Logo
Logo
×

রাজনীতি

আলোচনায় সীমাবদ্ধ জেলা বিএনপির কমিটি

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

আলোচনায় সীমাবদ্ধ জেলা বিএনপির কমিটি

বিএনপি নেতৃবৃন্দ

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার পর দ্রুত এ কমিটি গঠনের কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলে ও ইতিমধ্যে প্রায় ২৪ দিন পাড় হলে ও কমিটি গঠনে নেই কোন আলোচনা যা নিয়ে পদ প্রত্যাশীদের মাঝে ক্ষোভ বাড়ছে। এদিকে কমিটিতে স্থান পেতে ডজনে ডজনে নেতকার্মীরা আলোচনায় থাকলে ও এতেই সীমাবদ্ধ হয়ে আছে জেলা বিএনপির কমিটি। এদিকে নতুন বছরের শুরুতেই চমক দেখিয়ে জেলা বিএনপির নয়া কমিটি আসার কথা থাকলে ও বর্তমানে মাস প্রায় শেষের দিকে থাকলে ও আলোচনা একবারেই নেই। এদিকে জেলা বিএনপির কমিটির ভাঙার পর অনেকের নাম আসলেও আসছে কমিটিতে সিনিয়র নেতাদের মূল্যায়ন হবে বলে জানা গেছে। কিন্তু সেই সিনিয়র দের মূল্যায়নে সাথে ব্যাপক যাচাই বাছাই থাকবে বলে শোনা যাচ্ছে।



এদিকে গত ৫ আগস্টের পর বর্তমান পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিতে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনতেই সিনিয়র ও তরুণদের সমন্বয়ে নেতৃত্ব দিতে চান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ হিসেবেই হচ্ছে তালিকা। এদিকে এক দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে, ইতিমধ্যে আহ্বায়ক বা সভাপতি পদে ৩ জন এবং সদস্য সচিব বা সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন আলোচনায় রয়েছে কিন্তু কার হাতে নেতৃত্ব আসতে পারে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। আলোচনায় রয়েছেন, বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাশুকুল ইসলাম রাজীব., ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান আব্দু, মোশারফ।



এদের থেকে যাচাই করেই জেলা বিএনপির দায়িত্ব দেওয়া হবে। এদিকে জেলা বিএনপির মতো এতো বড় একটি সংগঠন কমিটিবিহীন থাকায় বিভিন্ন স্খানে বিএনপির নামে বিশৃঙ্খলা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্তমানে সবাই নেতা পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম পরিচালনা করছেন। সেই যাচ্ছে করছে লুটপাট, কেউ করছে দখল, আবার কেউ চাঁদাবাজি মগ্ন হয়ে রয়েছেন। আর যার পরিমান বলা চলে মাত্রা তিরিক্ত। যাকে ঘিরে দ্রুত জেলা বিএনপির দায়িত্ব চাইছেন যোগ্য নেতাকর্মীরা।



 
সূত্র বলছে, গত ২০২২ সালের (১৫ নভেম্বর) জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন দায়িত্ব পাওয়ায় ইউনিট কমিটি থেকে শুরু করে ১৪ বছর পর কমিটির সম্মেলন ও জেলা বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে তার ছায়া ছিলো সর্বপ্রধান। যাকে ঘিরে আবারো তার নেতৃত্বে জেলা বিএনপির দায়িত্ব হওয়ার আশঙ্কা দেখছেন অনেকেই। তা ছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব একজন মেধাবী ছাত্রনেতা।



এদিকে কাজী মনিরুজ্জামান এর আগে জেলা বিএনপির সেক্রেটারী, সভাপতি ও আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর শহরের আলী আহমেদ চুনকা পৌর মিলনায়তনে জেলা বিএনপি’র সম্মেলনে তৈমূর আলম খন্দকারকে সভাপতি ও কাজী মনিরুজ্জামানকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কিন্তু ৭ বছরেও তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি। ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামানকে সভাপতি ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মামুন মাহমুদের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।



এদিকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে বর্তমানে যোগ্য রয়েছেন মাশুকুল ইসলাম রাজীব। এর বাহিরে সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন যিনি গত ৫ আগস্টের পরই লুটপাটে মগ্ন হয়ে উঠেন, যাকে ঠেকাতে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন তাকে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করলে ঢাকায় বিএনপির সর্বশেষ পোগ্রামে খোকন জেলা বিএনপির ব্যানারের নিচে না এসে সংগঠনে একটি দ্বন্দ্ব লেগে রয়েছে যার প্রধান দেন। কিন্তু পরবর্তীতে তার স্বার্থেই তিনি আবার গিয়াসের সাথে একত্রিত হয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্র কাঠামো ৩১ দফা বাস্তবায়নের দিনব্যাপী আলোচনা হলে সেখানে তিনি তার পাশে এসে বসেন। আর সারাদিন একসাথে থেকে তাদের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব নেই এটার বহিপ্রকাশ ঘটান। কিন্তু তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ লন্ডন পছন্দ পৌঁছে যাওয়ায় দিন শেষে ভেঙে পরে কমিটি। এদিকে কমিটি গঠনের আওয়াজ আসলে ও এতেই সীমাবদ্ধ থাকায় ক্ষোভ ঝাড়ছেন ত্যাগী ও পরীক্ষিত বিএনপি নেতাকর্মীরা।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন