বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ
নারায়ণগঞ্জে ইসলামদলগুলোর রয়েছে ব্যাপক সাংগঠনিক শক্তিমর্তা। এছাড়া ইসলামদলগুলোর সাংগঠনিক ভাবে শক্ত অবস্থানে পরিণত করার পিছনে রয়েছে। প্রতিটি ইসলামীদলের নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অবদান যাদের নেতৃত্বের গুণাবলীতে ইসলামীদলগুলো নারায়ণগঞ্জে জায়গা করে নিয়েছে শক্ত অবস্থান। যার কারণে তাদের নারায়ণগঞ্জের ইসলামীদলগুলোর মেরুদন্ড হিসেবে বিভেচনা করা হয়।
সূত্র বলছে, গত ৫ই আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতিতে এক বৃহৎ পটপরিবর্তন হয়। কিন্তু ৫ই আগস্টের পূর্ববর্তী সময়ে দেশব্যাপী চলমান ছিল আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকার দ্বারা স্বৈরাচারী পন্থায় ধমন নিপড়নের রাজনীতি। কিন্তু গত ৫ই আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটলে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাহিরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো নব উদ্যমে রাজনীতিতে পদার্পনের চেষ্টা করে। সেই দমন নিপড়নের রাজনীতি থেকে শুরু করে বর্তমানে ইসলামীদলগুলো যাদের নেতৃত্বের কাঠামোর উপর শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছেন তাদের নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় নারায়ণগঞ্জের ইসলামীদলগুলোর মেরুদন্ড হচ্ছেন। যেমন: নারায়াণগঞ্জ মহানগর জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমেদকে গত ৫ই আগস্টের পূর্ব থেকেই নারায়ণগঞ্জ জামায়াত নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত মুখ ছিলেন। এছাড়া আওয়ামীলীগের শাসন আমলে বহু অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে দলীয় কর্মসূচি নারায়ণগঞ্জে প্রকাশ্যে পালন করেন।
এর ধারাবাহিকতা আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পরও তিনি অব্যাহত রেখেছেন নারায়ণগঞ্জে জামায়াত ইসলামকে শক্তিশালী করতে। এদিকে নারায়ণগঞ্জ হেফাজত ইসলাম বলতে একটা সময় হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমীর ও নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতের সাবেক সভাপতি মাওলানা আব্দুল আউয়াল এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর হেফাজতের সাবেক সভাপতি মাওঃ ফৌরদাউসুর রহমানকে বুঝতেন। তবে গত ৫ই আগস্টের পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের দেখা যায় মনির হোসেন কাশেমীকে নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতের সভাপতি করতে এবং খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব ও জেলার সভাপতি এবিএম সিরাজুল ইসলাম মামুনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতের সাধারণ সম্পাদক করতে পরবর্তীতে মাওলানা আব্দুল আউয়ালকে দলীয় পদে স্থান না দেয়ায় সে পদত্যাগ করলে বুঝা যায়। নারায়ণগঞ্জ হেফাজত ইসলাম দুই মেরুতে বিভক্ত এক মেরুতে নেতৃত্ব দেন মনির হোসেন কাশেমী ও মাও. ফৌরদাউসুর রহমান এবং অপর মেরুতে নেতৃত্ব দেন মাওলানা আব্দুল আউয়াল।
তবে নারায়ণগঞ্জে হেফাজত ইসলামের মেরুদন্ড হিসেবে বিভেচনা করা হয় এই তিন নেতাকে। যাদের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জে হেফাজত ইসলাম অন্যতম ইসলামী বৃহৎ সংগঠনে রূপান্তিত হয়েছে। এদিকে খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি এবিএম সিরাজুল ইসলাম মামুনকে নারায়ণগঞ্জের জনসাধারণ তাকে খেলাফত মজলিসের নেতা হিসেবে চেনেন। তাছাড়া তিনি একাধিকবার খেলাফত মজলিসের প্রতীক দেয়াল গড়ি মার্কা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। যার কারণে নারায়ণগঞ্জে তাকে নারায়ণগঞ্জ খেলাফত মজলিসের মেরুদন্ড হিসেবে বিভেচনা করা হয়।
কারণ তার মাধ্যমেই একমাত্র খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জে শক্ত অবস্থানে রয়েছে। ইসলামী আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ দীর্ঘদিন ধরেই নারায়ণগঞ্জ মহানগরে ইসলামে আন্দোলনকে নেতৃত্বে দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া দেশের নানামুখী সমস্যা নিয়ে নানা আন্দোলন এবং জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলনে সম্মুখ সাড়িতে নেতৃত্ব দিয়ে ব্যাপক আলোচিত ইসলামী দলগুলোর মধ্যে একজন সাহসী নেতা হিসেবে পরিচিতি পান মুফতি মাসুম বিল্লাহ। এভাবেই নানা কলাকৌশল দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেন আন্দোলনকে। যার কারণে ইসলাম আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জের মেরুদন্ড হিসেবে বিভেচনা করা হয় মুফতি মাসুম বিল্লাহকে।