নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর এবং সহযোগী সংগঠনের জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ।
নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগ প্রীতিতে ছন্নছাড়া অবস্থায় এখন জাতীয় পার্টির রাজনীতি। কেননা, আওয়ামীলীগের শাসন আমলে নারায়ণগঞ্জে ওসমান পার্টি ওসমানলীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ হয়ে ওসমানদের এজেন্ডা বাস্তাবায়নে জাতীয় পার্টির নেতারা আওয়ামীলীগ প্রীতিতে মজেছিল। যার কারণে গত ৫ই আগস্টে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর আওয়ামীলীগের সাথে সাথে জাতীয় পার্টির রাজনীতিও ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে। জাতীয় পার্টি নেতারাও ওসমানদের দোসর হিসেবে হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন অপকর্মের জড়িত থাকার কারণে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এসে জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসাইন মো. এরশাদ এসে বলে গিয়েছিলেন। নারায়ণগঞ্জে শুধু ওসমান লীগ ও ওসমান পাটি। মূলত, তারই কথাই সঠিক ছিল নারায়ণগঞ্জে ওসমানদের শাসিত শোসিত হত। কেননা এক ভাগে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগকে নিয়ন্ত্রণ করতেন নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমান যেটাকে বলা হত ওসমানলীগ। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ জাতীয় পার্টিকে একাংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন সেলিম ওসমান এবং পৃথক অংশে নিয়ন্ত্রণ করতেন নাসিম ওসমানের পত্নী পারভীন ওসমান তার পুত্র আজমেরী ওসমান। এছাড়া নাসিম ওসমানের শিষ্য খ্যাত নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি খোকা। কিন্তু ওসমান পার্টির ক্ষেত্রেও বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত থাকলেও ওসমানদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সদা তৎপর ছিলেন। যার কারণে জাতীয় পার্টি করেও ওসমানদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আওয়ামীলীগের অনেক কর্মকান্ডে জড়িয়ে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর এবং সহযোগী সংগঠনের জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ।
দলীয় সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু ওসমানদের সহায়াতায় হয়েছিলেন বন্দর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক নাইম ইকবাল ওসমানদের সহায়াতায় হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য। কিন্তু তারা উভয়ই একজন সানাউল্লাহ সানু বন্দরে সেলিম ওসমানের শেল্টারে লুটপাট ভূমিদস্যুতাসহ বহু অপকর্মের সাথে লিপ্ত ছিলেন। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম ইকবাল সোনারগাঁয়ে খোকার নির্দেশনায় ও ওসমানদের শেল্টারে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের সাথে তাল মিলিয়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করেছেন। যার কারণে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র হত্যা মামলার আসামী হয়েছেন আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মোদাছেরুল হক দুলাল ওসমানদের অফিসায়াল কাজে ব্যস্ত থাকলেও ওসমানের প্রয়োজনে তাকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে এনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি পদের মাধ্যমে অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয়পার্টির সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পূর্ব থেকেই ওসমান পার্টি ও ওসমানদের দোসর হিসেবে তাদের শেল্টারে বন্দরে বহু অপকর্মেও লিপ্ত হয়েছিলেন।
এদিকে জাতীয় পার্টির জাতীয় য্বু সংহতি কমিটির জেলা কমিটিতেও পদ ছিল রিপন ভাওয়ালের যে কিনা ওসমানদের দোসরদের মধ্যে অন্যতম। কেননা সে দীর্ঘদিন ধরেই ওসমানদের দোসর হিসেবে ওসমানদের এজন্ডা বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। এছাড়া সে একসময় শামীম ওসমান নিয়ন্ত্রিত ওসমান লীগের সাথেও তাল মিলিয়ে আওয়ামীলীগ প্রীতি করেছেন। এছাড়া নাসিম ওসমানের পত্নী পারভীন ওসমান তার পুত্র আজমেরী ওসমান, নাসিম ওসমানের শিষ্য খ্যাত নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি খোকার সাথে থেকে ওসমান পার্টি ও ওসমান লীগের হয়ে আওয়ামী প্রীতি করেছেন। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রুপু সাধারণ সম্পাদক রবিন এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্র সমাজের সভাপতি শাহ আলম সবুজ নাসিম ওসমানের পত্নী পারভীন ওসমান তার পুত্র আজমেরী ওসমানের শেল্টারে নারায়ণগঞ্জ শহরজুড়ে ব্যাপক অপকর্ম করেছেন। তারা সর্বদা নগরবাসীর আতঙ্ক হয়ে ওসমানদের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন। একদিকে তারা শহরজুড়ে পারভীন ওসমান তার পুত্র আজমেরী ওসমানের দোহাই দিয়ে সকল অপকর্ম করেছেন। তবে তারা জাতীয় পার্টির রাজনীতি করলেও আওয়ামীলীগের শাসন আমলে সম্পূর্ণ আওয়ামীলীগ প্রীতি মগ্ন ছিলেন ওসমানদের এজেন্ডা বাস্তাবায়নে। যার কারণে নারায়ণগঞ্জের বাহিরে জেলা ও মহানগর কেন্দ্রীয় পর্যায়ে জাতীয় পার্টির এখন জাগ্রত থাকলেও নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পার্টির রাজনীতি ছন্নছাড়া অবস্থানে।