না.গঞ্জে আ.লীগ নেতাদের ঘরে ঘরে আতঙ্ক

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

এবার নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের নেতাদের ঘরে ঘরে আতঙ্কের ঝড় উঠেছে। দেশব্যাপী বিক্ষিপ্ত জনতা স্বৈরাচার সরকারের সকল চিহ্ন বা দোসরদের আস্তানা আলিসান বিলাসবহুল বাড়ি ঘুড়িয়ে দিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী পরিবার গডফাদার শামীম ওসমানের দাদা বাড়ি বায়তুল আমান ভাঙার পর থেকে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের নেতা অর্থাৎ ওসমানদের দোসরদের ঘরে ঘরে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কেননা দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী পরিবারের দোসরদের দ্বারা নির্যাতিত নিপীড়িত নারায়ণগঞ্জের বিক্ষিপ্ত জনতা দোসরদের অপরাধের আস্তানা, অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আলিসান বিলাসবহুল বাড়ি,গাড়ি ঘুড়িয়ে দিতে পারে। কারণ জুলুম নির্যাতনের মধ্য দিয়ে উপার্জিত টাকায় দোসরা নির্মিত করেছিলেন অপরাধের আস্তানা, অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আলিসান বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি।
সূত্র বলছে, বায়তুল আমান ভাঙার পর এবার ওসমানদের দোসরদের ঘরে ঘরে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কেননা গত ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পরপরই মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর শহরের মিশনপাড়া এলাকায় বিভিন্ন পর্যায়ের বিক্ষুব্ধ জনতা জড়ো হয়। এরপর সেখান থেকে একটা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের চাষাড়া এলাকার আসেন বায়তুল আমানের সামনে। বায়তুল আমানের সামনে পূর্ব থেকেই রাখা ছিল বুলডোজার। এরপরই গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়। প্রথমে বুলডোজার দিয়ে বাইতুল আমানের সীমানা ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর ভবন ভাঙার কাজ শুরু করে ভবনটিকে ভেঙে দেয়া হয়। এই ঘটনার পর থেকেই নারায়ণগঞ্জের ওসমানদের দোসর হিসেবে চিহ্নিত এবং ওসমানদের অপরাধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত আওয়ামীলীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগ করা নেতারা অবৈধ উপার্জনে বিশাল অট্রালিকা অর্থের পাহাড় ঘড়ে তুলেছেন।
যেগুলো ওসমানদের নির্দেশে এই নারায়ণগঞ্জ শহরের সাধারণ জনতাকে নির্যাতিত নিপীড়িত করার মাধ্যমে গড়ে তুলেছিলেন ওসমানদের দোসররা। যার কারণে এবার বিক্ষিপ্ত জনতার নিশানা ওসমানদের সন্ত্রাসী বাহিনী এবং অপরাধ জগৎতের নায়কদের উপর যারা হলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া সাজনু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ্ নিজাম,নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, নারায়ণগঞ্জ ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সভাপতি তানভীর আহমেদ টিটু, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগ নেতা শামীম ওসমানের খালাত শ্যালক এহসানুল হক নিপু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য আব্দুল করিম বাবু ওরফে ডিস বাবু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশীদ, বন্দরের খান মাসুদ, নাসিক সাবেক কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, সাইফুদ্দিন দুলাল, রুহুল আমিন। এসকল ওসমান দোসরা নারায়ণগঞ্জের সাধারণ জনতার রক্তচুষে খেয়েছেন বিভিন্নভাবে নির্যাতিত নিপড়ীত করে অসৎ অবৈধ উপায়ে টাকা উপার্জন করেছেন। যার কারণে সাধারণ বিক্ষিপ্ত জনতা শামীম ওসমানের দোসর ও আওয়ামীলীগের নেতাদের অপরাধের আস্তানা, অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আলিসান বিলাসবহুল বাড়ি,গাড়ি ঘুড়িয়ে দিতে পারেন যেকোন মুহুর্তে। বিক্ষিপ্ত জনতার দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃবিকাশ যেকোন সময় ঘটতে পারে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের নেতাদের স্থাপনায়। যার কারণে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের নেতাদের ঘরে ঘরে আতঙ্ক বিরাজ করছে।