Logo
Logo
×

রাজনীতি

জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত

Icon

লিমন দেওয়ান

প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত

নারায়ণগঞ্জে সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন আহ্বায়ক ও গোলাম ফারুক খোকন সদস্য সচিব , নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। অতিসত্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালের (১৫ নভেম্বর)  বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে নারায়ণগঞ্জে সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে আহ্বায়ক ও গোলাম ফারুক খোকনকে সদস্য সচিব করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। অপর সাতজনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। তারা হলেন- মামুন মাহমুদ, মনিরুল ইসলাম রবি, শহিদুল ইসলাম টিটু, মাসুকুল ইসলাম রাজীব, লুৎফর রহমান খোকা, মোশারফ হোসেন ও জুয়েল আহমেদ।



পরবর্তীতে দীর্ঘ ১৪ বছর পর ২০২৩ সালের ১৭ জুন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হন। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে বিভিন্ন আলোচনার কেন্দ্রের দেখা মিলে। সাধারণ সম্পাদক পদে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা যায়। এর মধ্যে একজন ছিলেন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন ও আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব। যাকে ঘিরে সাধারণ সম্পাদক পদে ভোটের হাওয়া লাগতে শুরু করে। কিন্ত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন বুঝতে পারেন যে ভোটের মাধ্যমে মাসুকুল ইসলাম রাজীবের সাথে নির্বাচিত হওয়া অসম্ভব প্রায় যাকে ঘিরে তিনি তার নেতা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপুর মাধ্যমে বিভিন্নভাবে লবিং করে কেন্দ্রে বিভিন্নভাবে তোড়জোড় চালিয়ে অবশেষে মাসুকুল রাজীবকে সাইডে করে তিনি ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক বনে যান। এর পর থেকেই দলীয় নানা আন্দোলন লক্ষ্য করা যায়নি জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনকে। গত বছরের ২৮ অক্টোবর পর কঠোর আন্দোলনে ব্যাকফুটে ছিলেন গোলাম ফারুক খোকন। এ ছাড়া জুলাই-আগষ্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে তিনি তার নেতাকর্মীদের কোন নির্দেশনা থেকে শুরু করে তিনি ও ছিলেন না মাঠে। কিন্তু ঠিকই ৫ আগষ্ট আনন্দ মিছিল করতে দেখা গেছে। গত বছর ১৭ জুন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনে সাবেক সংসদ সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন সভাপতি ও গোলাম ফারুক খোকন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। সম্মেলনের পর দুইজনকে দিয়েই জেলা কমিটির কার্যক্রম চলে। কিন্তু দেড় বছরেও পুর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। এর জন্য খোকনের সাংগঠনিক ব্যর্থতাকে দায়ী করেন নেতাকর্মীরা।



এদিকে গত ৫ আগস্টের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির বিরুদ্ধে দখলদারি এবং চাঁদাবাজির একাধিক অভিযোগ কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা হয়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে তদন্ত করার জন্য কমিটিও গঠন করা হয়। গঠিত সেই তদন্ত কমিটির সুপারিশ মোতাবেক নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে বলে জানা যায়। সূত্র জানিয়েছে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে বিরোধসহ এলাকায় অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে এই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর দলের গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ওই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে বলে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। সম্প্রতি দলের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খানের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি হয়। কমিটির সুপারিশে জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।



সূত্র জানিয়েছে, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোন বিতর্কিত তথ্য পাওয়া যায়নি। যতটুকুই পাওয়া গেছে এর মধ্যে সবগুলোই ছিলো- তার কর্মীগণদের বিরুদ্ধে। এর বাহিরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের চাঁদাবাজি ও দখলবাজির বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের প্রকাশিত দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকায় একাধিক সংবাদ পকাশিত হয়েছে।  যাকে ঘিরে নেতাকর্মীরা সকলেই জেলা বিএনপির কমিটির ভাঙার পিছনে গোলাম ফারুক খোকনকে দুষছেন।



গোলাম ফারুক খোকনের বিরদ্ধে বিভিন্ন অপকর্ম উল্লেখ করা হলো- গত ৫ আগষ্টের পর রূপগঞ্জের বিভিন্ন ব্যবসায়ী মহল ও শিল্প কলকারখানা মালিকদের কাছে এক আতঙ্কের নাম হিসেবে পরিচিত ছিলো এই গোলাম ফারুক খোকন। গত ০৫ আগষ্ট পটপরির্বতনের পর থেকে এই খোকন তার লোকদের মাধ্যমে বিভিন্ন শিল্পকারখানার ঝুট-ওয়েস্টিজ মালামাল দখল এমনকি বহু শিল্প কারখানায় তালা ঝুলিয়ে দিয়ে করেছেন চাঁদাবাজি। এছাড়া ও আওয়ামী লীগের অন্যতম দোসর বসুন্ধরা গ্রুপের সাথে আতাঁত করে নিয়েছেন মোটা অংকের সুবিধা। এর বাহিরে ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের পদ বিক্রি করে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ইউএস বাংলার কাছ থেকে রূপগঞ্জে তাদের ব্যবসা-বানিজ্যেসহ সব কিছু দেখার বিনিময়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা ও সুবিধা। এদিকে খোকনের আশকারায় তার লোকজন বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তার বিরুদ্ধে এমন বিতর্ক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের ছাড়া ও কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের কাছে ও রয়েছে। এদিকে বিগত দিনে শুধু দিপু ভূঁইয়ার উপর আস্থা রেখেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খোকনকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেন। কিন্তু পথে পথে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইমেজ সংকটে ভুগছেন খোকন। এর আগে বসুন্ধরা গ্রুপের সাথে তার একত্মতা মিটিংয়ের ছবি প্রকাশে আসলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর স্বাক্ষরিতে পেইডে খোকনকে শোকজ করা হয়। যা নিয়ে জাতীয় কয়েকটি অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এদিকে যা দেখে দিপু ভূঁইয়া ও গোলাম ফারুক খোকন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হুমরি খেয়ে পড়েন যার ঘন্টা ২ পরেই রুহুল কবীর রিজভীর স্বাক্ষরিতে আরেকটি পেইডে আগের পেইডটি গুজব বলে কাটিয়ে দেওয়া হয়। তা ছাড়া ৫ আগষ্টের পর রূপগঞ্জের ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক ও আওয়ামী লীগের দোসর ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেওয়া, সুবিধা নেওয়া, রূপগঞ্জে প্রত্যেকটি ওয়ার্ড, পৌরসভা, ইউনিয়নের পকেট কমিটি নিজেদের কমিটি পূর্ণাঙ্গতে বাধা। ডজন খানিক অভিযোগ ছিলো তার বিরুদ্ধে।



সূত্র আরো জানায়, কিছুদিন পূর্বে তারাবো পৌরসভা জুড়ে লুটপাটের পাশাপাশি দুই চালককে মারধর করে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্রকল্পের ট্রাকভর্তি বালু লুটের ঘটনায় অভিযুক্ত লুটপাটকারী যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ায় হাফিজুর রহমান পিন্টু জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের চ্যালা হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে বিগত দিনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে থাকা গোলাম দস্তগীর গাজীর সাম্রাজ্যে নিয়ন্ত্রণ করছেন এই বিএনপি নেতা গোলাম ফারুক খোকন। তা ছাড়া সূত্র মতে, গোলাম ফারুক খোকনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মুড়াপাড়া ইউনিয়নের আওতাধীন দখলে রাখা গার্মেন্টসগুলোর নাম হলো- সিম ফেবিক্স, এস কে এফ র্ফামাসিটিকে‘স, ওয়াটা ক্যামিকেল‘স, এসি আই, টাইগার কোমল পানিয়/মিনারেল ওয়াটার, মীর সিমেন্ট, মেঘনা গ্রুপ, রূপসী কনক্রিট, সিকদার সল্ট, বি এইচ এল গ্রুপ। একই সাথে গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন জুড়ে তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে- গ্রামটেক, ফকির এপারেলস, সানজানা গার্মেন্টস। তা ছাড়া তারাবো পৌরসভা এলাকায় এ সি এস ট্রেক্সটাইল। সবই বর্তমানে খোকন ও তার লোকজনদের দখলে। এদিকে সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান বালু হাবিবের রূপগঞ্জ সকল ড্রেজারের নিয়ন্ত্রণ, নুরুজ্জামান খানের ১৭টি ড্রেজারের ব্যবসা পরিচালনা, রূপগঞ্জ উপজেলার সকল হাইজিং কোম্পানীর সমস্ত মিল ফ্যাক্টরী একক নিয়ন্ত্রণকারী, শীতলক্ষ্যা জেডির সকল লোড-আনলোড ড্রেজারের নিয়ন্ত্রণ সবই বর্তমানে একক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বিএনপি নেতা গোলাম ফারুক খোকন। শুধু তাই নয় এমন আরো শত শত প্রতিষ্ঠান বর্তমানে খোকনের নিয়ন্ত্রণে।  তা ছাড়া রূপগঞ্জ দখলে রাখতে তাদের বলয়ের লোকজন দিয়েই মূলদল ও অঙ্গসংগঠনের কমিটি সাজিয়ে রেখেছেন এই খোকন। এদিকে আওয়ামী লীগের অন্যতম দোসর বসুন্ধরা গ্রুপের সাথে আতাঁত করে রূপগঞ্জে একটি বিশাল আধিপত্য বিস্তারের পায়তারা করছেন তিনি। এ ছাড়া দাউদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারীর মাধ্যমে পূর্বাঞ্চল এলাকায় জমি খেকো বনে যাচ্ছেন এই খোকন। বিভিন্ন অভিযোগে বর্তমানে লুটে এগিয়ে থাকলে ও রাজনীতিতে অনেকটাই পিছিয়ে ছিলেন খোকন। তা ছাড়া জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক পদ বিক্রি করে রূপগঞ্জে খোকন যেন আরেক গাজীর পরিপূরক হিসেবে আখ্যা পেয়েছিলেন।  



উল্লেখ্য, গত ২০০৩ সালে জেলা বিএনপি’র সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক রেজাউল করিম ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার। ওয়ান ইলেভেনের সময় সংস্কারবাদী হিসেবে অধ্যাপক রেজাউল করিমের নাম আলোচনায় থাকায় ২০০৯ সালের ২৪ শে নভেম্বর শহরের আলী আহমেদ চুনকা পৌর মিলনায়তনে জেলা বিএনপি’র সর্বশেষ সম্মেলনে তাকে বাদ দেয়া হয়। সেই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র প্রয়াত কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। সম্মেলনে তৈমূর আলম খন্দকারকে সভাপতি ও কাজী মনিরুজ্জামানকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাধরণ সম্পাদক করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ৭ বছরেও তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি। ফলে ২০১৭ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামানকে সভাপতি ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। পূর্ণাঙ্গ কমিটি আলোর মুখ না দেখায় সাড়ে ৩ বছর পর জেলা কমিটি ভেঙে দিয়ে ২০২০ সালের ৩১শে ডিসেম্বর কেন্দ্র থেকে পুনরায় এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে আহ্বায়ক ও অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সদস্য সচিব করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র ৪১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেয়া হয়। নির্দেশনা ছিল ৩ মাসের মধ্যে থানা-উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটি গঠন করতে হবে। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও এই আহ্বায়ক কমিটি সবগুলো ইউনিট কমিটি গঠনের কাজ শেষ করতে পারেনি। যাকে ঘিরে বিগত কমিটিগুলোতে কখনো আংশিক, কখনো আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। ফলে দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে হয়নি জেলা বিএনপি’র সম্মেলন। তার উপর শীর্ষ নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ ও অভ্যন্তরীণ কোন্দল লেগেই ছিলো যাকে ঘিরে। কিন্তু ২০২২ সালের (১৫ নভেম্বর) গিয়াস উদ্দিন আহ্বায়ক হওয়ার পর থেকেই জেলা বিএনপির রাজনীতি অনেকটাই পরিবর্তনের চলে আসে। তার সাংগঠনিক দক্ষতার মাধ্যমে সম্মেলনের পূর্বে সবগুলো ইউনিট কমিটি গঠন করে সেই অসাধ্য কাজটি অতি সহজেই সাধন করতে পেরেছেন। বর্তমানে খোকনের বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে যায় বলছে নেতাকর্মীরা। আগামীতে কার নেতৃত্বে জেলা বিএনপি আসে সেটাই দেখার অপক্ষো অতি আগ্রহী নেতাকর্মীরা।



কমিটি বিলুপ্তির বিষয়ে জেলা বিএনপির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বলেন, দল যা মনে করেছে সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা দলের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

জেলা বিএনপির সদ্য সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, কমিটি ভাঙ্গা গড়া চলমান একটি প্রক্রিয়া। দল যখন যে সিদ্ধান্ত নিবে বা দিবে সেটাই সর্বোত্তম।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন