Logo
Logo
×

রাজনীতি

পলাতক নেতাদের হরতাল পালন করবে কারা

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

পলাতক নেতাদের হরতাল পালন করবে কারা

পলাতক নেতাদের হরতাল পালন করবে কারা

 সারাদেশে একই দিনে পালিয়ে যাওয়া দল আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলীয়ভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। গত বছরে ছাত্র জনতার আন্দোলনে মুখে পড়ে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ভারতে আশ্রয় নেন। এদিকে আজ আওয়ামী লীগ অন্তবর্তি সরকারের বিরুদ্ধে হরতাল দিয়ে কর্মসূচি ঘোষনা করেছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো ২০২৪ সনের ৫ আগষ্টের পরে আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মীকে প্রকাশ্যে দেখা যায় নাই। তাই প্রশ্নে উঠেছে আওয়ামী লীগের ঘোষিত হরতাল কে পালন করবে। কেননা ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে দলটির একটি শ্রেণি নানাভাবে অবৈধ পন্থায় টাকা কামিয়ে এখন পলতাক রয়েছে। তারাও এখন প্রকাশ্যে আসতেছে না। যেখানে নেতাকর্মীদের দেখা নেই সেখানে হরতাল কর্মসূচি দেয়াও রাজনৈতিক বিষেøশকরা বোকামির মত করে দেখছে। তবে একই দিনে জামায়াতে ইসলামী সারাদেশে বিক্ষোভ মিছির ও সমাবেশ করার ঘোষনা দিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ জেলা মহানগর জামায়াতে ইসলামীও নগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে আওয়ামী লীগের হরতাল বাস্তবায়ন কারা। তারাতো পলাতক রয়েছে। তার মাঝে আবার সম্প্রতি যৌথ বাহিনীর ডেভিল হান্ট অভিযান চলমান রয়েছে।



 এদিকে পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে রাজপথে থেকে অন্তবর্তি সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসূচি ঘোষনা দিয়ে তেমন কোন ফল পান নাই। এমনকি তারা রাজপথে নামতেই পারে নাই। তাই আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগি সংগঠন ছাত্রলীগের হরতাল ঘোষনা নিয়ে কারো কোন কর্ণাপাত নেই। তবে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের ওসমান পরিবার দোসররা পোষ্টার ব্যানারে ফিরলেও স্ব শরীরে কেউ মাঠে নামতে পারে নাই। যদিও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিও পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রতিদিন আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিরোধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। সারা মাস জুড়েই তারা এ বিক্ষোভ মিছিল করে যাবেন বলে ঘোষনা দিয়েছেন। রাজনৈতিক বোদ্ধমহল মনে করেন মহানগর বিএনপির দাপুটে আওয়ামী লীগের কেউ মাঠে নামার সাহস পাচ্ছে না।



অপরদিকে ক্ষমতা থাকা কালিন সময়ে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতারা গলাবাজি করে বড় বড় কথা বলেছেন। তারা নানা উন্নয়ন করেছে বলে গলা ফাটিয়েছে। এমনকি আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না বলেও মন্তব্য করেছে জেলা ্আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। বাস্তবতা হচ্ছে গত ছয় মাস যাবত নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের বিগত সময়ের এমপি থেকে শুরু করে সকল নেতাকর্মীরা পালিয়ে রয়েছে। এমনকি ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে আওয়ামী লীগ যে কর্মসূচি দিয়েছে তা বাস্তবায়নে নারায়ণগঞ্জের রাজপথে কাউকে দেখাা যায় নাই। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল পালিয়ে রয়েছে। এছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা আত্মগোপনে রয়েছে। তাছাড়া বিগত সময়ের দাপুটে থাকা ওসমান পরিবারের ওসমানীয় সম্রাজ্যের সন্ত্রাসী বাহিনীও পুরোদমে আড়ালে চলে গেছে। দলের কর্মসূচিতে কেউই সামনে আসতে সাহস পাচ্ছে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ জানিয়ে বলেন,  দীর্ঘ দিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে যারা টাকা কামিয়েছে তারা এখন কই। তারা কেন মাঠে নামছে না। দলটি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর প্রায় ছয় মাসের মাথায় অন্তবর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। এমন একটি সময় আওয়ামী লীগ এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, যখন দলের শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যায়ের অধিকাংশ নেতারা হয় কারাগারে, না হয় 'পলাতক' রয়েছেন। এমনকি দলটির সভাপতি ও ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গত ছয় মাস ধরে ভারতে অবস্থান করছেন। তার সাথে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের সাবেক এমপিরাও পলাতক রয়েছে। যদিও আরব আমিরাতে নারায়ণগঞ্জের গডফাদার খ্যাত শামীম ওসমানকে দেখা গেছে সংবাদ শিরোনাম হয়েছে গণমাধ্যমে। তবে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ অর্ন্তবর্তি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য কর্মসূচি ঘোষণা হওয়ার পরেও দলের নেতাকার্মীদের কোন সারা নেই।



জানা যায়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি হরতাল-ঢাক দিয়েছে পালিয়ে যাওয়া ক্ষমতাচ্যুত দলটি। এর আগে নিজেদের দাবির পক্ষে জনসমর্থন আদায়ে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পরবর্তী দুই সপ্তাহ সারা দেশের পাড়া মহল্লায় লিফলেট বিতরণ ও বিক্ষোভ-সমাবেশ পালনেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে কোন সারা মেলে নাই। এমনকি দলটির নেতাকর্মীরা কেই মাঠে নামার সাহস পায় নাই।  তাছাড়া দলটির কর্মসূচি পালনে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতাদের কারো দেখা মিলে নাই।  আজ তারা মাঠে নামতে পারবে না বলে মনে করেন অন্যান্য রাজনৈতিক দল। তার মাঝে তারা হত্যা মামলা জর্জরিত হয়ে রয়েছে। দেখা মিললেই জনতা তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে দিবে এমন আশঙ্কা রয়েছে। তাই সব মিলিয়ে তারা দাড়ানোর সাহস না পেয়ে নিজেরা এখন আত্মগোপনে থাকতে নিজেদের  সেভ মনে করছেন।


Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন