারিনা। আমি কথা দিচ্ছি আগামী দিন পরিবর্তন আসলে নারায়ণগঞ্জের মানুষ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে সম্মানের সাথে পরিচয় দিতে পারে । উন্নয়নের নামে এই সরকার কাছ থেকে নাকি হাজার হাজার কোটি টাকা এনেছে, তাহলে উন্নয়ন কোথায় ? উন্নয়নের নামে শামীম ওসমান হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে খেয়েছে  এবং বিদেশে পাচার করেছে।

 


এসময় তিনি আরও বলেন, এই বাংলাদেশে মাটিতে শেখ পরিবারের রাজনীতি করার আর সুযোগ নাই। কারণ তারা এই দেশের মানুষের সম্পদ তারা চুরি করেছে লুণ্ঠন করেছে। আমরা বলতে পারি এই পরিবার।

 


গতকাল বিকেলে পাগলা রেললাইন এলাকায় জনসমাবেশে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো.বিল্লাল হোসেন এর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আলহাজ্ব মো. সুলতান মাহমুদ মোল্লা।

 


ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলী ও প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক মামুন অর রশিদ এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এডভোকেট আব্দুল বারী ভুইয়া, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম।

 

 

সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি এম সাদরিল, নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি মিলন মেহেদী, আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খন্দকার আক্তার হোসেন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মাহমুদুল হক আলমগীর।

 

 

কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাইনুল ইসলাম রতন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, জেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী নজরুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা জাসাসের সভাপতি এম এ লতিফ তুষার, কুতুবপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি নাছির প্রধানসহ বিএনপি ও অংঙ্গ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।      এন. হুসেইন রনী  /জেসি

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন