Logo
Logo
×

রাজনীতি

রাজনীতি থেকে বিলুপ্তির পথে বিতর্কিত খোকন

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

রাজনীতি থেকে বিলুপ্তির পথে বিতর্কিত খোকন
Swapno

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির বিতর্কিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন। পট পরিবর্তনের পর আওয়ামী সন্ত্রাসী-দোসর গোলাম দস্তগীর গাজীর মতোই খোকনের নামে কেঁপে উঠে রূপগঞ্জ। তিনি রূপগঞ্জের বিভিন্ন ব্যবসায়ী মহল ও শিল্প কলকারখানা মালিকদের কাছে এক আতঙ্কের নাম হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছেন। যাকে ঘিরে তার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগ থাকায় গত ২৪ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় বিএনপির একটি তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করে দেয় কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড। এরপর চলতি বছরের ০২ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সুপার ফাইভের কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু সেই কমিটির সুপার ফাইভে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে ১নং সদস্য পদে সম্মানিত করলে ও গোলাম ফারুক খোকনকে কোন পথেই আদিষ্ঠ করা হয়নি। যার মাধ্যমে বুঝতে বাকি নেই যে খোকনের রাজনৈতিক ভবিষ্যত কতটা ডেমেজ হয়েছে।


এদিকে বর্তমানে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক শীগ্রই জেলা বিএনপির ৩১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে কারা স্থান পেতে পারে তা নিয়ে অনেকের নাম আলোচনায় আসলে ও খোকনের নাম নেই বলে জানিয়েছেন সূত্র। যাকে ঘিরে অনেকেই বলছে কমিটির মতোই রাজনীতি থেকে বিলুপ্তির পথে বিতর্কিত খোকন। এদিকে বিগত দিনে বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে খোকনের তামাশা রূপগঞ্জবাসী দেখলে ও বর্তমানে ধীরে ধীরে রাজনীতি থেকে নিষ্কীয় হতে শুরু করেছেন এই খোকন। আবার অনেকেই বলছে আগামী দিনে রূপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানের পদে থাকতে খোকনের রয়েছে গড়িমসি কিন্তু বর্তমানে রূপগঞ্জবাসীর কাছে খোকনের ভয়ঙ্কর চরিত্র ফুটে উঠায় আগামীতে জনগণের সমর্থক তিনি পাবে না বলছে সকলেই। এদিকে কমিটি থেকে ছিঁটকে পড়ার পর থেকেই রূপগঞ্জের নেতকার্মীদের কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে খোকন। এদিকে অনেকেই বর্তমানে খোকনকে প্রধান অতিথি বা দলীয় বিভিন্ন পোগ্রামে প্রধান অতিথি বা বিশেষ অতিথিতে রাখছেন না।



তা ছাড়া ও বিতর্কিত গোলাম ফারুক খোকনের বিরুদ্ধে গত ০৫ আগষ্ট পটপরির্বতনের পর থেকেই নানা অভিযোগ উঠে আসছে। তারে নেতৃত্বেই বিগত দিনে তার লোকদের বিভিন্ন শিল্পকারখানার ঝুট-ওয়েস্টিজ মালামাল দখল এমনকি বহু শিল্প কারখানায় তালা ঝুলিয়ে দিয়ে করেছেন চাঁদাবাজি। এছাড়া ও আওয়ামী লীগের অন্যতম দোসর বসুন্ধরা গ্রুপের সাথে আতাঁত করে নিচ্ছেন মোটা অংকের সুবিধা। এর বাহিরে ও বিগত দিনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের পদ বিক্রি করে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ইউএস বাংলার কাছ থেকে রূপগঞ্জে তাদের ব্যবসা-বানিজ্যেসহ সব কিছু দেখার বিনিময়ে নিয়েছিলেন মোটা অংকের টাকা ও সুবিধা। এছাড়া খোকনের আশকারায় তার লোকজন বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন। তার বিরুদ্ধে এমন বিতর্ক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের ছাড়া ও কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের কাছে ও রয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা বিএনপির পদ থেকে যে কোন সময় ছিঁটকে পারেন তিনি। দলীয় নেতাকর্মীরা বলছে, খোকন কখনোই জেলার মূল দলের যোগ্য ছিলো না। উনি শুধু আখের গোছাতেই জেলঅ বিএনপির কমিটিতে এসেছিলেন।


এদিকে পট পরিবর্তনের পর খোকনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মুড়াপাড়া ইউনিয়নের আওতাধীন দখলে রাখা গার্মেন্টসগুলোর নাম হলো- সিম ফেবিক্স, এস কে এফ র্ফামাসিটিকে‘স, ওয়াটা ক্যামিকেল‘স, এসি আই, টাইগার কোমল পানিয়/মিনারেল ওয়াটার, মীর সিমেন্ট, মেঘনা গ্রুপ, রূপসী কনক্রিট, সিকদার সল্ট, বি এইচ এল গ্রুপ। একই সাথে গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন জুড়ে তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে- গ্রামটেক, ফকির এপারেলস, সানজানা গার্মেন্টস। তা ছাড়া তারাবো পৌরসভা এলাকায় এ সি এস ট্রেক্সটাইল। সবই বর্তমানে খোকন ও তার লোকজনদের দখলে। এদিকে সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান বালু হাবিবের রূপগঞ্জ সকল ড্রেজারের নিয়ন্ত্রণ, নুরুজাম্মান খানের ১৭টি ড্রেজারের ব্যবসা পরিচালনা, রূপগঞ্জ উপজেলার সকল হাইজিং কোম্পানীর সমস্ত মিল ফ্যাক্টরী একক নিয়ন্ত্রণকারী, শীতলক্ষ্যা জেডির সকল লোড-আনলোড ড্রেজারের নিয়ন্ত্রণ সবই বর্তমানে একক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বিএনপি নেতা গোলাম ফারুক খোকন। শুধু তাই নয় এমন আরো শত শত প্রতিষ্ঠান খোকনের নিয়ন্ত্রণে থাকলে ও এগুলো ও এখন আরেক জনের নিয়ন্ত্রণে যেতে পারে। যার ফলে আগামীতে বড় কোন পদে আদিষ্ঠ হতে না পারলে রাজনীতি থেকে বিলীন হবে এই বিতর্কিত খোকন।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন