গতকাল জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বিভিন্ন জেলা ও মহানগরে পালিত হলেও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে চোখে পরেনি। তবে বিগত সময়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সাংসদ সেলিম ওসমানের নেতৃত্বের জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির নেতা কর্মীরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনে কেক কাটতে দেখা গেলেও আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর সেই দৃশ্য দেখা যায়নি। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ জেলা জাতীয় পার্টির একাংশের নেতাদের নিয়ে তার নির্বাচনী এলাকা সোনারগাঁয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করলেও সেই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে পালন করতে দেখা গিয়েছে। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ সাবেক সাংসদ নাসিম ওসমানের পত্নী পারভীন ওসমানকে জেলা ও মহানগর জাপার একাংশের নেতাদের নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করলেও স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের দোসর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে এখন গাাঁ ঢাকা দিয়ে আছে।

সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির আয়োজনে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন করে সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সাংসদ সেলিম ওসমান এবং সেই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নেতাদের চাপে কেক খাওয়া নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা মারামারি। তবে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির নেতা থেকে শুরু করে তৎকালীন সাংসদরাও স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে অখ্যায়িত হওয়ায় ভয়ে আতঙ্কে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির থেকে শুরু করে তৎকালীন সাংসদরা জাতীয় পার্টির ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের সাহসিকতা দেখাননি। এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সাংসদ সেলিম ওসমান এখনো ব্যবসায়ীক মহলে স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে ঢাকা থেকে কলকাঠি নাড়লেও দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনে অপরগতা দেখান।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের  সাবেক সাংসদ নাসিম ওসমানের পত্নী পারভীন ওসমান বিগত সময়ে ছাত্র সমাজের নেতাদের নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করলেও গত ৫ই আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর থেকেই লাপাতা পারভীন ওসমান। এখনো তার নেতৃত্ব নির্দেশনায় জাতীয় পার্টির কোন প্রকার কর্মকান্ড পরিচালনা পরিলক্ষিত হয়নি। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা তার নির্বাচনী এলাকা সোনারগাঁয়ে ব্যাপকভাবে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করলেও আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর জাতীয়  পার্টির ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে তাকে পালন করতে দেখা গিয়েছে। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পর থেকেই লাপাতা হয়েছেন এবং সাধারণ সম্পাদক নাইম ইকবাল সাংসদ নির্বাচনের পর থেকেই লাপাত্তা এবং দায়িত্ববারও ছাড়ছেন না কেননা জাপার সুসময়ের সুযোগের সন্ধানে এখনো তৎপর। অপরদিকে মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোদাচ্ছেরুল হক দুলাল মহানগরের নেতৃত্ব থেকেও ডেম কেয়ার ছিলেন সর্বদা। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেনের এলাকায় জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির অফিস থাকলেও সেই অফিস এখন মাসে একদিন খোলা নিয়েও সংশয়। যার কারণে জাতীয় পার্টির ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনেও ছিল তাদের অপারগতা।