নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা ও ফ্যাসিবাদ মোকাবিলার দাবিতে জনসমাবেশের আয়োজন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নগরীর মিশনপাড়ায় নবাব সলিমুল্লাহ সড়কের উপর ভেন্যু করে এই জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই সমাবেশকে সফল করতে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা মঞ্চ থেকে শুরু করে দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সভাস্থলে অমুক ভাই তমুক ভাইয়ের ব্যানার ফেস্টুন লাগাতে বাধাসহ বিশৃঙ্খলা এড়িয়ে শৃঙ্খলা বজায় রেখে সমাবেশ সফল করতে নিজ বলয়ের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে কয়েক গ্রপের স্বেচছাসেবক গঠনসহ নানা মনিটরিং এর মাধ্যমে নিজের সাংগঠনিক দক্ষতার প্রমান দিলেন ছাত্রদলের সোনালী অতীত জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব।

এদিকে জেলা বিএনপির এই সমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা মিললে ও সংকীর্ন একটি সড়কে সমাবেশ নিয়ে বিশৃঙ্খলার মতো ঘটনার সংকোচ থাকলে ও রাজীবের ২ দিনের ব্যাপক পরিশ্রমের মনিটরিং এ কোন প্রকারের বিশৃঙ্খলার ত্রুটি দেখা দেয়নি সফলতা এসেছিলো জেলা বিএনপির সমাবেশে। এদিকে গত (২৪ ফেব্রুয়ারী) থেকেই জেলা বিএনপির সমাবেশকে সফলের লক্ষ্যে বিভিন্নভাবে প্ল্যান মোতাবেক দুপুর থেকেই মঞ্চের কাজ শুরু করেন। এছাড়া জেলা বিএনপির লক্ষাধিক নেতাকর্মীদের উপস্থিতির এই সমাবেশে যাতে নগরীতে কোন প্রকারের বিশৃঙ্খলা ও যানজটের সৃষ্টি না হয় সে দিকে লক্ষ্য রেখে ৪/৫ জনের গ্রুপ করে চাষাড়া রাইফেল ক্লাবের সামনে, চাষাড়া বিজয়স্তম্ভের আশপাশে, মিশনপাড়া, ডনচেম্বারসহ সভা মঞ্চে দলীয় নেতাকর্মীদের সহযোগীতায় কার্ড ঝুলিয়ে গঠন করেছিলেন স্বেচ্ছাসেবক কমিটি। তার সাংগঠনিক দক্ষতা প্রমানে নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপনে ভাসছে রাজীব। সকলেই জেলা বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে বা হা বা দিচ্ছে তাকে।

 এদিকে সভাস্থল থেকে বিএনপির কয়েকজন নেতকার্মীদের মুখে শোনা যায়, বিএনপির পোগ্রাম মানেই বিশৃঙ্খলাসহ গ্রুপে গ্রুপে সংঘর্ষ। কিন্তু জেলা বিএনপির লক্ষাধিক নেতাকর্মীদের বিশাল জনসমাবেশে কোন বিশৃঙ্খলা না দেখতে পেয়ে অনেকেই জেলা বিএনপির নয়া কমিটির ম্যাজিক ও রাজীবের সাংগঠনিক দক্ষতার কথা বলছে। রাজীবের দক্ষতায় জেলা বিএনপি সুনামের সাথে আরো এগিয়ে যাবে বলছে নেতাকর্মীরা। এদিকে পটপরিবর্তনের পর নারায়ণগঞ্জে এই প্রথম বিশাল সংখ্যক লোক জমায়াতের মাধ্যমে সমাবেশ করছে বিএনপি। একই সাথে গত ২ ফেব্রুয়ারী ঘোষিত জেলা বিএনপির সুপার ফাইভ কমিটির ও চ্যালেঞ্জের সমাবেশ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো এটি। যাকে ফ্লপ করতে বিএনপির বিভিন্ন গ্রুপের নানা ষড়যন্ত্র থাকলে ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীবের দক্ষতায় সব ধুয়ে মুছে একাকার হয়ে গেছে বলে ধারনা করছে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

এদিকে কেন্দ্র ঘোষিত নারায়ণগঞ্জ জেলা সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে দুপুর থেকেই নারায়ণগঞ্জ জেলা  বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল, মহিলা দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন সুসজ্জিত হয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে রাজীবের গঠিত স্বেচ্ছসেবকদের নজড়দারিতে শৃঙ্খলা বজায় রেখে সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় জণসভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীবের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপি’র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহম্মেদ টিুট, কেন্দ্রীয় সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, জেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ আহমেদ টুটুল, সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, সোনারগাঁ বিএনপির সভাপতি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, রেজাউল করিম, কাজী মনিরুজ্জামান, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।