Logo
Logo
×

রাজনীতি

পিএসের মাতব্বরি আচরণে ধ্বংস নেতার রাজনীতি

Icon

এম মাহমুদ

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

পিএসের মাতব্বরি আচরণে ধ্বংস নেতার রাজনীতি

ফাইল ছবি

ইংরেজীতে সংক্ষিপ্ত ভাবে উল্লেখিত পিএস শব্দের মানে বা অর্থ হচ্ছে ব্যক্তিগত সহকারী। যে একজন ব্যক্তির কর্মপরিকল্পনা কর্মক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করে থাকে। তারই অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত অধিকাংশ নেতারই ব্যক্তিগত সহকারী রয়েছে। কিন্তু তারা ব্যক্তিগত সহকারী পরিচয়ে সেই নেতার অবর্তমানে বা সেই নেতার বিশেষ সহকারী হিসেবে নেতার কার্বন কপি হয়ে জনসাধারণ বা নেতার কর্মীদের সাথে বিরূপ আচরণ বা অনেক সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে। এছাড়া সেই নেতার অগচরে নেতার পিএস পরিচয়ে নানা কান্ডে সম্পৃক্ত হয়ে নেতার রাজনীতিকে ধংসে পরিণত করছে। এমনকি নেতার পিএস হয়ে কর্মীদের অধিকতর উচ্চতর রাজনৈতিক পদ পদবী অর্জন করে রাজনৈতিক কর্মকান্ডেও নেতাকে বিরূপ পরামর্শের মাধ্যমে রাজনীতিতে বিতর্কিত করছেন।



সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আলোচিত বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূইয়ার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে পরিচিত কেন্দ্রƒীয় স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য শিপলু ভূইয়া। যার পছন্দের ব্যক্তি ছাড়া রাজনৈতিক কর্মী অন্যান্য ব্যক্তিবর্গরাও দিপুর ভূইয়ার সাথে সাক্ষাৎ বা কুশল বিনিময়ের জন্য তিনি পাশ দেন না। এছাড়া গত ৫ই আগস্টের পূর্বেই দিপুর ভূইয়ার রাজনীতিতে পিএস হিসেবে নাক গলাতে থাকেন। এমনকি গত ৫ই আগস্টের পর কর্মী সমর্থকের থেকেও অধিকতর নানা সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন পিএস শিপলু। তাছাড়া রূপগঞ্জের বিভিন্ন আলোচিত মহাল বা ব্যবসায়ীক সেক্টরগুলোতে দিপু ভূইয়ার পিএস হিসেবে সম্পৃক্ত হয়ে আছেন শিপলু।



তবে দিপু ভূইয়ার পিএস শিপলুর এসকল কান্ড নিয়ে খোদ দিপু বলয়ের সমর্থকদের মধ্যেই তীব্র সমালোচনা রয়েছে এবং প্রতিপক্ষ বলয়ে সমালোচনা বটেই। অপরদিকে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের পিএস হিসেবে পরিচিত সোনারগাঁ উপজেলা কৃষকদল ও মৎসজীবী দলের সাবেক আহ্বায়ক সেলিম হোসেন দিপু। বিএনপি নেতা মান্নানের এই চতুর পিএস সেলিম শুধু সোনারগাঁয়ের বিএনপির নেতাদের মধ্যে নয় জেলার সকল থানা উপজেলার বিএনপি নেতাদের কাছের একজন বির্তকিত পিএস হিসেবে পরিচিত সেলিম। তাছাড়া আওয়ামীলীগের শাসন আমলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি পিএস হিসেবে প্রশাসন থেকে শুরু করে সোনারগাঁয়ের জনপ্রতিনিধিদের সাথে তার যোগসাজোশ ছিল।



কেননা বিরোধী ভূমিকায় বিএনপি আন্দোলন সংগ্রামে ব্যস্ত সময় পার করলেও সেসময় বিভিন্ন কর্মসূচি পালনে থানা প্রশাসনসহ আওয়ামী সমর্থিত জনপ্রতিনিধির মাধ্যম থেকে পারমিশন নিতে হত। তখন সেই কাজে একমাত্র এই চতুর পিএসকেই সোনারগাঁয়ের কর্মসূচির পারমিশন নিতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যেত। তাছাড়া নেতাকর্মীদের হামলা মামলার কার্যে এই চতুর পিএস মান্নানের ভূমিকায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আওয়ামীলীগের শাসন আমলেই নানা ভাবে বিতর্কিত হয়ে পড়েন সেলিম। তবে গত ৫ই আগস্টের পর বিএনপির বিরোধী রাজনৈতিক ভূমিকায় থাকায় আওয়ামীলীগ নেতা ও প্রশাসনের সাথে যোগসাজোশের কারিশমায় সেই চতুর পিএস সেলিম মামলা বাণিজ্য ও সন্ত্রাস নৈরাজ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপকর্মের নেপথ্যে কাজ করেছে এবং আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে। তাছাড়া মান্নান বলয়ের রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে এই পিএস সেলিমকে নিয়ে নানা অভিযোগ আপত্তি রয়েছে।



কারণ চতুর সেলিম আজহারুল ইসলাম মান্নানের সরলতার সুযোগে রাজনৈতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রেও হস্তক্ষেপ করেন। যেটা মান্নান বলয়ের অধিকাংশ নেতাদের কাছেই অপছন্দনীয়। যার মাধ্যমে মান্নানের রাজনীতিকে বিভিন্ন সময়ে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেন এই পিএস সেলিম। এদিকে বিএনপির সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমনের পিএস হিসেবে পরিচিতি আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম। বিএনপি নেতা সুমনের পিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আড়াইহাজার উপজেলার বিএনপি নেতাদের কাছেই ধান্ধাবাজ পিএস হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন এই জহির।



কেননা সুমন বিভিন্ন ভাবে নেতাকর্মীদের সহযোগীতা বা তার ব্যক্তিগত কাজে জহিরকে দায়িত্ব রাখলেও সেসকল কর্মকান্ড পরিচালনা করতে গিয়ে অনিয়ম করেছেন বলে খোদ সুমন বলয়ের নেতারাই অভিযোগ করেন। এছাড়া বিএনপি নেতা সুমন তার পিএস জহিরুলের মাধ্যমে বিভিন্ন দায়িত্বের অংশ হিসেবে মিডিয়ার দায়িত্ব দিলেও সেই দায়িত্ব পালনেও তার পিএস জহিরুলের অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। কেননা সে মিডিয়ার কর্মীদের পারিশ্রমিক আত্মসাৎ করেছেন এমন অভিযোগ করেছেন খোদ আড়াইহাজার উপজেলার মিডিয়ার কর্মীরা। এভাবেই বিএনপি নেতা সুমনের রাজনীতির সুনাম ক্ষুন্ন করে তার পিএস জহিরুলের মাতাব্বরিতে ধ্বংশ করছেন তার রাজনীতি।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন