Logo
Logo
×

রাজনীতি

এলাকায় ফিরতে মরিয়া ওসমান অনুসারীরা

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

এলাকায় ফিরতে মরিয়া ওসমান অনুসারীরা

বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতারা

গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে পরে দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে শাসন শোষন করা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। আর এতে দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে একচেটিয়া শাসন এবং শোষন করা শামীম ওসমান সহ পুরো ওসমান সম্রাজ্যের পতন ঘটেছে। যাদেরকে গডফাদার, ভন্ডামী, বিশ্ববেহায়া সহ বিভিন্ন উপাদিতে আখ্যায়িত করেছে নগরের রাজনৈতিক বোদ্ধমহল। ওসমানদের সাথে তাদের পালিত সন্ত্রাসীদেরও পতন ঘটেছে। এতে করে স্বস্তি ফিরেছে মানুষের। কিন্তু ওসমান সম্রাজ্যের সন্ত্রাসীরা বাহের পালিয়ে না থেকে এলাকায় ফিরে আসতে মরিয়া হয়ে রয়েছে। আবার অনেকে এলাকায় থাকলেও বুঝাচ্ছে তারা এলাকায় নেই। তবে সব কিছু মিলিয়ে ফতুল্লার শামীম ওসমানের সম্রাজ্যের সন্ত্রাসীরা এলাকায় ফিরতে বিএনপি কতিপং নেতাদের বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজের জন্য দৌরঝাপ করছে বলে জানান একাধিক সুত্র।



এদিকে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী বিএনপির সাথে আঁতাত রেখেও মালা থেকে তাদের রক্ষা হয় নাই। এমনকি আওয়ামী লীগের এমপি থেকে শুরু করে আইনজীবি নেতাকর্মীরা পলাতক রয়েছে। তারা নিজেদের ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে রয়েছে। আর একের পর এক হত্যা মামল্রা আসামী হচ্ছে। তাছাড়া শহরের পরিবহন সেক্টরের চাদাঁবাজি, নগরীর বিভিন্ন স্টান্ডে চাদাঁবাজির নিয়ন্ত্রন করেছে ওসমান সম্রাজ্যের সন্ত্রাসী বাহিনী। বছর খানিক আগে এক সভায় শামীম ওসমান বলেছেন, আমি শেখ হাসিনা ছাড়া কাউকে গণায় ধরি না। অথচ এই শামীম ওসমান এখন পালিয়ে রয়েছে।



 অপরদিকে ফতুল্লায় আওয়ামী লীগের বিতর্কীতরা ফিরে আসতে শুরু করেছে। ফতুল্লার আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ভূমিদস্যুতা, মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসী লালনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে অঢেল সম্পদের মালিক বনে যাওয়া বিতর্কিত নেতারা কার সাথে আতঁতা করে এলাকায় ফিরছে তা অনুসন্ধান করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠেছে বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের।



সূত্রমতে, আওয়ামী লীগের শাসনামলে যাদের দাপটে বিএনপির নেতাকর্মীরা কোনঠাসা হয়ে পরেছিল, যাদের অপতৎপরতায় এলাকায় থাকতে পারেনি দলের সাধারণ কর্মীরা। সে সমস্ত দাপুটে-বিতর্কীত নেতারা নতুন করে এলাকায় ফিরেতে মরিয়া হয়ে রয়েছে কয়েকজন। এদের মধ্যে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদল, সাধারন সম্পাদক শওকত আলী, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফরিদ আহমেদ লিটন, ফতুল্লা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রাসেল আহমেদ মাসুম অন্যতম। স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন সাইফুল্লা বাদল, শওকত আলী, ফরিদ আহমেদ লিটন,তার ভাই রাসেল আহমেদ মাসুম। সাইফুল্লা বাদল ও শওকত আলী সিন্ডকেট করে ভূমিস্যুতা, মাদক ব্যবসাসহ সন্ত্রাসী লালন করেছে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে। ভূমিদস্যুদের গডফাদার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই দুই নেতা। তাদের ছত্রছায়ায় থেকে ফতুল্লায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগর যুগ্ম সম্পাদক ফরিদ আহমেদ লিটন ও তার ভাই রাসেল আহমেদ মাসুম। বিশাল বাহিনী নিয়ে ভূমিদস্যুতা, মাদক ব্যবসা, অস্ত্র ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে এই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। আর এসব করে আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক ক্ষমতায় থাকালীন সময়ে অঢেল সম্পদেক মালিক হয়েছে তারা। ফতুল্লায় একাধিক বাড়ী, দামিগাড়ী সহ আলীশাল জীবন যাপন করতেন তারা। এছাড়া ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন,প্রচার সম্পাদক রেহান শরীফ বিন্দু, ফতুল্লা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নান, আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন ছিলেন বেপরোয়া। তারা ভুমিদস্যুতা করে মানুষের জায়গা আত্মসাত করে নিত। বিশেষ করে রেহান শরীফ বিন্দু ছিলেন সাইফুল্লাহ বাদলের আস্থাভাজন ব্যক্তি। সাইফুল্লা বাদলের সকল কুকর্মের রাজস্বাক্ষী তিনি। তাই তাকে গ্রেপ্তারের দাবী উঠেছে। তাছাড়া দীর্ঘ ১৫ বছর ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলীর দখলে থাকা মুসলিম প্রধানের জায়গা ইতোমধ্যে নিজেরা দখলে নিয়েছেন। যা এতো দিন শওকত দখল করে রেখেছিল।



 বিগত সময়ে তারা স্থানীয় বিএনপির নেতার্কীদের রাজনৈতিক ভাবে কোনঠাসা করে, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলে নিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ফতুল্লাকে জিম্মী করে রেখেছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কিছুদিন আত্মগোপনে থাকলেও ৫ মাস না যেতেই এলাকায় ফিরে এসেছেন ভূমিদস্যু, মাদকের গডফাদাররা। প্রশ্ন উঠেছে, বিতর্কিতরা কার সহযোগীতা নিয়ে এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে, তা খুঁজে বের করে সে সমস্ত তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠেছে।




Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন