নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি এস.এম রানা ও শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন চৌধুরী বিটু
চার মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামীরা ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে। বিগত আওয়ামীলীগ সরকার আমলে ওসমানদের দোসর হয়ে যারা চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যু, দখলবাজি, মাদক ব্যবসা করতে তারা এখন বিভিন্ন জেলায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অনেকে আবার অন্য দলের বড় বড় নেতাদের ছত্রছায়ায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। গত ১৮ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব থেকে শামীম ওসমানের সাথে থেকে যারা ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও গুলি চালিয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই দেশের বাহিরে পালিয়ে গিয়েছে অনেকে আবার বিভিন্ন জেলায় পালিয়ে রয়েছে। তার মধ্যে ঢাকা পালিয়ে রয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার একাধিক আসামী নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি এস.এম রানা। এস.এম রানা শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটুর ঘনিষ্ঠ সহচর।
বিগত সরকার আমলে ভূমিদস্যু, দখলবাজি, মাদক ব্যবসা সহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে এই রানার বিরুদ্ধে। কিন্তু রানার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার অভিযোগ থাকলেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। গত সোমবার বিপিএলের উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠানে সেই এস.এম রানাকে লাইভে দেখা গিয়েছে। জানা যায়, বিসিবির একজন বড় পরিচালনা আর্শীবাদে এখনও এই রানা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাহিরে। এছাড়াও এস.এম রানা ঘনিষ্ট সহচর ১৮নং ওয়ার্ডে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন চৌধুরী বিটুও রয়েছে ধরাছোয়ার বাহিরে। সেও বিভিন্ন জেলায় রানার সহযোগিতায় পালিয়ে রয়েছে। সালাউদ্দিন চৌধুরী বিটুর বিরুদ্ধেও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যা মামলা রয়েছে। এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের নব গঠিত কমিটির অনেকেই জানান, যারা আমাদের ক্লাবের নাম ব্যবহার করে বিগত সময় মানুষের উপর অন্যায় অপরাধ করেছে আমরাও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।