Logo
Logo
×

রাজনীতি

১৬ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি হরতালের ডাক দেয় এই দলের নেতাকর্মীরা

গলাবাজিতে ধরা খেয়েছে আ.লীগ

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

গলাবাজিতে ধরা খেয়েছে আ.লীগ
Swapno

পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে রাজপথে থেকে অন্তবর্তি সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসূচি ঘোষনা দিযেছে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগি সংগঠন ছাত্রলীগ। কিন্ত নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের দোসররা পোষ্টার ব্যানারে ফিরলেও স্ব শরীরে কেউ মাঠে নামতে পারে নাই। যদিও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিও পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রতিদিন আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিরোধে বিক্ষোভ মিছিল করে যাচ্ছেন। সারা মাস জুড়েই তারা এ বিক্ষোভ মিছিল করে যাবেন বলে ঘোষনা দিয়েছেন। তাই রাজনৈতিক বোদ্ধমহল মনে করেন মহানগর বিএনপির দাপুটে আওয়ামী লীগের কেউ মাঠে নামার সাহস পাচ্ছে না।



এদিকে ক্ষমতা থাকা কালিন সময়ে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতারা গলাবাজি করে বড় বড় কথা বলেছেন। তারা নানা উন্নয়ন করেছে বলে গলা ফাটিয়েছে। এমনকি আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না বলেও মন্তব্য করেছে জেলা ্আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। বাস্তবতা হচ্ছে গত ছয় মাস যাবত নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের বিগত সময়ের এমপি থেকে শুরু করে সকল নেতাকর্মীরা পালিয়ে রয়েছে। ২০২৪ সনের ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। সেই থেকে জেলা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারাও পালিয়ে রয়েছে। এখনো পর্যন্ত তাদের দেখা মিলে নাই। এমনকি ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে আওয়ামী লীগ যে কর্মসূচি দিয়েছে তার প্রথম দিনেই নারায়ণগঞ্জের রাজপথে কাউকে দেখাা যায় নাই।



অপরদিকে ২০২৪ সনের ৫ আগষ্ট ক্ষমতা হারান আওয়ামী লীগ। ক্ষমতা ছেড়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে য্ওায়ার পর ৮ আগষ্ট সন্ধ্যায় অর্থনিতীবিদ ড.ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অর্ন্তবর্তীকালিন সরকার গঠিত হয়। সেই থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল পালিয়ে রয়েছে। এছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা আত্মগোপনে রয়েছে।



তাছাড়া বিগত সময়ের দাপুটে থাকা ওসমান পরিবারের ওসমানীয় সম্রাজ্যের সন্ত্রাসী বাহিনীও পুরোদমে আড়ালে চলে গেছে। যদিও পাড়া মহল্লার কেউ কেউ বিএনপি নেতাদের শেল্টারে বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। কিন্তু ওসমানীয় সম্রাজ্যের সদস্যরা ইতোমধ্যে অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তবে দলের কর্মসূচিতে কেউই সামনে আসতে সাহস পাচ্ছে না। তারা ক্ষোভ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যবে দীর্ঘ দিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে যারা টাকা কামিয়েছে তারা এখন কই। তারা কেন মাঠে নামছে না।



দলটি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর প্রায় ছয় মাসের মাথায় অন্তবর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। এমন একটি সময় আওয়ামী লীগ এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, যখন দলের শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যায়ের অধিকাংশ নেতারা হয় কারাগারে, না হয় 'পলাতক' রয়েছেন। এমনকি দলটির সভাপতি ও ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গত ছয় মাস ধরে ভারতে অবস্থান করছেন। তার সাথে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের সাবেক এমপিরাও পলাতক রয়েছে। যদিও আরব আমিরাতে নারায়ণগঞ্জের গডফাদার খ্যাত শামীম ওসমানকে দেখা গেছে সংবাদ শিরোনাম হয়েছে গণমাধ্যমে। তবে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ অর্ন্তবর্তি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য কর্মসূচি ঘোষণা হওয়ায় রাজনৈতিক দল গুলোর মাঝে আলোচনা তৈরী হয়েছে।



এদিকে  ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আগামী ১৬ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি হরতাল-অবরোধের ডাক দিয়েছে পালিয়ে যাওয়া ক্ষমতাচ্যুত দলটি। নিজেদের দাবির পক্ষে জনসমর্থন আদায়ে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পরবর্তী দুই সপ্তাহ সারা দেশের পাড়া মহল্লায় লিফলেট বিতরণ ও বিক্ষোভ-সমাবেশ পালনেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।  তাদের দাবী অর্ন্তবর্তি সরকার"জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এই কর্মসূচি। কিন্তু দলটির কর্মসূচি পালনে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতাদের কারো দেখা মিলে নাই। তারা মাঠে নামতে পারবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।



অন্যদিকে, গত পাঁচই অগাস্টের পর মামলা-হামলার ভয়ে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘরছাড়া। এমনকি তাদের সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা সবাই এলাকায় ফিরতে পারেননি। অল্প যে কয়েকজন ফিরেছেন, তারাও প্রকাশ্যে আসতে চাচ্ছেন না। এ অবস্থায় দলটি কীভাবে হরতাল-অবরোধের মতো রাজপথের কর্মসূচি পালন করবে এবং সেক্ষেত্রে তারা কতটুকু সফল হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি যুবদল, ছাত্র দল যেভাবে প্রতিদিন হুঙ্কার দিয়ে মাঠে নেমে আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে প্রতিরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে যাচ্ছে তাতে কর্মসূচি দেয়া দলটির নেতাকর্মীরা মাঠে নামার মত সাহস হারিয়ে ফেলছে। তার মাঝে তারা হত্যা মামলা জর্জরিত হয়ে রয়েছে। দেখা মিললেই জনতা তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে দিবে এমন আশঙ্কা রয়েছে। তাই সব মিলিয়ে তারা দাড়ানোর সাহস না পেয়ে নিজেরা এখন আত্মগোপনে থাকতে নিজেদের  সেভ মনে করছেন।




Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন