Logo
Logo
×

রাজনীতি

না.গঞ্জকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া আ.লীগের হাই-আনোয়ার

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

না.গঞ্জকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া আ.লীগের হাই-আনোয়ার
Swapno

যতই দিন যাচ্ছে ততোই দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চাচ্ছে ক্ষমতাচ্যুত পালিয়ো যাওয়া দল আওয়ামী লীগ। একদিকে অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যার্থতা প্রমানে মরিয়া হয়ে রয়েছে আওয়ামী লীগের দোসররা। আরেক দিকে প্রশাসনে থাকা ব্যক্তিরা মাঠ পর্যায়ে তেমন ভাবে কাজ না করায় অপরাধের প্রবনতা বেড়েই চলছে। তবে নারায়ণগঞ্জকে অস্থিতিশীল করার জন্য আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। মাদককরাবারি থেকে শুরু করে ছিনতাইকারীদের মাধ্যমে নানা ভাবে অস্থিরতা তৈরী করতে চাচ্ছে। আর পিছন থেকে অর্থ সহ নানা পরামর্শ দিয়ে কালকাঠি নাড়ছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পালিয়ে থাকা দুই র্শীর্ষ নেতা।  



এদিকে জুলাই আগষ্টের আন্দোলনের সময় ছাত্রজনতাকে প্রতিরোধ করার জন্য প্রতিদিন মাঠে নেমে মিছিল করেছে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের নেতৃত্বে। একই ভাবে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনও তার নেতৃত্¦ে শহরে মিছিল করেন। তারা দুজনেই পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন ছিলেন। ক্ষমতাচ্যুত দলের সভানেত্রীর আস্থাভাজন হওয়ায় মহানগরে আনোয়ার হোসেন ২৫ বছর যাবত কমিটিতে রয়েছেন। একই ভাবে ১০ বছর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে রয়েছেন আব্দুল হাই। তাছাড়া তারা দুজনেই ওসমান সাম্রাজ্যের শামীম ওসমানের উপদেষ্টা বা ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাদেরকে কেউ কমিটি থেকে বাদ দিতে পারে নাই। এমনকি তারা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হওয়ায় শামীম ওসমানও তাদেরকে সরাতে পারে নাই। তাই আব্দুল হাই তার ছেলে। তানভীরের বাহিনীকে দিয়ে র্পুবাচলের মহাসড়কে মিছিল করাচ্ছেন। আবার মাঝে মাঝে এসে শহরের চাষাঢ়া মোড়ে মার্ক টাওয়ারে অবস্থান করে বিভিন্ন নাশকতার পরিকল্পনা করে আবার আড়ালে চলে যায়।



সুত্রমতে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই ও তার ছেলে তানভীর ছাত্রলীগ বাহিনী দিয়ে পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আব্দুল হাই মার্ক টাওয়ারে বসে তাদেরকে অর্থ দিয়ে থাকে বলে গুঞ্জন রয়েছে। এছাড়া আব্দুল হাইয়ের বাড়ি রূপগঞ্জে হওয়াতে সেখানেও তার আধিপত্য রয়েছে। তাছাড়া শহরের চাষাড়ায় তার বাসা হওয়ায় নগরীর ছিনতাইকারীদেও শেল্টার দিতেন তিনি। আর এজন্য এখন তাদেরকে নানা ভাবে চুরি-ছিনতাইয়ে নামিয়ে বর্তমান সরকারকে ব্যর্থতায় ফেলতে না ফন্দি করে যাচ্ছে। বিএনপির কয়েক নেতার সাথে তার সখ্যতা থাকায় তিনি কোন মামলায় আসামী হন নাই।



অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন শামীম ওসমান সম্রাজ্যের গুরু ছিলেন। সেই হিসেবে তিনি উপদেষ্টার ভুমিকা পালন করতেন। একই সাথে তিনি দক্ষিণ মেরুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর চাচা ছিলেন। এজন্য দুই মেরুতেই নিজের অবস্থান ধরে রেখে ছিল। এজন্য তাকেও কেউ কমিটি থেকে বাদ দিতে পারে নাই। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ অফিসে ছিনতাইকারীদের স্থান দিয়ে তাদের মাধ্যমে শহরের মানুষের মাঝে আতঙ্ক তৈরী করতে নানাভাবে ফন্দি করছে। তিনিও আত্মগোপনে থাকলেও মাঝে গর্ত  থেকে বের হয়ে তার বাসায় এসে তার কিছু পালিত দোসরদের দিয়ে অস্থিরতা তৈরী করতে চাচ্ছে। এছাড়া শহরের বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলনে আড়ালে থেকে অর্থের যোগান দিয়ে থাকেন। এজন্য তাদের গ্রেপ্তারের দাবী উঠেছে।    



সম্প্রতি সময়ে পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে রাজপথে থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে তেমন সাড়া না পাওয়া কোন ফল পাননি। এমনকি তারা রাজপথে নামতেই পারে নাই। তাই এখন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আতঙ্ক তৈরী করে শহরের মাঝে অস্থিরতা তৈরী করতে চাচ্ছে। তাদের গ্রেপ্তার না করায় তারা দুজনেই নেত্রীর (শেখ হাসিনার) আস্থা ধরে রাখতে এখন নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ অস্থিরতা করতে চাচ্ছে। অথচ ক্ষমতা থাকা কালিন সময়ে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতারা গলাবাজি করে বড় বড় কথা বলেছেন। তারা নানা উন্নয়ন করেছে বলে গলা ফাটিয়েছে। দলটি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর প্রায় ছয় মাসের মাথায় অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বড় ধরণের রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। সেই কর্মসূচিকে বাস্তবায়ন করার জন্য আত্মগোপনে থেকে তারা দুজনে নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে সূত্র। তাই ডেভিল হান্ট অভিযানে তাদেরকেও গ্রেপ্তারের দাবী উঠেছে। তাদেরকে যেন গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হয়।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন