
বেশ বদলাচ্ছে দুই ভাইয়ের ক্যাডাররা
নারায়ণগঞ্জের সকল সন্ত্রাসের জনক এবং সন্ত্রাসীদের লালিত পালিত ও তাদের হর্তা কর্তা বলা হত আজমেরী ওসমান ও অয়ন ওসমানকে। যাদেরকে বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক সন্ত্রাসীদের সরদার হিসেবে ব্যবহার করতেন আজমেরী ওসমান ও অয়ন ওসমান। আওয়ামীলীগের পতনের পর আজমেরী ওসমান দেশত্যাগ করে ইন্ডিয়ার কলকাতায় এবং অয়ন ওসমান দেশত্যাগ করে প্রথমে ভারতে পরবর্তীতে ভারত থেকে দুবাই পারি জমান। কিন্তু তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীদের সরদার খ্যাত স্বৈরাচারের দোসর বিভেচিত তারা দেশত্যাগ করতে ব্যর্থ হয়ে এখনো নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা এবং বিভিন্ন স্থানে গোপন মিটিং করে পতীত স্বৈরাচার সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছেন। তবে দেশব্যাপী অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালিত হলেও নারায়ণগঞ্জে এ অভিযানে স্বৈরাচার সরকারের বিভিন্ন দোসররা গ্রেফতার হলেও এখনো ধরা ছোঁয়ার বাহিরে আজমেরী ওসমান ও অয়ন ওসমানের সন্ত্রাসের সরদাররা।
আজমেরী-অয়নের যে সকল সন্ত্রাসের সরদার ধরা ছোঁয়ার বাহিরে রয়েছেন তারা হলেন- আজমেরী ওসমানের সন্ত্রাসের সরদার: পিজা শামীম সাবেক জাপা নেতা,সাবেক কমিশনার আজহার,কাজী আমির সাবেক ১০নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা,নাসির ইসদাইরের অঘোষিত ডন,ময়নাল হোসেন মোল্লা নিট কনসার্ন জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই,জোহাদ শাকিল,মুকিত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা,ঝুট সন্ত্রাস মনির হোসেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা,মোরশেদ,আক্তার নূর,আলমগীর চারাগোপের এসময়ের চাঁদাবাজ, ইফতি আমলাপাড়ার ভূমিদস্যু, হাজী রিপন যিনি নিজেকে দ্বিতীয় আজমেরী হিসেবে শহরে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়ে ছিলেন, তরিকুল ইসলাম লিমন সাবেক আজমেরী ওসমানের সেকেন্ড ইন কমান্ড, নিতাইগঞ্জের চাঁদাবাজ হোসেন রেজা,হাসনাত শাওন, সুমন গলাচিপার আজমেরীর অপরাধের ত্রাস সৃষ্টিকারী,শাহে আলম রুপু নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র সমাজ সভাপতি, শাহে আলম সবুজ নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্র সমাজ,হাজীগঞ্জের টোকাই রাসেল, দোকন মালিক ও শ্রমিক চাঁদাবাজ মোফাজ্জাল, মুরাদ হোসেন বারিশ,কিশোর লিডার ইভন,২নং গেইটের আজমেরীর চাঁদাবাজ বান্টি,নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুব সংহতির যুগ্ম আহ্বায়ক আরাফাত রহমান লিয়ন, বন্দর যুব সংহতির সভাপতি ফারুক, খায়রুদ্দিন মোল্লা, মাসুম (আওয়ামী নেত্রী এড.সুইটির জামাই),আবির রহমান(সোনারগাঁয়ে আজমেরী ওসমানের পান্ডা),রহমত উল্লাহ,দিপু, আলম।
অয়ন ওসমানের সন্ত্রাসের সরদার : হাবিবুর রহমান রিয়াদ সাবেক সভাপতি নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগ, কাউছার হোসেন (ওরফে আহমেদ কাউছার আন্ডার মেট্রিক), আশরাফুল ইসলাম রাফেল সাবেক সাধারণ সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ, হাসনাত রহমান বিন্দু সাবেক সাধারণ সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগ, আসাদুজ্জামান আসাদ জি এস তোলারাম কলেজ, শাহরিয়ার রহমান বাপ্পি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগ নেতা, রাজীব সাহা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, হাজী সোহাগ রনি সাবেক সহ-সভাপতি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ, শুভ রায় সাবেক নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগ নেতা, শওকত হোসেন সুমিত সাবেক নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগ নেতা,মাদক আসক্ত শান্ত সাবেক মহানগর ছাত্রলীগ নেতা,শাহরিয়ার রেজা হিমেল নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি, সিদ্ধিরগঞ্জের তপন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, চন্দন শীলের পুত্র অরিজিৎ শীল, বাছেদ প্রধান মেম্বার ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ, মেহেদী হাসান জুয়েল সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, ফাহাদ বিন জয়নাল সাবেক নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ নেতা, আরিফ হোসেন সাবেক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, এড. মো. হাসান ভিপি নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজ, এড আমজাদ হোসেন জি এস নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজ,হাবিবুর রহমান হাবিব ২নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি, রাজীব-সজীব জমজ ভাই ৮নং ওয়ার্ডের অয়ন ওসমানের ক্যাডার, সাদ্দাম হোসেন জিতু ১১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাতি,অর্পন প্রধান ১৪নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর শফির ক্যাডার ভাতিজা,হাসিবুল হক জিসান সাবেক ছাত্রলীগ নেতা,গোলাম রাব্বি মিয়া সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা,টিপু সুলতান সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা, ইমরান হোসেন ইদরান ফতুল্লার কিশোর গ্যাং লিডার, মল্লিক সীমান্ত নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগ নেতা, অনাবিল নির্ঝর দাস নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগ নেতা,সাইফুর রহমান মিশুক বন্দরের অন্যতম ছাত্রলীগ ক্যাডার জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানুর ভাগিনা, ইমরান হোসেন শুভ ও সমিউন সিনহা ফতুল্লার তক্কার মাঠ থেকে পিলকুনী পর্যৗল্প ছিনতাই এবং রাতের আঁধারে মাদক ব্যবসাসহ বহু অপকর্মের হোতা ছিলেন তারা দুই চাচাত ভাই, সোহানুর রহমান শুভ্র এবং রাইসুল ইসলাম রবিন ইসদাইর এলাকার টোকাই সন্ত্রাস থেকে ছাত্রলীগ ট্যাগে সন্ত্রাসী করে এখন লাখপতি,শামীম এবং অপু রিয়াদের ছায়াতলে থেকে অয়ন ওসমানের নামে চাষাড়া বালুর মাঠ এবং গলাচিপা থান মার্কেটের চাঁদাবাজ,ফয়সাল এড.সুইটির সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে কাজ করতেন ছাত্রলীগ পরিচয়ে,হানিফ কবির বন্দরের সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা, সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাসেল এবং সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাগর, আরমান সাদাফ সাবেক সোনারগাঁয়ের সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা,নাসির আব্দুল্লাহ সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা, শামীম সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা,তপু ঘোষ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি, সোহেল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি, আবু সাঈদ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রতিটি অঞ্চল থেকেই স্বৈরাচারের দোসররা গ্রেফতার হলেও এ সমস্ত চিহ্নিত সন্ত্রাসের সরদার খ্যাত আজমেরী-অয়নের সন্ত্রাসের সরদার ধরা ছোঁয়ার বাহিরে রয়েছেন। যার কারণে সচেতন মহল এবং রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে এসকল সন্ত্রাসের সরদার নিয়ে।