শামীম ওসমান পরিবারকে পালাতে সহায়তা করায় বিশিষ্টজনদের দিপু ভূঁইয়ার উপর ক্ষোভ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু
# বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে বিএনপির হাইকমান্ডের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার : মাওলানা জব্বার
# আমাদের রাজনীতির জন্য একটি খারাপ সংবাদ : রফিউর রাব্বি
# দ্রুত এটার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে : এড. মাসুম
# দ্রুত তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে : তরিকুল সুজন
আওয়ামী লীগ শাসন আমলে নারায়ণগঞ্জে রাজত্ব কায়েম করেছিলেন
গডফাদার খ্যাত শামীম ওসমান। তিনি সে সময় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার
পরিবারের সদস্যদের নাম ভাঙ্গিয়ে দেশে অপরাধের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন। এই
শামীম ওসমানকে সারাদেশের মানুষ যেভাবেই চিনে থাকুক না কেন,আসলে তিনি স্রেফ
স্ট্যান্টবাজি করে অপকর্মের রাজত্ব কয়েম করেছিলেন। তিনি জোরর্পূবকভাবে
সরকারি সম্পত্তি আত্মসাত, চাঁদাবাজি, জমি দখল, টেন্ডারবাজির নিয়ন্ত্রণ,
মেঘনা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ, জলমহাল নিয়ন্ত্রণসহ নানা অপকর্ম
করে ৭ থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। যাকে ঘিরে একদল
দুর্নীতিবাজের সাথে ছিলো তার গভীর সখ্যতা, আর তাদেরকে সাথে নিয়ে গড়ে
তুলেছিলেন অবৈধ সম্পদ আর টাকার পাহাড়।
নারায়ণগঞ্জে তার স্ত্রী লিপি ওসমান, ছেলে অয়ন ওসমান, শ্যালক তানভীর টিটু, খালাতো শ্যালক নিপু, মামা শ্বশুর জালালসহ পরিবারের অধিকাংশ সদস্যই নানা অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন। আর এ কারণে নারায়ণগঞ্জের মানুষ এই পরিবারের সদস্যদের ঘৃণা করতো কিন্তু ভয়ে খুব কম মানুষই তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতো। এদিকে গত বছরের জুলাই-আগষ্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনকালে শামীম ওসমান,তার ছেলে অয়ন ওসমান, শ্যালক টিটু, নিপু, নিজামসহ বাহিনীর সদস্যরা প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে আন্দোলন দমানোর চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। ৪ আগষ্ট রাত পর্যন্ত শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জে তার ক্যাডার বাহিনীকে নিয়ে অবস্থান করেছিলেন।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, ৪ আগষ্ট শামীম ওসমানের স্ত্রী লিপি ওসমান, তার মেয়ে লাবিবা জোহা অঙ্গনা, অয়নের স্ত্রী ইরফানা আহমদ রাশমী, অয়নের শিশু পুত্র আরজিয়ান ওসমান গুলশানে অবস্থিত দিপু ভূঁইয়ার মালিকানাধীন বাড়ি গাউসিয়া বিল্ডিংয়ে। দিপু ভূঁইয়ার কাছ থেকে বছর খানেক আগে ঐ এ্যাপার্টমেন্ট ভবনের ৬ হাজার স্কোয়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাট কিনে নেন শামীম ওসমান। এরপর থেকে ওই ফ্ল্যাটে স্বপরিবারে বসবাস করে আসছিলেন শামীম ওসমান। রূপগঞ্জের বিএনপি নেতা দীপু ভূঁইয়ার সাথে শামীম ওসমান ও তার পরিবারের সখ্যতা দীর্ঘদিনের।
সূত্র আরো জানিয়েছে, গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও শামীম ওসমান ও তার ছেলে অয়ন ওসমান আত্মগোপনে চলে যান। গুলশানের বাড়িতে আটকা পরেন লিপি ওসমানসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। ঐ দিন তাণ্ডবে সকাল সাড়ে ১০টায় পারিবারিক বন্ধু বিএনপি নেতা দিপু ভূঁইয়া ওসমান পরিবারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। দিপু ভূঁইয়া নিজেই কালো গ্লাস ঘেরা গাড়িতে করে লিপি ওসমান, তার মেয়ে লাবিবা জোহা অঙ্গনা, অয়নের স্ত্রী ইরফানা আহমদ রাশমী ও অয়নের শিশু সন্তানকে নিয়ে রওনা দেন সিলেটের উদ্দেশ্যে। রাতেই তাদের নিয়ে যাওয়া হয় ডাউকি সীমান্তবর্তী নদীর চরে। তা ছাড়া চরে অবস্থান নিলেও পুরো রাতটা লিপি ওসমান ও তার পরিবারের সদস্যরা নদীর পানিতে কখনো ডুব দিয়ে কখনো ভেসে থেকে কাটিয়ে দিয়েছেন।
সীমান্ত এলাকায় সার্স লাইটের আলো জ¦লে উঠলেই লিপি ওসমান ও তার পরিবারের সদস্যরা নদীর পানিতে ডুব দিয়ে শুধু নাক উঁচিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেন। সীমান্ত এলাকার টহল একটু দূরে সরে গেলে তারা আবার ডাঙ্গার কাছাকাছি চলে আসতেন। এরমধ্যে শামীম ওসমানের অনুগত বন্ধু কলকাতায় অবস্থানরত নারায়ণগঞ্জের ছেলে সুইজারল্যান্ডের পাসপোর্টধারী অনুপের সাথে বাংলাদেশ থেকে যোগাযোগ করা হয়। অনুপ কলকাতা থেকে একটি গাড়ি বহর নিয়ে ডাউকি সীমান্তে লিপি ওসমান ও তার সঙ্গীদের নেয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। দিনের আলোয় সীমান্ত এলাকা ম্যানেজ করে ওপারে চলে যান লিপি ওসমানসহ ৪ জন। ডাউকিতে ইমিগ্রেশন শেষে অনুপের সাথে তারা সোজা চলে যান কলকাতায়। এদিকে দেশে আটকা পড়েন শামীম ওসমান ও তার ছেলে অয়ন ওসমান। কুমিল্লাতে গিয়ে তারা আত্মগোপন করেন। মামা শ^শুর সিদ্ধিরগঞ্জের জালাল এই দুইজনকে কিছু দিনের জন্য নিরাপদ হেফাজতে রাখেন।
অন্যদিকে সূত্র
আরো জানায়, আগষ্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত শামীম ওসমান ও অয়ন ওসমান
বাংলাদেশেই আত্মগোপনে ছিলেন। শামীম ওসমানের ঘনিষ্ট বন্ধু বিএনপি নেতা ইকবাল
এসময় তাদের দেখভাল করেন। আন্ডারওয়াল্ডে ইকবালের রয়েছে একচ্ছত্র আধিপত্য।
সূত্র জানিয়েছে পরবর্তীতে ইকবালই সুযোগ বুঝে শামীম ওসমান ও অয়ন ওসমানকে
সীমান্ত পার করে দিতে সহায়তা করেন। শামীম ও অয়ন প্রথমে কলকাতা ও পরবর্তীতে
দিল্লীতে অবস্থান করেন। এসময় নিজামউদ্দিন আওলীয়ার মাজার ও আজমির শরীফ
জেয়ারত করতে দেখা যায় শামীম ওসমানকে। পরবর্তীতে দিল্লী থেকে স্বপরিবারে আরব
আমিরাতের আজমানিয়াতে চলে যান শামীম ওসমান। আজমানিয়াতে শামীম ওসমান ও তার
পরিবারের সাম্রাজ্য রয়েছে। যা তিনি অনেক আগে ওই এলাকার শেখের মাধ্যমে গড়ে
তুলেছিলেন। কিছুদিন আগে অয়ন ওসমানকে দেখা গেছে স্বপরিবারে তুরস্ক ভ্রমণ
করতে। তুরস্কেও শামীম ওসমানের অঢেল সম্পদ রয়েছে। এছাড়া নিউইয়র্কে অবস্থানরত
লিপি ওসমানের বড় ভাই ডাক্তার শামীমের মাধ্যমে একশ’ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ
করেছেন। শামীম ওসমানের শ্যালক তানভির টিটু দেশ ছেড়ে পালিয়ে বর্তমানে
আমেরিকায় অবস্থান করছেন। আমেরিকাতেও টিটুর আলাদা সাম্রাজ্য রয়েছে।
শামীম
ওসমানের ঘনিষ্ট সূত্র গুলো আরো বলছেন,বর্তমানে দেশে শামীম ওসমানের ফেলে
যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সম্পদের দেখাশোনা করছেন পুরনো বন্ধু বিএনপি নেতা
ইকবাল। শামীম ওসমান চাচ্ছেন, ধীরে ধীরে তার এবং পরিবারের ব্যবহৃত গাড়ী,
ফ্ল্যাট, বাড়ী, কার্গো জাহাজাসহ বাংলাদেশের সম্পদগুলো বিক্রি করে দিবেন।
এজন্য তিনি ঘনিষ্টজনদের সাথে দুবাই থেকে নিয়মিত যোগাযোগও করে চলেছেন। যা
নিয়ে বর্তমানে ওসমান পরিবার দ্বারা নির্যাতিত অনেকেই ক্ষেপে উঠেছেন। সকলেই
বিএনপির হাইকমান্ড থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুত দিপু ভূ্ইঁয়া ও ইকবালের
ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছেন। আর বর্তমানে এদের কর্মকাণ্ডকে মীরজাফর
হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের
আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি যুগের চিন্তাকে বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির তারা
একসাথে মিলে মিশে রাজনীতি করে। আওয়ামী লীগের শাসন আমলে আমরা বিএনপির অনেক
নেতকার্মীদের দেখতাম তারা ওসমান পরিবারের সাথে থেকে তাদের মঞ্চে উঠে
জিন্দাবাদ দিয়ে তাদের সাথে লিয়াজু করে চলতেন। আর পট পরিবর্তনের পরে ও ওসমান
পরিবারের অনেক লোকজনদের বিএনপির বহু নেতাকর্মী পাহারা দিয়ে রাখছেন। আর
এটার মধ্যেই একটা প্রমাণ রয়েছে যে বিএনপির লোকেরাই ওসমান পরিবারকে দেশের
বাহিরে পালাতে সাহায্যে করেছে।
তিনি বলেন, এখন ও দেশে যারা ওসমান
পরিবারের সহযোগী রয়েছে তাদেরকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য তারা সব সময় বেকুল
হয়ে রয়েছে। এটা আমাদের রাজনীতির জন্য একটি খারাপ সংবাদ। বিএনপির এমন
কর্মকাণ্ডে দুর্বৃত্তরা আশ্রয় পায়। বিএনপির যারা যারা এই কাজে লিপ্ত রয়েছে
তারা দুর্বৃত্তদের সহায়তা করছে।
নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও
খবরের পাতা পত্রিকার সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মাসুম যুগের চিন্তাকে বলেন,
আমি যুগের চিন্তা পত্রিকার সূত্র ধরে বলতে চাই। গত ৫ আগষ্টের পর বিএনপির
কোন নেতার গাড়িতে চরে যদি ওসমান পরিবারের লোকজন পালিয়ে থাকে এটার সুষ্ঠ
তদন্ত হওয়া উচিত। নারায়ণগঞ্জের একজন সন্ত্রাসী পরিবার গডফাদারের পরিবারকে
এই বিএনপি নেতা দিপু ভূঁইয়া যদি গাড়িতে করে পলায়নে সহায়তা করে এটা অনেকটাই
নিন্দার বিষয়। এটা বিএনপির হাইকমান্ডে দেখা উচিত। দ্রুত এটার বিরুদ্ধে
তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
তিনি বলেন, আর অন্যদিকে ইকবাল হলো মাফিয়া ও
আন্ডারওয়াল্ডের একজন। এ ছাড়া ও এখন তার পরিচয় তিনি বিএনপি নেতা। এই মাফিয়া
আরেক মাফিয়া পরিবারকে দেশ থেকে পলায়নে সহায়তা করেছে। আবার এখন তারা এমন
নিকৃষ্ঠ কাজ করে কেমন করে তারা বুক ফুলিয়ে কথার্বাতা বলে পদপদবী পায়। আমি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলতে চাই
এই বিষয়টা সিরিয়াসলি দেখুন এবং তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন তা না
হলে আপনার দল নারায়ণগঞ্জে ইমেজ সংকটে পড়বে।
মহানগর জামায়াতের আমীর
মাওলানা আব্দুল জব্বার যুগের চিন্তাকে বলেন, শামীম ওসমান তার ভাই ব্যবসায়ী
নেতা সেলিম ওসমানসহ তাদের পরিবার ও লোকজন বিগত ১৫ বছর সময়ে জনগণের উপরে
যেভাবে অত্যাচার ও জুলুম করেছে মানুষের যানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। তাদের
বিচার জনতার আদালতে যদি কিছু করার সুযোগ থাকতো সেটি হতো। যেহেতু দেশের
আইনশৃঙ্খলা আমরা মানি দেশকে ভালোবাসি। এ ছাড়া ও ইতিমধ্যে যতগুলো মামলা
হয়েছে আওয়ামী লীগ দোসরদের বিরুদ্ধে তাদের গ্রেফতার করে যথাযথ শাস্তি দেওয়ার
সুযোগ রয়েছে। আর আমার বিশ^াস দেশের পরিস্থিতি এখন যতাই খারাপ হোক না কেন
এটা দ্রুত ভালো হবে।
তিনি বলেন, আপনাদের নিউজের সূত্র যদি সঠিক হয়ে থাকে
তাহলে এই বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে বিএনপির হাইকমান্ডের দ্রুত ব্যবস্থা
নেওয়া দরকার। কারণ যারা বিগত দিনে নারায়ণগঞ্জবাসীকে নাজেহাল করে রেখেছিলেন
তাদেরকে যদি আমরা সাহায্যে করে থাকি তাদের পাশে দাঁড়াই তাহলে তারা জাতির
কাছে, এলাকাবাসীর কাছে নারায়ণগঞ্জের কাছে মীরজাফর হিসেবে চিহ্নিত হবে। গণসংহতি
আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সূজন যুগের চিন্তাকে বলেন, যারা
নারায়ণগঞ্জকে অশান্তি করেছে, গুম খুনের নগরীতে পরিণত করেছে। তাদেরকে যারা
নারায়ণগঞ্জ থেকে পলায়নে সহযোগীতা করেছে তাদেরকে বিচার করতে হবে এবং দ্রুত
তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
এদিকে সূত্র জানিয়েছে, ৫ আগস্টের পর
রূপগঞ্জের বিএনপি নেতা দিপু ভূইয়া যে শুধু শামীম ওসমানের পরিবারকে পালিয়ে
যেতে সহায়তা করেছে এমটিই নয়। তার সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ ও বিক্রির দায়িত্বও
বুঝে নিয়েছেন এই নেতা। তাছাড়া রূপগঞ্জে সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর
চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনীকেও ৫ আগস্টের পর দিপু ভূইয়ার সাথে বিভিন্ন জায়গায়
শোডাউনে দেখা গেছে। রূপগঞ্জের স্থানীয়রা বলছেন, গোলাম দস্তগীর গাজীর সকল
সন্ত্রাসী, দুর্বৃত্ত এখন দিপু ভূইয়ার শেল্টারে। ভোল পাল্টে সব বিএনপির
লেবাস ধরছে, আর সেই সুযোগ করে দিচ্ছে দিপু ভূইয়া। সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী
লীগ সরকারের সময়ও দিপু ভূইয়া অত্যন্ত সুকৌশলে আওয়ামী লীগের নেতার সাথে
সখ্যতা রেখে চলতো। লিপি ওসমানের নাম ব্যবহার করে জায়গার ব্যবসাও করতেন
সেসময়। এখনই বিএনপির এই বিতর্কিত নেতাকে বিএনপির হাইকমান্ড লাগাম টেনে না
ধরলে বিএনপির নিজ দলেই ইমেজ সংকটে পড়তে পারে, কেননা রূপগঞ্জসহ গোটা
নারায়ণগঞ্জেই দিপু ভূইয়ার এসব কর্মকাণ্ড ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ দেখাচ্ছে
তৃণমূল নেতাকর্মীরা।