বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন,অধ্যাপক মামুন মাহমুদ,মাসুকুল ইসলাম রাজীব।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। আর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ দেখা যায়, অতিসত্বর জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হবে। যাকে ঘিরে কমিটি ভাঙার পরপরই ফের নয়া কমিটি আলোচনায় উঠে এসেছে। আগামী কমিটিতে সদস্য সচিব বা সাধারণ সম্পাদক পদে আদিষ্ঠ হতে পারে জেলা বিএনপির সাবেক নেতা মাসুকুল ইসলাম রাজীব। এর বাহিরে সভাপতি পদ নিয়ে এখন চলছে জোরদার লবিং। এর আগে ২০২২ সালের (১৫ নভেম্বর) জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন দায়িত্ব পাওয়ায় ইউনিট কমিটি থেকে শুরু করে ১৪ বছর পর কমিটির সম্মেলন ও জেলা বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে তার ছায়া ছিলো সর্বপ্রধান। যাকে ঘিরে সভাপতি পদে ফের আলোচনায় রয়েছেন এই গিয়াস উদ্দিন। এ দিকে জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। যিনি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব। সে সময় থেকেই কঠোর আন্দোল সংগ্রামে তার ভূমিকা ও ছিলো অতুলনীয়। তাকে ও জেলা বিএনপির যোগ্য সভাপতির দায়িত্ব পালন করা হবে বলে ও শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া রূপগঞ্জ থেকে বেড় প্রার্থী হতে পারেন গোলাম ফারুক খোকন কিন্তু তার চান্স অনেকটাই কম। তা ছাড়া কাজী মনিরুজ্জামান মনির সাবেক সভাপতি ছিলেন তখণ বারবারই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। এর বাহিরে বিগত দিনে থাকার নেতাকর্মীরা যেমন, মনিরুল ইসলাম রবি, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান আব্দু, শহিদুল ইসলাম টিটু, লুৎফর রহমান খোকা, মোশারফ হোসেন, জুয়েল আহমেদ। কোন দুজনার কাঁধে তুলে দেয়া হবে নতুন কমিটির গুরুভার দাযিত্ব তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে তৃণমূল কর্মীদের মাঝে । যদিও জেলা বিএনপির নতুন নেতৃত্ব নিয়ে এরই মাঝে বেশ কয়েকজন পরিচ্ছন্ন ও অবস্থান সম্পন্ন সক্রিয় নেতাদের নাম চাউর হচ্ছে বিএনপি অঙ্গণে। যারা বেশ কিছুদিন আগে থেকেই নেতৃত্বের আলোচনায় ছিলেন ।
এদিকে শোনা যাচ্ছে, জেলা বিএনপির আহবায়ক সভাপতি পদ নিয়ে কিছুটা ধোয়াশা থাকলেও সাধারণ সম্পাদক সচিব পদটি প্রাথমিক ভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক এই পদে দেখা যেতে পারে জেলা সাবেক আহবায়ক কি আহবায়ক ও এক সময়ের তুখোর ছাত্রনেতা মাশুকুল ইসলাম রাজীবকে। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের ডাক বাজছে নাম। বিশেষ করে, জেলা বিএনপির বিগত সম্মেলনে মাশুকুল ইসলাম রাজীব সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েও দলের ঐক্যের প্রশ্নে প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। জায়গা করে দিয়েছিলেন সম্মেলনে তার এক মাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম ফারুক খোকনকে। অথচ, সেক্রেটারি পদ নির্বাচিত হওয়ার দৌঁড়ে রাজীবের সমর্থকরা ছিলেন আশাবাদি। তবে দলের ঐক্যবদ্ধতার প্রশ্নে সেদিন রাজীবের সেই ত্যাগ বা ' দেয়ার বিষয়টি নিজ চোখেই অবলোকন করেছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্মেলনে যুক্ত থেকে তারেক রহমান রাজীবের ওই ত্যাগকে বিরল দৃষ্টান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করে তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছিলেন। আর আগামীতে এই মাসুকুল ইসলাম রাজীবকে ভালো পদে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সে হিসেব অনুযায়ী নয়া কমিটিতে মাসুকুল ইসলাম রাজীবের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার চান্স অনেকটাই বেশি। এ ছাড়া দীর্ঘ ১৪ বছর পর গিয়াসের নেতৃত্বেই জাঁকজমকপূর্ণ জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে দফায় দফায় ইউনিট কমিটি ও দলীয় আন্দোলন সংগ্রামে জেলা বিএনপির ব্যানারে গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বেই ব্যাপক চমক লক্ষ্য করা যায়। যাকে ঘিরে আবারো গিয়াস উদ্দিনকে নিয়ে ভাবছে কেন্দ্র।
কারও মতে, আহবায়ক, বা সভাপতি পদে ঘোষণা হতে পারে জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদের নাম। পরিচ্ছন্নএবং সাংগঠনিক দক্ষতার বিচারে এই পদে তাকে এগিয়ে রাখছেন অনেকে । আর বাকিরা সকলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জাগান দিতে ব্যস্ত। এদিকে কেন্দ্রীয় হাইকামন্ড সূত্র জানিয়েছে, গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকেই যাদের ভূমিকা সব থেকে বেশি লক্ষ্য করা গেছে এদেরকে মূল্যায়ন করে জেলা বিএনপির কমিটি দেওয়া হতে পারে।