
প্রিন্ট: ০২ মে ২০২৫, ১০:১০ পিএম
চিহ্নিত বড় শয়তানরা শিকারের বাইরে !

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

চিহ্নিত বড় শয়তানরা শিকারের বাইরে !
আরো পড়ুন
সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের দমনে সারা দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ অপারেশন যৌথভাবে পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবি। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপারেশনে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পতিত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন নষ্ট করতে না পারে সেই জন্য এ অপারেশন পরিচালনা করা হচ্ছে। ইংরেজি শব্দ ডেভিল অর্থ শয়তান আর হান্ট অর্থ শিকার। ফলে ডেভিল হান্ট-এর অর্থ দাঁড়ায় শয়তান শিকার করা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত ডেভিল হান্ট বলতে দেশবিরোধী চক্র, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের বোঝানো হয়েছে।
সাতখুন-পাঁচখুন, খুন, হত্যা-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড-চাঁদাবাজি, রাহাজানিসহ শত অপরাধের কুখ্যাতির কারণে নারায়ণগঞ্জ জেলাকে সারাদেশে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হতো। গডফাদার শামীম ওসমান, তার ভাই সেলিম ওসমান, এর আগে তার প্রয়াত ভাই সাবেক সাংসদ নাসিম ওসমানসহ গোটা ওসমান পরিবার ছিল এই সন্ত্রাসী সাম্রাজ্যের মূলে। এছাড়া রূপগঞ্জে গোলাম দস্তগীর গাজীর ক্যাডার, সোনারগাঁয়ের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, আড়াইহাজারের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সাবেক চীফ হুইপ ও সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর ক্যাডার বাহিনীর কারণে গোটা নারায়ণগঞ্জই ছিল আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এক বিশাল আখড়া। অপারেশন ডেডিল হান্ট শুরু হলেও সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হয়ে ওঠা নারায়ণগঞ্জের বড় চিহ্নিত ডেভিলদের এখনো গ্রেপ্তার হতে দেখা যায়নি এই অভিযানে।
সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগ ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের ছত্রছায়া এবং শামীম ওসমানের প্রত্যক্ষ মদদে পদে থাকা নেতা এবং পদের বাইরে রাখা নেতাদের দিয়েই মূলত গোটা জেলায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হতো। আড়াইহারে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম বাবুর কমিটির নেতাদের প্রত্যেকেরই বিশাল বাহিনী ছিল। রূপগঞ্জে গোলাম দস্তগীর গাজী ও তার ছেলে গোলাম মর্তুর্জা পাপ্পা গাজীর আশ্রয়ে থাকা কমিটির প্রত্যেকেরই লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী ছিল। তাছাড়া বন্দরে সেলিম ওসমান, শামীম ওসমানের যৌথ প্রযোজনায় পালিত সন্ত্রাসীরা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতো। সদর, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জে শামীম ওসমানের পালিত সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য ছিল। সাবেক ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, যুব মহিলা লীগ, তাঁতী লীগ, সৈনিক লীগসহ নামে বেনামের ব্যানারে এসব সন্ত্রসাীরা দাপিয়ে বেড়াতো। জমি দখল, মাদক ব্যবসা, অস্ত্রের ঝনঝনানি, ঝুট ব্যবসা, ডিস ব্যবসাসহ হেন অপকর্ম নেই যেটি এই বাহিনী করতো না। শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটু, সিদ্ধিরগঞ্জের জালাল মামা, শামীম ওসমানের বন্ধু কুখ্যাত চাঁদাবাজ রাইফেল ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রাইফেল ক্লাবের অস্ত্র লুটে সহায়তাকারী খালেদ হায়দার খান কাজল, শামীম ওসমানের কথিত শ্যালক এহসানুল হক নিপু, শামীম ওসমানের বেয়াই ফয়েজউদ্দিন লাভলু, তার ছেলে ভিকির প্রত্যেকেরই আলাদা বাহিনী ছিল। তাছাড়া শামীম ওসমানের চিহ্নিত সন্ত্রাস শাহ নিজাম, জাকিরুল আলম হেলাল, যুবলীগ নেতা শাহাদাৎ হাসান সাজনু, ফরিদ আহমেদ লিটন, সাইফুল্লাহ বাদল, এম শওকত আলী, সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল, সাবেক কাউন্সিলর ও ডিস ব্যবসায়ী আব্দুল করিম বাবু, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ, সাধারণ সম্পাদক রাফেল প্রধান, সর্বশেষ কমিটির মেহেদী হাসান সম্রাট, সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের জানে আলম বিপ্লব, বন্দরে কুখ্যাত সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতা খান মাসুদ, গাজী এমএ সালাম, মাসুম আহম্মেদ , সাইফুদ্দিন মো. দুলাল প্রধান, তার বন্ধু কমল, গলাচিপার রবিউল ইসলাম, ফতুল্লার শরীফুল হক, মীর সোহেল, ইসদাইরে মিছির আলী, আজমেরীর ক্যাডার নাসির, সিদ্ধিগঞ্জের কাজী আমির, ১০নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইফতিখার আলম খোকন, ৮নং ওয়ার্ডের মহসিন ভূইয়া, সাবেক কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসান, কুখ্যাত সাত খুনের আসামি নূর হোসেনের ভাই নূরউদ্দিন, ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও নূর হোসেনের ভাতিজা শাহজালাল বাদল, ২নং ওয়ার্ডের হাজী শফিকুল ইসলাম, ৬নং ওয়ার্ডের পানি আক্তার, মতির সহযোগী আশরাফউদ্দিন, ১২নং ওয়ার্ডের কুখ্যাত সন্ত্রাসী নিয়াজুল ইসলাম, ১১নং ওয়ার্ডের হেনা, মো. কামাল হোসেন, ফতুল্লার নাজিমউদ্দিন ভূইয়া, কুতুবুপুরের মির হোসেন মিরু, আলাউদ্দিন মেম্বার, জাহাঙ্গীর, বক্তাবলীর দৈত্য জাহাঙ্গীর, শাহনিজামের ঘনিষ্ট সহযোগী নান্টু, গোগনগরের ফজর আলী, কাশেম সম্রাট, বিচ্ছু বাহিনীর রুবেল, নূর হোসেন, রফিক, জাহাঙ্গীর মেম্বার, বাপ্পী প্রধান, শামীম ওসমানের বন্ধু ওয়াজেদ আলী খোকন, শামীম ওসমানের আদালত পাড়ার ক্যাডার এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল, বন্দরের ছেলে আইনজীবীদের জন্য ত্রাস এড.মোহসীন মিয়া, শামীম ওসমানের বন্ধু কাজলের ভাগ্নী সুইটি ইয়াসমিন, তাঁর স্বামী মাসুম আহমেদ, কাশিপুরের বাদলের ছেলে সাজন, প্যানেল চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী, সাত্তার, আশরাফ, ফতুল্লার মজিবর, তার ভাতিজা হিমেল, ছাত্রলীগ নেতা টিপু সুলতান, কাশিপুরের চেয়ারম্যান বাদরে ভাগিনা মাহবুবুর রহমান সৌরভ, রেহান শরীফ বিন্দু, আনিসুর রহমান শ্যামল, রিয়াজউদ্দিন কবির, ডাকাত গেসু, তার ছেলে শামীম, ছেলে সুমন, কাশিপুরের সাবেক চেয়ারম্যান মমিন শিকদার, তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা দিপ্ত শিকদার, সিদ্ধিরগঞ্জের মজিবুর রহমান, হাজী ইয়াছিন মিয়াসহ আরো অর্ধশত নেতার ছিল সন্ত্রাসী বাহনী। আজমেরীর ক্যাডারদের মধ্যে আক্তার নূর, লিমন, রিপন, রিপনের ছেলে সীমান্ত, সনেট, ইফতি, মুকিত, বান্টি, পিজা শামীম, খানপুরের সাবেক কমিশনার আজহার, রাতের নরপতি টাকলা মুরাদ, মোর্শেদ, ডিআইটি মনির, নীট কনসার্নের মনিরেরও ছিল সন্ত্রাসী বাহিনী। নাসিক ১৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মনির, সাবেক কাউন্সিলর কবির, ইসদাইরের ইভন, পরেশ চৌধুরী, জামান-শিমুল, শ্রমিক লীগ নেতা কামরুল ইসলাম মুন্না, মাদক ব্যবসায়ী বিটু, পাগলার শ্রমিক লীগ নেতা পলাশ, তার সন্ত্রাসী সেন্টু, জহির, আজিজুল, মোকাররম, হুমায়ুনেরও ছিল বিশাল বাহিনী। এছাড়া তেলচোর চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, সানাউল্লাহ সানু, সাবেক কাউন্সিলর আফজালও ছিল বেপরোয়া।
সোনারগাঁয়ের সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান কালাম, তার ভাই মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, ইঞ্চিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, তার ভাই সাঈদ, তার ক্যাডার আরিফ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আনিস, শ্রমিক লীগ নেতা হালিম শিকদার, পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ছগির, আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম, সোহাগ রনি, ছাত্রলীগ সোনরগাঁয়ের সভাপতি রাসেল, সেক্রেটারি সাগর, আওয়ামী লীগ নেতা কায়সারের পিএস আশরাফুজ্জামান, মোস্তফা কামাল নিলু, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও লিপি ওসামনের বান্ধুবী মাহমুদা আক্তার ফেন্সী, বারদীর চেয়ারম্যান চুম্মা বাবুল, সন্মানদীর চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন জিন্নাহ,তার ভাই ভূমিদস্যু জাহাঙ্গীর, কাচঁপুরের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর, বৈদ্যের বাজারের চেয়ারম্যান আলআমিন, শম্ভুপুরার চরকিশারগঞ্জের ত্রাস রাসেল উদ্দিন, সোনারগাঁয়ের এইসব ব্যক্তির সন্ত্রসী কর্মকাণ্ডের অর্থ শামীম ওসমানের সাথে পেতেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহাও এসব সন্ত্রাসীদের আশকারা দিতেন। তাছাড়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও আওয়ীমীলীগ নেতা জিএম আরাফাত, আহসান হাবীবও অনেক সন্ত্রাসীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিতেন।
আড়াইজারের সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর অন্যতম ক্যাডার সাইফূল ইসলাম স্বপন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজালাল মিয়া, ইকবাল পারভেজ, হ্যালো সরকার, পৌরসভার সাবেক মেয়র সুন্দর আলী, গোপালদীর সাবেক মেয়র হালিম শিকদার, আওয়ামী লীগ সিরাজুল ইসলাম ভুইয়া, লিয়াকত হোসেসহ উপজেলা আওয়ামীলীগের গোটা কমিটিই সাবেক এমপি বাবুর নিয়ন্ত্রণে চলতো। এরমধ্যে আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, কাজী বেনজীর আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম ভুঁইয়া, লিয়াকত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুজ্জামান, আবু তালেব মোল্লা, মনির হোসেন শিকদার, মেহের আলী মোল্লা, রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক ভিপি মোজ্জাম্মেল হক জুয়েল, গোপালদী পৌর মেয়র হালিম শিকদার, মাহাবুবুর রহমান রোমান, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. সেলিম আল এমরান, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শমসের জামান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বেলাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আব্দুল হাই ভুঁইয়া, দপ্তর সম্পাদক আবুল হাসেম প্রফেসর, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মকবুল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহীন সরকার, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শামসুল হক মোল্লা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হাছিনা পারভীন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক শ্রী রবীন্দ্র চন্দ্র দে, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ মোল্লা, শিক্ষা ও মানবসম্পাদ বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর নুরুজ্জামান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মিয়া সেলিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. গোলাম মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাইফুর রহমান, মোহাম্মদ উল্লাহ, সহ-দপ্তর সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আজাদ খাঁন সোহাগ, কোষাধ্যক্ষ মো: ইব্রাহিম মোল্লা। এছাড়া এনাজুর রহমান চৌধুরী, শাহাজালাল মিয়া, এড. আব্দুর রশিদ ভুঁইয়া, মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার,¡ সুন্দর আলী, গোলাম মোহাম্মদ, আজাহার খাঁন, তাজিমুল ইসলাম, ইস্্রাফিল ভুঁইয়া, শ্রী শান্তি ভূষন, বিএম কামরুজ্জামান ফারুক, রফিকুল ইসলাম মানিক, বেনজীর আহমেদ ভুঁইয়া, ফরিদ পাশা, লাক মিয়া, সাহিদা মোশারফ, আলী হোসেন ভুঁইয়া, সিরাজুল ইসলাম ভুঁইয়া, সাইফুল ইসলাম স্বপন, নাজিমউদ্দিন মোল্লা, আরিফুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন রিপন, শাহিন মিয়া, আহমেদুল কবির উজ্জল, রেজাউল করিম, নাজমুল হক, সেলিম মিয়া, মামুন অর রশিদ, মাহাবুবুর রহমান বাবলু, আলাউদ্দিন (জিএস) , শরিফুল, নাজমুল হক বাদল, আবুল হোসেন, জোনায়েদ আহমেদ ভুঁইয়া প্রিন্স, সৈকত ভূঁইয়া।
আড়াইজারের মতো রূপগঞ্জেও একক আধিপত্য ছিল সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর। গাজী ও তার ছেলে পাপ্পা গাজী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই গোটা সাম্রাজ্যের সন্ত্রাসীদের মদদ দিতেন। সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, শেখ সাইফুল ইসলাম, ব্যারিস্টার খান মো: শামীম আজিজ, মানজারী আলম মোল্লা টুটুল, মোস্তাফিজুর রহমান মোল্লা, গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা, মো: আবুল হোসেন খাঁন, মশিউর রহমান তারেক, মো: বরকত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মো: শাহজাহান ভুঁইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: আজিজুল হক ভুইয়া আজিজ, আমির হোসেন ভুঁইয়া, মাহাবুবুর রহমান ভুঁইয়া মেহের, আইন বিষয়ক সম্পাদক মো: এড.মেজবাহ উদ্দিন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মো: আরাফাত আলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো: কামাল হোসেন কমল, ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ মারফত আলী, দপ্তর সম্পাদক আলতাফ হোসেন গোলবক্স, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুন্সি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাছুম চৌধুরী অপু, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো: আবুল কালাম ভুঁইয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো: এমায়েত হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো: আমান উল্যাহ মিয়া, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো: সাইফুল ইসলাম ভুইয়া সোহেল, শিক্ষা ও মানব সম্পাদক বিষয়ক সম্পাদক সোহেল আহমেদ ভুঁইয়া, শ্রম সম্পাদক মো: মতিউর রহমান আকন্দ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো: আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ ফয়সাল আহমেদ , সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হারেজ, মো: ফারুক মিয়া, হাফিজুর রহমান ভুঁইয়া সজিব, সহ-দপ্তর সম্পাদক মো: ওবায়দুল মজিদ ভুঁইয়া জুয়েল, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো: তানভীর হাই, কোষাধক্ষ্য মো: মুশফিকুর রহমান রিপন, সদস্য মো: আবদুল হাই, হাছিনা গাজী, সামা রানী পাল, আনোয়ার হোসেন মোল্লা, আমজাদ হোসেন, মো: আবু সাইদ ভুঁইয়া, রমাকান্ত সরকার, মো: মকবুল হোসেন, মো: জায়েদ আলী, নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, মো: নজরুল ইসলাম মাস্টার, রফিকুল ইসলাম রফিক (মেয়র,কঞ্চন), মো: ছালাউদ্দিন ভুঁইয়া, তোফায়েল আহমেদ আলমাছ, ব্যারিস্টার আরিফুল হক, মো: গোলাম রসুল কলি, আব্দুস সাত্তার চৌধুরী, আমির হোসেন ভুইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, মো: ফিরোজ ভুঁইয়া, মো: নূরে আলম, মো: বজলুর রহমান, মো: খোরশেদ আলম, মো: মনির হোসেন ভিপি , মো: মেজবাহ উদ্দিন বাচ্চু, দীন মোহাম্মদ দিলু, হাসান আশকারী, মো: হাফিজুর রহমান (ডহরগাঁ) , মো: অলিউর রহমান, আব্দুল করিম মিয়া, মো: আবুল হোসেন, মো: নাঈম ভুঁইয়া, আনছর আলী, মো: নবী হোসেন প্রত্যোকের সন্ত্রাসী বাহিনীই ছিল মূলত গাজীরই সন্ত্রাসী বাহিনী।
গত ১৭ বছর নারায়ণগঞ্জের সব সেক্টরের তান্ডব চালানো এসব কুখ্যাত আওয়ামী সন্ত্রাসী তথা বিগ ডেভিলদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজনকেই অপারেশন ডেভিল হান্টে আটক করা সম্ভব হয়েছে। শিল্পাঞ্চল এই নারায়ণগঞ্জ যেভাবে গত ১৭ বছরে ধরে সন্ত্রাসী রাজত্বে পরিণত হয়েছে তাতে আসন্ন নির্বাচনের আগে এসব সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে না পারলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায়না।